আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এক গ্রাম্য কিশোরীর প্রতি তার গ্রাম্য মা...

[অন্যর দোষ না খুঁজে আগে যদি সবাই নজের দোষটা খুঁজত তাহলে বোধহয় সব সমস্যার সমাধান হয়ে যেত]............... [পথের শেষ নেই, আমার শেষ আছে, তাইত দ্বন্দ্ব] http://mamunma.blogspot.com/
বললাম, ও বিলে যাসনে ... পানির তলে আজন্মের শ্যাওলা ক্ষেপেছে ঠিক, উল্টে দেবে তোকেরে ছেমড়ি.. অকালে হাত পা ভেঙে বসতে চাস্? এখনও নামছিস যে বড়.. কি বললি , "বৃষ্টির পানি ! পূণ্য জল! শ্যাওলার মাঝেও বইছে মায়ার ঢল!” আরে হতচ্ছরি ... শ্যাওলা যদি প্রেমে যায় পরে তোর উল্টে দিয়ে করবে গায়ে আদর.... বুঝবি তখন পূণ্য জলে গতর জুড়ে সুখ কেমন করে করবে ম্লান হাসি মাখা তোর মুখ। বুঝিসনে পোড়া মুখি..এত বলি কেন? ওড়নাটাও গেছিস ফেলে বৃষ্টি তোরে একা পেলে... মনে পড়ে ও গায়ের সখিনা... একাকী পড়ে ছিল বিলের ধারে , বৃষ্টির মাঝে উদোম বুকে কাদার আঁচল নারী বলে দেহটাই তার শত্রু যে আসল নিথর প্রাণ আর ফর্সা পায়ে বৃষ্টি ধোয়া লাল লাল রক্তের ছোপ ছোপ ছিল ছোয়া তারপর ও পাসনে তুই ভয়; গতর বেড়েছে , এখনও তোরে কে আর ছোট কয়? শুকুনের চোখ চারদিকে ওত পেতে বৃষ্টি ভেজা রূপখানি তোর চোখে তারা গেঁথে শ্যাওলা হয়ে পিছলে দেবে পা... একটু রয়ে সাবধান হ, কথা শোন তুই মা! কি বললি, “আর কতদিন, আর কতকাল! পুণ্য জলে ভিজতে ভিজতে এবার ধরবি হাল!” ১৮/৫/২০০৯ ( মুন্সীগঞ্জ)
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।