আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মারফতি কবিতা: সাইন কার্ভ

যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে, ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

সকালের চকচকে রোদ দেখে দুম্ করে মনটা হঠাৎ, ভীত হয়ে ওঠে! অথচ নারকেল গাছের পাতায় তখন -- রৌদ্রের সিম্ফনীর তালে তালে, নেচে চলেছিলো দোয়েলেরা, শালিকেরা সব! জানি, এমন সময় শুধু আনন্দ করাই চলে, সাথে হয়ত খানিকটা প্রার্থনা বড়জোর; এমন দিনে, সব ঝেড়ে ফেলে দিতে হয় -- ভয়ভীতি, আশংকা আর অস্থিরতার বোধ। তবুও মন, ভীত সে হয়েওঠে, আশংকা আর উৎকন্ঠার দোলাচলে। আজ রোদ; কাল তবে বৃষ্টি? পরশু ঝড়? ঘূর্ণিঝড়? তোরশু মেঘের গভীরে বজ্রনিনাদ? বন্যা, ভূমিধ্বস, ভূমিকম্প, হাহাকার, কান্না, ক্ষুধা, রিলিফ ওয়ার্ক? তারপর -- আবারও রোদ? ধীরে ধীরে সব থেমে আসবে, নতুন প্রভাতের ঘ্রাণে? তারপর? শেষ কোথায়! হাইড্রোজেন কি হিলিয়াম হবেনাকো কভু! আকাশের ব্যপ্তিতে, বাতাসের দোলে, সাগরের ঢেউয়ে, আর পথিকের পথে -- দেখি আমি এক এক অদৃশ্য মারেফতি সাইন কার্ভ। যেন জল্লাদের কঠোর হাতের মাংসপেশীর সংকোচন আর প্রসারনের সাথে সাথে -- চাবকায়! ভীষণভাবে!! মূহুর্তের নিস্তারের পরপরই ততোধিক রূঢ় হয়ে ধেয়ে আসে -- সপাং সপাং সাইন কার্ভের ঢল। আকাশ, সমুদ্র, জল, স্থল, জল্লাদের মঞ্চ, পৃথিবীর সবকোণ, সব পথ, সব নদী -- একাকার! নিষ্ঠুর ঢেউ আর কিছু নিরাপদ ঊর্মিমালায়।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।