আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দ্বিজাতিতত্ত্বের পরিণতি ব্যর্থ রাষ্ট্রে..???



মুক্তিযুদ্ধের একটা খুব সাধারন ছবি কল্পনা করুন। বগলে তল্পিতল্পা, হাতে হারিকেন, আর কোলে বাচ্চা নিয়ে অনিশ্চয়তার পথে হেঁটে চলেছেন মা। চলেছে অসহায় মানুষের মিছিল। রাতের আধাঁর, দূগৃম পথ আর হায়েনার রক্তচক্ষু ফাঁকি দিয়ে। অজ্ঞাত, নিরাপদ আশ্রয়ের আশায় সেই পারি জমানো।

দৃশ্যপট মে, ২০০৯। সোয়াত, দির, মিঙ্গোরার লাখ লাখ মানুষের দিন নেই রাত নেই, সেইরকম অবিরাম ছুটে চলা,আশ্রয়কেন্দ্রের উদ্দেশ্যে। আশ্রয়কেন্দ্রে জায়গা মিলবে কি-না সেটা জানা নেই। এখানেও উদ্বাস্তু মানুষের মিছিলে প্রায় একইরকম দৃশ্য, কোলে বাচ্চা, হাতে তল্পিতল্পা। ।

সেই ১৯৭১ এর পর এতো বেশি সংখ্যায় উদ্বাস্তু আর হয়নি পাকিস্তানে। সোয়াতের নৈস্বর্গিক অলংকার নিয়ে এখন আর গর্ব করতে পারেনা পাকিস্তানীরা। সেখানে সরকারের চেয়ে তালেবানের প্রভাবই বেশি। ভূলুন্ঠিত হয়েছে সরকারের শাসন। ভাবতে করুনাই হয় পাকিস্তানের জন্য, যে দ্বিজাতি তত্ত্ব বা ধর্মর ভিত্তিতে একদিন আলাদা হয়েছিলো এই দেশ, ধর্মের দোহাই দিয়ে রাতের আঁধারে গণহত্যা আর অমুসলিম নিধন চাপিয়ে দিয়েছিলো, এখন তাদেরই ধর্ম শিখাচ্ছে তালেবান জঙ্গিরা।

সোয়াত সহ উত্তরের বেশকিছু উপজাতীয় এলাকায় শরীয়াহ আইন কায়েমের দাবী করছে। চাচ্ছে আলাদা শরীয়াহ বিচার বিভাগ। রাজধানীর এতোকাছে আর কখনো সশস্ত্র গেরিলারা এতো সংখ্যায় আসার স্পর্ধা রাখেনি। এরপরেও পাকিস্তান নামক দেশের কিংবা সেদেশের সরকারের সার্বভৌমত্ত্ব বলে কি কিছু থাকে!!! যে দেশ ধর্মের দোহাই দিয়ে বিভক্ত হতে পারে, তার তো পিছিয়ে আসলে মানায়না!! হ্যাঁ, শুরুতে সরকার মেনেও নিয়েছিলো তাদের দাবী! কিন্তু কোথায় কি?এখন আবার তাড়ানোর চেষ্টা করছে তালেবান জঙ্গিদের। কোথায় দ্বিজাতি তত্ত্ব, কোথায় কি???



এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।