আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আসেন বাংলাদেশেরে ধ্বংস করি নিজের হাতে



টিভির সামনে বসতেই কানে-চোখে এলো মার্কিণ দূতের মন্তব্য: এদেশের জন্য জঙ্গীবাদ এখনো হুমকী। স্বভাবতই বিরোধী দলকে ঘায়েল করার আরো একটি মোক্ষম অস্ত্র পেয়ে সরকারী দল সমর্থিত মিডিয়াগুলো খবরটাকে খুব হাইলাইট করছে। আমার প্রচন্ড রাগ হচ্ছে। রাগ হচ্ছে এদের কান্ডঞ্জান নিয়ে। এত স্বস্তাদরের রাজনীতিটা না করলেওতো চলে।

এর আগের তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং তারো আগের বি এন পি-জামাত সরকার সবাইকেই দেখেছি মার্কিণ সরকারের কোন মন্তব্যকে এমনভাবে হাইলাইট করে যেন কোরআনের আয়াত নাযিল হইছে। অথচ নিজস্ব কুটকৌশলের বাইরে তারা কোন মন্তব্য করেনা। সবকিছুই তারা করে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যকে সামনে রেখে। অথচ আমাদের রাজনীতির ধরন এবং প্র্যাকটিসটা এমন হয়েছে যে, মার্কিন কর্তাব্যক্তির হস্তপদ চুম্বন-লেহন করতে পারাকে এক মহান কর্ম হিসেবে ধরা হয়। আর তাকে দিয়া যদি নিজের পক্ষে একটি মন্তব্য আদায় করা যায় তবে তো মেট্টিক পাশের সাটিফিকেট পাইয়া যাবার অবস্থা।

আমার ক্যালকুলেশন হচ্ছে- ইরাক, আফগানিস্তান, পাকিস্তানের পর এবার বাংলাদেশের পালা। পাকিস্তান যেরকম নিজেরা নিজেদের মারছে আর দুর থেকে এ খেলা দেইখা তৃপ্তির হাসি হাসতাছে ভারত আর আমেরিকা ঠিক সেরকম এই হাসি হাসবে বাংলাদেশেরে দেইখা। পারভেজ মোশাররফ যেরকম মার্কিন বাবারে তুষ্ট করতে যাইয়া আজকে পাকিস্তানেরে ল্যাংটা কইরা দিছে ঠিক সেই মতন বাংলাদেশের বর্তমান রাষ্ট্রকর্ণধার দুইদিন বাদে বাংলাদেশেরে ল্যাংটা কইরা দিবো। অচিরেই বাংলাদেশে বড়সড় জঙ্গিবাদের আবির্ভাব ঘটবে বলে আমার ধারনা। কারন তাতে আওয়ামীলীগ, মার্কিণ আর ভারতের বক্তব্য সত্য প্রমানীত হবে।

আর তাদেরকে ধরার জন্য শুরু হবে ব্যাপক আত্মঘাতি লড়াই। সরকারপ্রধান আব্বাদের কাছ থেকে ধইন্যবাদ পাওয়ার আশায় শুরু করবে ব্যাপক ধরপাকড় আর চিল্রাচিল্রি। ব্যাপক একটা কেওয়াজ শুরু হবে চারিদিকে। মিডিয়া গুলো ইনোসেন্ট ভাব করে আগুনে ঢেলে যাবে ঘি। জাতি হিসেবে আমরা আরো শক্তভাবে বিভক্ত হয়ে যাব আওয়ামীলীগ, বি এন পি আর জামাতে।

অন্যদিকে নিরাপদ দুরত্বে বসে আমাদের কান্ডকারখানা দেখে খিক খিক হাসিতে ফেটে পড়বে ইন্ডি-মার্কি গং এন্ড তাদের দালাল'স। আসেন ভাই সকলে মিল্লা আবাজ তুলি: রাজাকারের আস্তানা- জ্বালিয়ে দাও পুড়িয়ে দাও। একটা দুইটা লীগ ধর, সকাল বিকাল নাস্তা কর। বি এন পি'র গালে গালে, জুতা মার তালে তালে.........

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.