আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রবীন্দ্রনাথের বিখ্যাত ছোটগল্প ছুটি'র ডিজিটাল অনুবাদ: দ্যা ভ্যাকেশন-১



(রবীন্দ্রনাথের জন্মদিনে দিনব্যাপী শ্রদ্ধাজ্ঞাপন কর্মসূচি। রবীন্দ্রভাষারীতি থেকে একালের ভাষারীতিতে অনুবাদ) বালকদের গ্রুপ জিরো জিরো সেভেনের সর্দার ফটিক চক্রবর্তী ওরফে জেমস ফটিকের মাথায় একটা চিন্তা আসলো। নদীর ধারের শালকাঠগুলো তারা সবাই মিলে পানিতে ফেলবে। এতে যার কাঠ সে কতটা অসুবিধায় পড়বে এটা ভেবে জেমস ফটিকের কথায় সবাই রাজী হয়ে গেলো পানিতে ফেলার জন্য। তারা যখন কাঠের কাছে গেল তখন পড়ল এক মহা ঝামেলায়।

ফটিকের ছোট ভাই মাখন কাঠের উপর বসে মোবাইল টিপছে। এতে সবাই বিমর্ষ হলো। কেউ কেউ অবশ্য তাকে ভয়ে ভয়ে একটু ধাক্কা দিল, কিন্তু মাখন নড়ল না বরং আরো গভীর মনোযোগ দিয়ে মোবাইল টিপতে লাগল এবং মাঝে মাঝে জোরে জোরে রিংটোন বাজাতে লাগল। ফটিক এসে মাখনকে বলল, এ্যাই ওঠ। যা বাড়ীতে গিয়ে মোবাইল টিপ।

বাড়ীতে গিয়ে রিংটোন বাজা। মাখন শুনলনা বরং এমনভাব করে আরেকটু ভালোমতো বসে মোবাইলের দিকে তাকিয়ে রইল। ফটিকের মেজাজ ভয়াবহ হট হয়ে গেল। মাখনের গালে একটা চড় দেয়া ফরজ হয়ে গেলেও সে তা করলনা। তবে বেয়াদব মাখনকেসহ কাঠ গড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল।

এবং প্রথম চেষ্টাতেই মাখনের অবস্থা কেরোসিন। সেতো উল্টাইয়া পড়িলই, মাঝখানে তার মোবাইলখানা শ্যাষ। একদম গুড়া। মোবাইলের এমন অবস্থা দেখে মাখন সহ্য করতে পারলনা। নিজের জমানোর টাকায় মোবাইল।

চাইনিজ হলেও ভালো ক্যামেরা আছে। ভিডিও করা যায়। তার সাথে এফএম রেডিও শোনা যায়। তাই সে প্রচন্ড রাগে ফেটে পড়ল। মারামারির যত সেক্টর আছে সে ফটিকের উপর প্রয়োগ করে কাঁদতে কাঁদতে বাড়ী চলে গেল।

ফটিক মার খেয়ে গিয়ে নদীর ধারে বসে পড়ল। চারদিকে ভালোমতো তাকিয়ে পকেট থেকে 'মৌসুমি' বিড়ি বের করে তা ধরাল। এবং সচেতনভাবে টানতে লাগলো। এমন সময় একটা নৌকা এসে ঘাটে ভিড়ল। বিড়ি অর্ধেক শেষ না হতেই ফটিক তা ফেলে ধোয়া হাত দিয়ে তাড়িয়ে সাধু সেজে বসে রইল।

(চলবে)


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।