আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রুপচর্চা: ত্বকের জন্য ময়েশ্চারাইজার

...

ত্বকের ধরন অনুযায়ী ময়শ্চার ০ স্বাভাবিক ত্বকের জন্য ওয়াটার বেসড ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত। ওয়াটার বেসড ময়শ্চারাইজারে সামান্য পরিমাণে তেল থাকে। ০ শুষ্ক ত্বকের জন্য ক্রিম বেসড ময়শ্চারাইজার উপযোগী। গি সারিন, ল্যাক্টিড এসিড রয়েছে এই ধরনের ময়শ্চারাইজারও ব্যবহার করা যেতে পারে। ০ তৈলাক্ত ত্বক নিয়ে অনেকেই সমস্যায় ভোগেন।

তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ব্যবহার করুন অয়েল ফ্রি ময়শ্চারাইজার। এই ধরনের ময়শ্চারাইজার ব্রণ প্রবণ ত্বকের জন্যও খুব উপযোগী। অয়েল ফ্রি ময়শ্চারাইজারে ভেজিটেবল অয়েল, অ্যানিম্যাল ফ্যাট ইত্যাদি থাকে না। ০ যাদের ত্বক মিশ্র বৈশিষ্ট্যের তারা ব্যবহার করুন লাইট, হাইড্রেটিং ময়শ্চারাইজার। দিনে দু’বার এই ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করুন।

০ সেনসেটিভ ত্বকের জন্য ভিটামিন-এ সি এবং ই, জিঙ্ক এবং গ্রিন টি যুক্ত ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করুন। এই ধরনের ত্বকের জন্য সুগন্ধবিহীন ময়শ্চারাইজারই আদর্শ। ময়শ্চারাইজিং টিপস ০ গোসলের পর ত্বকে ভেজা ভাব থাকতে থাকতে তেল বা ক্রিম লাগানোর অভ্যাস করুন। প্রতিদিন সকালে ও রাতে দু’বার ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করুন। ভেজা ত্বকে ময়শ্চারাইজার লাগালে ত্বকে অতিরিক্ত ময়শ্চার বজায় থাকে।

০ ময়শ্চারাইজার লাগানোর পর সানস্ক্রিন লোশন ব্যবহার করুন। বাইরে বেরোনোর অন্তত ১৫ মিনিট আগে ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত। ০ কিনজিং টোনিংয়ের পর ময়শ্চারাইজিং অবশ্যই করা উচিত। হাতের তালুতে নিয়ে সম্পূর্ণ মুখে ময়শ্চারাইজার লাগান। হাত ও পায়ের জন্য ময়শ্চারাইজার ০ গোলাপের পাঁপড়ি, ঈষদুষ্ণ পানি, আমন্ড অয়েল, রোজ অয়েল ভিটামিন ই অয়েল, কোকোয়া বাটার মিশিয়ে হালকা আঁচে গরম করুন।

ঠান্ডা করে এয়ারটাইট জারে রেখে দিন। প্রতিদিন রাতে হাত ও পায়ে মাসাজ করুন। উষ্ণ গরম পানিতে আধ চামচ নারিকেল তেল সামান্য লবণ দিয়ে হাত-পা ডুবিয়ে রাখুন ৫ মিনিট। তারপর দুধের সর, আটা, গি সারিন একসঙ্গে মিশিয়ে ১৫ মিনিট হাতে ও পায়ে লাগিয়ে রেখে হালকা হাতে ঘষে তুলে দিন। ধুয়ে ফেলে মধু, ডিমের হলুদ অংশ, আমন্ড বাটা একসঙ্গে মিশিয়ে আধঘন্টা লাগিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলুন।

অলিভ অয়েল ও গোলাপজল মিশিয়ে লাগিয়ে রাখুন। ক্ষতিগ্রস্থ ত্বকের জন্য ময়শ্চারাইজার ০ রোদে পোড়া ত্বকের জন্য তিলের তেল খুবই উপকারি ময়শ্চারাইজার। তিলের তেল ন্যাচারাল সান ব কার। সাধারণত শুষ্ক ত্বকে বলিরেখা পড়ে। সেই কারণে এই ত্বকের বিশেষ প্রয়োজন।

ঘি ও আমন্ড অয়েল একসঙ্গে মিশিয়ে বলিরেখার উপর মাসাজ করুন প্রতিদিন আধঘন্টা। তারপর আমন্ড বাটা, আমলাবাটা, মধু একসঙ্গে মিশিয়ে বলিরেখার উপর লাগিয়ে আধঘন্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের টানটান ভাব নষ্ট হয়ে গেলে হালকা হাতে আমন্ড অয়েল দিয়ে আপ লিফটিং পদ্ধতিতে ২০ মিনিট ম্যাসাজ করুন। মুখ মুছে ডিমের সাদা অংশ, মুলতানি মাটি, আঙ্গুর একসঙ্গে মিশিয়ে এই প্যাক মুখে লাগিয়ে রাখুন ২৫ মিনিট। তারপর মুখ ধুয়ে শসার রস ও গোলাপজল একসঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগান।

ময়শ্চারাইজার মাস্ক ০ ২ চামচ দুধের সঙ্গে ২ টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। মুখ ও গলায় ১৫-২০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে ঈষদুষ্ণ জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ০ ১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল, ১ টেবিল চামচ ভেজিটেবল অয়েল ও ১ টেবিল চামচ নারিকেলে তেলের সঙ্গে ২ টেবিল চামচ ক্রাশড স্ট্রবেরি মিশিয়ে নিন। সঙ্গে কয়েক ফোঁটা ভিটামিন ই অয়েল মেশান, গলায় ও মুখে ১০ মিনিট লাগিয়ে রাখার পর ধুয়ে ফেলুন।

০ গি সারিন, গোলাপজল, লেবুর রস সমপরিমাণে নিয়ে মিশিয়ে ফ্রিজে রাখুন। গরমে তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ভাল ময়শ্চারাইজার হিসেবে কাজে দিবে। ময়শ্চারাইজিং এর প্রয়োজনীয়তা ০ ময়শ্চার ত্বকে পানি ও তেলের ভারসাম্য বজায় রাখে। ০ আবহাওয়ার বিরূপ প্রভাবের ফলে ত্বকের ময়শ্চার নষ্ট হয়ে যায়। তাই ত্বকের যতেœ ময়শ্চার খুবই জ রুরি।

০ ওয়াটার ইন অয়েল ময়শ্চারাইজার সাধারণত অয়েলবেসড হয়। এই ধরনের ময়শ্চারাইজার ত্বকের ময়শ্চারাইজার ধরে রাখে। ০ অয়েল ইন ওয়াটার ময়শ্চারাইজার সাধারণত গি সারিনের কাজ করে। এই ময়শ্চার ত্বকের গভীরে ঢুকে ময়শ্চার ধরে রাখে। ঘরে তৈরি ময়শ্চারাইজার ০ স্বাভাবিক ত্বকে মধু, লেবুর রস, দই মিশিয়ে লাগান।

ত্বকের উজ্জ্বল ও মসৃণভাব বজায় থাকবে। ০ তৈলাক্ত ত্বকে আপেল কোরার সঙ্গে মধু মিশিয়ে রাখুন। ১০ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ০ শুষ্ক ত্বকে অলিভ অয়েল, লেবুর রস ও ডিম মিশিয়ে ১৫ মিনিট ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।