আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

“টিক-টক” ধারণা

www.choturmatrik.com/blogs/আকাশ-অম্বর
“তোমার মন কোথায়? তার অস্তিত্ব কোথায়? এটা কি তোমার গতকাল রাতের আড্ডাতে? নাকি সামনের মাসের বিয়ের অনুষ্ঠানে? আজি হতে ত্রিশ বর্ষ পরে?”, বলছেন স্টুয়ার্ট ওয়াইল্ড, একজন ব্রিটিশ লেখক। “টিক-টক” শব্দটি তার মাধ্যমেই এসেছে। মানুষের পতঙ্গতুল্য প্রতিদিনের ৯-৫ এর কর্মজীবনকেই বলা হচ্ছে টিক-টক জীবন। বলা হচ্ছে, এটা এক নীরস প্রথাগত নীতির অনুসরণ যেখানে মানুষ অসচেতন এবং অনাগ্রাহী হয়ে উঠে জীবনের অন্য অভিজ্ঞতা এবং সম্ভাবনার প্রতি। টিক-টক এর উৎপত্তি মানুষের আত্নকেন্দ্রিক আচ্ছন্নতা থেকে যেটা ধীরে ধীরে মাত্রাধিক পুনরাবৃত্তির ফলে তৈরী করে ভাল-লাগা অনুভুতি।

মানুষের প্রাচীনতম সূক্ষ অনুভুতি ও চিন্তাধারাগুলো বিলীন হয়ে যায় জোরপূর্বক সৃষ্ট এই মাত্রাতিরিক্ত প্রদাহে। বর্তমান শুধুই বেঁচে থাকে অতীতের মুহূর্তগুলোর মধ্যে অথবা অতীতকে অস্বীকার করার মধ্যে এবং ভবিষ্যতকে রক্ষা বা প্রভাবিত করার মধ্যে। মানুষের আত্না যেন ঘুমিয়ে থাকে এক অভিশাপে। পুঁজিবাদী সমাজব্যবস্থাকে সমৃদ্ধ করতে, উৎপাদনশীলতাকে আকাশচুম্বি করতে মানুষের আত্নার এই বিসর্জন, টিক-টক ধারণায় মোহাচ্ছন্ন ! তাওবাদে একটা বিশ্বাস আছে যে এই মহাজাগতিক মহাবিশ্ব, যেটা কিনা আদি ও অন্তহীন কিন্তু এক, তার সবকিছুই শক্তির একটা ছন্দোবদ্ধ প্রবাহ। এটাই এই মহাবিশ্বের একটা অকৃত্তিম প্রকৃতি বা রূপ।

মানুষ, যে কিনা এই মহাবিশ্বের এক ক্ষুদ্র সৃস্টি, নিজেকে সরিয়ে নেয় শক্তির এই ছন্দোবদ্ধ প্রবাহ থেকে যখন সে বর্তমানের প্রতি তার মনোযোগ হারায় এবং অতীত আর ভবিষ্যতের ঘটনাসমূহ নিয়ে চিন্তাবিষ্ট হয়। কিন্তু কি করবে মানুষ? কিভাবে ভাঙবে এই চক্র? বা আদৌ কি প্রয়োজন আছে এই চক্র থেকে বের হয়ে আসার? “প্রগতিশীল” এই জীবনব্যবস্থায় মুক্তির বন্দোবস্থ তো অনেকেই চায় না। আর কিসে মিলবে মুক্তি? আদৌ কি মিলবে? বলা হচ্ছে, এই চক্র থেকে “পালাবার পথ” আর কিছুই না, শুধুমাত্র মোহগ্রস্থ অবস্থায় ধ্যান করা ! যাকে বলে, Meditation in the Trance state attained through the use of a Theta* metronome. বলা হচ্ছে, এর মাধ্যমেই উচ্চতর উপলদ্ধির মাধ্যমে আত্নার উন্নতি সম্ভব, অথবা আরেকভাবে - তোমার ভেতরের তুমির সান্নিধ্য লাভ। * The frequency of theta waves is between 4–7 Hz.
 


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।