আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তামাকজনিত রোগ ও মৃতু্য হ্রাসে তামাকজাত দ্রব্যের কর বৃদ্ধি জরুরি



তামাকজনিত রোগ ও মৃতু্য হ্রাসে তামাকজাত দ্রব্যের কর বৃদ্ধি জরুরি তামাকজনিত রোগ, মৃতু্য, এবং দারিদ্রতা হ্রাসে তামাকের উপর কর ও মূল্য বৃদ্ধির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। জনস্বাস্থ্যের উন্নয়নের তামাকজাত দ্রব্যের উপর কর বৃদ্ধি জরুরি। আজ সকালের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের সম্মেলন ক েঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনৈতিক গবেষণা বুর্যে ও ডাবি্লউবিবি ট্রাস্ট আয়োজিত এক সেমিনারে বক্তারা এ অভিমত ব্যক্ত করেন। ডাবি্লউবিবি ট্রাস্ট-র প্রোগ্রাম ম্যানেজার সৈয়দ মাহবুবুল আলমের সঞ্চালনে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখনে অর্থনৈতিক গবেষণা বুর্যোর পরিচালক প্রফেসর ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, অর্থনীতিবিদ ড. মোহাম্মদ হেলাল, বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট-র সদস্য সংগঠন মানবিকের সভাপতি রফিকুল ইসলাম, অনুষ্ঠানে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপক উন্নয়ন সমন্বয়ের, প্রধান গবেষণা কর্মকর্তা তাইফুর রহমান। প্রফেসর ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, তামাক বিরোধী সংগঠনগুলো দীর্ঘদিন ধরে তামাকজাতদ্রব্যের উপর কর বৃদ্ধির দাবী জানিয়ে আসছে।

তামাকজাত দ্রব্যের উপর কর ও মূল্য বৃদ্ধির ফলে তামাক ব্যবহার হ্রাসের পাশাপাশি জনস্বাস্থ্যের উন্নয়ন, সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধিসহ আরও অনেক ইতিবাচক পরিবর্তনের সুযোগ সৃষ্টি হয়। মূল্য বৃদ্ধির ফলে তামাক ব্যবহারকারীর সংখ্যা হ্রাস পাবে এবং অতিরিক্ত কর আরোপের ফলে অধিক কর পাওয়া যাবে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের অভিজ্ঞতায় দেখা যায়, তামাকজাত দ্রব্যের উপর কর ও মূল্য বৃদ্ধির ফলে তামাক ব্যবহার হ্রাস পেলেও রাজস্ব বৃদ্ধি পায়। তাইফুর রহমান বলেন, কোন দ্রব্যের দাম বৃদ্ধি পেলে, ক্রেতা তা ক্রয় করতে নিরুৎসাহিত হয়। তাই তিকর দ্রব্যের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ বা হ্রাসের ল্যে কর বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।

সরকার স্বাস্থ্য, পরিবেশ ও অর্থনীতির জন্য তিকর দ্রব্যকে নিরুৎসাহিত করার ল্যে এ সকল দ্রব্যের উপর অতিরিক্ত করারোপ করতে পারে। সরকারের এ ধরনের পদপে ও সিদ্ধানত্দ ইতিবাচক দিক সৃষ্টির পাশাপাশি সরকারের জনপ্রিয়তাও বৃদ্ধি করে। তাইফুর রহমান উন্নয়ন সমন্বয়ের গবেষণার উদ্বৃতি দিয়ে বলেন, তামাকজাত দ্রব্যের উপর ১৫% এবং বিড়ি প্যাকেট প্রতি ২টাকা বৃদ্ধি করা সম্ভব হলে প্রায় ৯৫০ কোটি টাকার অতিরিক্ত রাজস্ব আয় করা সম্ভব। অর্থনীতিবিদ ড. মোহাম্মদ হেলাল বলেন, তামাকজাত দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধির ফলে বেশী প্রভাব পড়ে স্বল্প আয়ের মানুষ এবং যুবকদের উপর। দরিদ্র মানুষের আয় কম, তামাকের পিছনে অর্থ ব্যয় তাদের জীবনযাত্রা ও মৌলিক চাহিদা পুরনের েেত্র বিরূপ প্রভাব ফেলে।

অপরদিকে যুবকরা তামাকের বিজ্ঞাপন দ্বারা বেশী আর্কষিত হয় এবং কম বয়সে তামাক ব্যবহার শুরু করে। তামাকজাত দ্রব্যের দাম কম হলে তরুণদের তামাক ব্যবহারে উৎসাহীত করে। রফিকুল ইসলাম বলেন, গবেষনায় দেখা যায় তামাকজাত দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি স্বল্প আয়ের ব্যক্তি এবং যুবকদের ধূমপান হতে বিরত/হ্রাস করতে একটি কার্যকর উপায়। বিশ্ব ব্যাংকের একটি গবেষণায় দেখা যায়, তামাকজাত দ্রব্যের মূল্য ১০ ভাগ বৃদ্ধিতে উন্নত দেশে ব্যবহার ৪% এবং উন্নয়নশীল দেশে ৮% কমে আসবে। ফলে স্বল্প আয়ের মানুষ তামাক না কিনে ঐ টাকায় খাদ্য বা নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস ক্রয় করতে পারবে।

ঐঁহমৎু ভড়ৎ ঞড়নধপপড় শীর্ষক গবেষণায় দেখা যায়, বাংলাদেশে ধূমপায়ী পিতামাতা তামাকের পিছনে ব্যয়কৃত অর্থের ৬৯% খাদ্য ক্রয়ের পিছেন ব্যয় করলে ৩৫০ জন শিশুকে অপুষ্টিজনিত মৃতু্য হতে রা করা সম্ভব হবে। উক্ত সেমিনারে প্রত্যাশা, ইপসা, হাঙ্গার প্রজেক্ট, জাতীয় অধূমপায়ী ফোরাম, মানবিক, উবেনীগ, ক্যাব, এইড, আরটিএম, মানব কল্যাণ সংস্থা, আইএসিআইবি, স্বভূমি, ওয়াক, নারী উন্নয়ন সংস্থা, মুক্তবাংলা, নতুন দিক, প্রচেষ্টা কল্যাণ সংস্থাসহ বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান এবং বাংলা বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীরা উপস্থিত ছিলেন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।