আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রীপোস্ট----একজন হাসান মশউদ চৌধুরী

একটা কিছু করে না দেখালে শান্তি নাই..............

মূল পোস্ট আমরা বাংগালীদের সবচেয়ে বড় গুণ হল,আমরা সব খুব তাড়াতাড়ি ভুলে যাই। আজ যদি আমরা যদুর হাতে মাইর খেয়ে মধুর বাড়ীতে যাই......কালই হ্য়তোবা আমরা যদুর একটা মিষ্ট ভাষায় তুষ্ট হয়ে আড়ি ভেঙ্গে তার হাতে হাত তুলে দিব। আমি এইটাকে গুণ ই বলব,,,,আপনারা নাই বা বলেন। যা.ই হোক........ আসুন কিছু অতীত স্মৃতিচারণ করি.........ফিরে যাই ১১ নভেম্বরের আগের সেই ভয়ঙ্কর দিনগুলোতে। সবে মাত্র তত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হয়েছে...........উপদেষ্টা পরিষদে আওয়ামী পন্থী শফি সামী,সুলতানা কামাল যেরকম ছিলেন,,,,,,আমাদের ধারণানুসারে বিএনপিপন্থী হাসান মশউদ চৌধুরী ও ছিলেন।

কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই আমাদের ধারণা পরিবর্তন হয়ে যায়,,,,,,,আমি নিশ্চিত আপনারাও এই ব্যপারে একমত হবেন যে......একমাত্র উনিই সরকারের অবিবেচিত সব পদক্ষেপের বিপক্ষে একাই লড়ে গেছেন............শেষ পর্যন্ত বিফল হয়ে আরো তিনজনকে নিয়ে পদত্যাগ করেছিলেন। আমি অন্যদের নাম আনছিনা এইজন্য যে.....বাকীরা এমনিতেই আওয়ামী পন্থী হিসেবে পরিচিত ছিলেন,,,,আর উনি অন্য ঘরানার। এই পদত্যাগ নিঃসন্দেহে একটা দৃষ্টান্ত আমদের দেশের জন্য কারণ আমরা আগে এইরকম কখনো দেখিনি,,,যে এত সহজে কেউ ক্ষমতা ছাড়তে চায়। আর পরে আমরা এও জেনেছিলাম যে,,,তিনি ই ছিলেন পদত্যাগ করার সিদ্বান্ত গ্রহনকারী এবং অন্যরা উনাকে অনুসরন করেন। আমরা এসব জানতে পারি পরে,,,যখন প্রথম আলো উনাকে নিয়ে ছুটির দিনের একটা সংখ্যা বের করে।

আমরা আরো জানতে পারি যে,,,খালেদা জিয়া উনার সেনাপ্রধান থাকার সময়সীমা বাড়াতে চেয়েছিলেন,,,কিন্তু উনি তা নাকচ করে দেন এই বলে যে..বাকী দের সুযোগ দিতে হবে। সেলুকাস!!!!!!!আমরা সত্যিই অবাক হয়েছিলাম। তখন আমরা উনাকে একজন সৎ মানুষ ভেবে নিয়েছিলাম। তারপর ১১,,,,,,,,,,তরিখের পর পট পরিবর্তন হল........উনাকে দুদক চেয়ারম্যান করা হল। অনেক মন্ত্রীদের আসল রূপ বেড়িয়ে আসতে থাকল.........এবং দুইজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী জেলে গেলেন.................এইটা অন্য কোন দেশের ইতিহাসে হয়েছে বলে আমার জানা নেই।

অনেকে বলবেন যে এটা সেনাবাহিনী করেছে.............কিন্তু উনি দুদক চেয়ারম্যান থাকাকালে এতসব মন্ত্রীদের দুর্নীতির দায়ে জেলে যাওয়ার দায়ভার যে পরে উনাকেই নিতে হবে,,,,,উনি নিশ্চয়ই তা জানতেন। আজকে কার্যত তাই হয়েছে। এই সাহস দেখানোর জন্য তো আমাদের কাছে উনি বীরের মর্যাদা পেতে পারেন। তাইনা??? যাই হোক............আমরা জানতাম এরা চুরি করেছে......কিন্তু কোন লাভ হলোনা। সবাই ছাড়া পেয়ে গেলো......সব বিফলে গেলো।

নতুন সরকার গঠিত হওয়ার পর.......সব চোর একাট্টা হতে থাকল। বিভিন্ন টক শো,,,পত্রিকায় দেখলাম....নতুন একটা বিষয়,,,,উনার বাড়ি। কতবড় হাস্যকর ব্যাপার যে..........অনেকে কিছু না জেনেই এই বিষয়ে মন্তব্য করতে থাকল..........এইটা না জেনেই যে...........এটা একটা প্রপাগান্ডা.........এটা একটা প্রতিশোধ। আসল ঘটনা কি সেই খবর কেউ নিল না। আজকে আমরা যখন দেখি যে........একজন মহিউদ্দিন খান আলমগীর......জেল থেকে বেরিয়ে এসে টিভি তে বসে লাইভ অনুষ্ঠানে.....বিশ্রিভাবে দুদক চেয়ারম্যান কে গালি দিতে থাকে......... তখন কি এদেশে থাকার ইচ্ছা চলে যায়না????? এদেশ তো কেবল অসৎ রাজনীতিকদের খেলার জায়গা........তারা যেভাবে আমদের নিয়ে খেলবে.........আমরা ও দৌড়াতে থাকব।

কিন্তু আর কতোদিন চলবে এসব????? কবে সৎ মানুষেরা তাদের প্রাপ্য সম্মান পাবে...........আগামীতে কেউ নিশ্চয়ই হাসান মাশউদের মতো আর সাহস দেখাবেনা। এটা আমাদের লাভ হলো না ক্ষতি????আমাদের কি কিছুই করার নেই???????


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।