আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইদানিং তোমার চেয়ে তোমার চুলের ব্যান্ডটাকেই বেশি প্রিয় মনে হয়



ইদানিং তোমার চেয়ে তোমার চুলের ব্যান্ডটাকেই বেশি প্রিয় মনে হয় মনে হয় ওকেই আমি বেশি ভালোবাসি--বেশি করি স্নেহ ভালোবাসতে বাসতে কালো করে ফেলেছি ওর তুলতুলে ফুলেল দেহ। ভাবছি দুয়েকদিনের মধ্যে ইচ্ছে মতো কচলে বের করে নেবো ভালোবাসার যতো ময়লা-দাগ আর গন্ধ। তারপর ধোপার মতো ফিরিয়ে দেবো তোমার হাতে। সবুজ ঘাস, ধবল বিছানা কিংবা তোমার পায়ে-চলার পথে পথে-- এলো-খোঁপার খুলো-খুলো দীঘল চুলের পিছু হেঁটে হেঁটে আমি ওকে কুড়িয়ে পাইনি। কেমন করে ‘ও’ আমার হলো তোমার মনে থাকার কথা-- কিন্তু কতোটা আমার হলো শুধু জানো না তুমি তা।

প্রথমরাতের কথা। বাসররাতের শরমাড়ষ্ট পুরনো দিনের নতুন বউয়ের মতো গভীররাতে (চেতন-অচেতন-অবচেতনে) ট্রাউজারের পকেট থেকে হাঁসের বাচ্চার মতো নীরবে নেমে এসে হাতের মুঠোয়; ঝরে পড়লো ফুলের মতো মরুপ্রান্তরের মতো নগ্ন খোলা বুকে--কিংবা বুকের ভেতর; অতঃপর হিম-তুলতুলে নরম-নিবিড় আর ছায়ার মতো ছোঁয়ায় প্রগাঢ় প্রশান্তি আর কী এক অপার মায়ায় আমাকে জাগালো সে রহস্য-ঘরে জাদুঘুমে ঘুমন্ত রাজকুমারের মতো। আমি জাগতেই ও ঘুমিয়ে পড়লো-- ও ঘুমাতেই তুমি এলে। অথবা তুমি আসতেই ও ঘুমালো। তুমি আসতেই নড়েচড়ে বসলাম নড়েচড়ে বসলাম মনে মনে।

মনে পড়লো কতো কী যে অকারণে করে মানুষ! পৃথিবীতে! জ্বলে-পুড়ে ছাই হয়---একা একা বোকার মতো হাসে---একা একা আকাশে তাকায়, ভাবে---যদি কারু মুখ যায় দেখা! গন্ধ শুঁকে বাতাসে---আরো কত কী যে করে মানুষ তার সবকিছু কী যায়--যাবে লেখা? কাঁদে লুকিয়ে--নির্জনে-গোপনে নামাজের মতো স্থান করে নেয় মসজিদের মতো বানায় স্থাপত্য-বর্ণিল বৃথা-ক্রন্দনালয়! এসব দেখে বার বার মনে হয় কতো কী যে জানে মানুষ তবুও যেনো কিছুই জানে না কতো কী যে বুঝে মানুষ তবুও যেনো কিছুই বুঝে না! সবকিছু জেনে-শুনে-বুঝেও শিশুর মতো অবুঝ আর যিশুর মতো সবুজ-যন্ত্রণায় যুগে যুগে মরে তারা-- ঝরে তারা অদ্ভূত ফাঁদে পড়ে-- আত্ম-আত্মায় হয়ে আত্মহারা! ওই একই অকারণের কারণে আমারো বুকের ভেতর দাউ দাউ চিতা জ্বলে ওঠে হৃৎপিণ্ড ফুঁড়ে আগুনের আঁচ লাগে বুকের ত্বকে ধক করে ওঠে বুক, ভয়ে। হঠাৎ মনে পড়ে ওখানেই শুয়ে আছে তোমার চুলের ব্যান্ড। শিউড়ে ওঠি। যদি পুড়ে যায় এই আগুনে! তাহলে আমি তোমাকে ফিরিয়ে দেবো কি? কোন মুখে আমি মুখ দেখাবো তোমার কাছে! তাহলে কী আমার আর তোমার কাছে আর কোনোদিনই ফেরা হবে না? স্নায়বিক গতিতে ছুটে যায় আমার মানবিক হাত। অম্নি চোখ থেকে মুষলধারে ঝরে পড়ে সাগরের মতো নোনা জল।

ক্রমশ ভয় কাটে। জয় হয় ভালোবাসার। বুক হয় শীতল। শীতের রাতের শীতার্ত হাতের মতো অধিকতর উষ্ণতার আর্তিতে অথৈ-সমুদ্রের খড়কুটোর মতো আঁকড়ে ধরি চেপে ধরি পিষতে থাকি ঘষতে থাকি আর ভালোবাসতে থাকি। বুক থেকে টুক করে তুলে নেই ঠোঁটে দিতে থাকি চুমার পর চুমা চুমোয় চুমোয় ভরিয়ে দেই চুমোয় চুমোয় গিলতে থাকি লিটার লিটার স্বর্গ-সুধা! ভালো লাগে।

ভালো লাগতেই থাকে---ভালোবাসলে। তাই ভালোবাসি। ভালোবাসতেই থাকি। আর অমন ভালোবাসতে বাসতে দেখি তোমার চেয়ে তোমার চুলের ব্যান্ডটাই এখন আমার বেশি প্রিয়---প্রিয়তম (নয় প্রিয়তমা!) আমাকে ক্ষমা করো। ক্ষমা করো রুমা।

(৫ এপ্রিল, ২০০৭)


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।