আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ব্যানানা বাংলাদেশ-২ (প্রথম আলোর ইহুদীডিম্ব!রিপোষ্ট

ট্রুথ নট সেইড টুডে, কুড টার্ন টু আ লাই টুমোরো
ব্যানানা বাংলাদেশ-১ লিখতে যে জোশ পাইছিলাম...এখন তা পাচ্ছি না। কারন ২টা। এক. জনাব শওকত হোসেন মাসুম তার ব্লগে যেতে মানা করেছেন আমাকে। আমার দোষ তার মহামুল্যবান পোষ্ট "বিশ্বমন্দার কবলে বাংলাদেশও " (অবশ্যি মহামুল্যবান, কারন তার লেখাটি প্রথম আলোতে প্রথম পাতায় প্রকাশিত লিড নিউজ, সামুতে স্টিকি ১৫৯টা কমেন্ট) কমেন্ট দিয়েছি "ভবিষ্যতে কারো চাটুকারী করার আগে তার প্রফাইলটা দেখে নিবেন। অধ্যাপক নুরিয়েল রুবিনি কে ?উইকিপিডিয়াতে দেখেন"...যার উত্তরে তিনি বলেছেন "ভাষা ঠিক না থাকলে আমার ব্লগে আসার আপনার দরকার নাই" এজন্যই বানানা বাংলাদেশ-১ এ সহস্রাধিক হিট পাবার পরো লেখার জোস পাই না।

দুই.আমার দৃঢ় সন্দেহ দেবপ্রিয় গং সফল ভাবে আইএমএফ এর ঝনের মূলা মাল মুহিতকে খাওয়াইতে পারছে। এর মানে আইভোরী কোষ্ট, ইন্দোনেশিয়া, এঙ্গোলা, জ্যামাইকার পথে আমরাও এক ধাপ এগিয়ে গেলাম। এখন আসেন...খোলাসা করি এক। মাসুম সাব শুরুতেই লিখছেন "নিউ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক নুরিয়েল রুবিনি ২০০৬ সালের ৭ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, অর্থনীতিতে সামনে ভয়াবহ মন্দা আসছে। এসময়ে যুক্তরাষ্ট্রে গৃহায়ন খাতে ধস নামবে, ভোক্তাদের আস্থা থাকবে সর্বনিম্ন এবং তেলের দামও কমে যাবে।

আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ধংস হয়ে যাবে। ---সেই নুরিয়েল রুবিনিকে এখন বলা হচ্ছে সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের একজন। তাঁর দিনরাত কাটছে বিভিন্ন দেশের অর্থমন্ত্রীদের সাথে। পরামর্শদাতা হিসেবে অধ্যাপক রুবিনি এখন সবার শীর্ষে। তাঁর প্রতিটি ভবিষ্যৎ বাণী নির্ভুল।

" কথা হলো ভবিষ্যতবানী রুবিনী একা করে নাই। ফরচুন পত্রিকায় ৮ জন ভবিষ্যতদ্রষ্টার নাম আছে। 8 who saw the crisis coming: CNN আরো অনেকেই বলেছেন যাদের নাম সিএনএন বলবে না। এই আট জনের মদ্দে ইন্টারন্যাশ্নাল ব্যাংকার, ফেডারেল রিসার্ভের লোকও পাবেন। এখন দেখে আসেন উইকিপিডিয়াতে এই রুবিনী কে? তিনি হলেন আইএমএফ, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক, ফেডারেল রিসার্ভ, ব্যাংক এফ ইসরায়েলের পলিসি মেকার।

এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষন করা হলে শওকত সাহেব বলেছেন "তাতে কি?"(!!!) এবং এর পরের কমেন্টে আমাকে ব্যান মারেন যারা ব্যানানা বাংলাদেশ ১ পড়েন নি, তাদের বলবো...ফেডারেল রিসার্ভ কি এবং কিভাবে ডলার তৈরী করে তা ভাল করে জানতে আগে ১ পড়ুন। এটি একটি সম্পূর্ন বেসরকারী ব্যাংক...যারা কোন অডিট করতে বাধ্য না মার্কিন সরকারের কাছে। কিন্তু ডলার তৈ্রী ও তার মান নির্ধারনের মতো গুরু দ্বায়িত্ত এটি পালন করে। ভিডিও ক্লিপ। ওয়াশিংটনের ফোনবুকেও ফেডএক্স(ফেডারেল এক্সপ্রেস) এর পরে ফেডারেল রিসার্ভ ব্যাংকের নাম...সব সরকারী অফিসের জন্য বরাদ্দ হলুদ পাতায় না।

একটা বেসরকারী ব্যাংককে ইচ্ছে মতো ডলার বানানোর দায়িত্ব দিলে যা হয়...তাই ঘটছে...তারা ইচ্ছে মতো ডলার বাজারে ছাড়ছে। যার ফলাফল ডলারের মূল্যপতন...মানে ইনফ্লেশন...মানে আগে যেখানে এক হালি ডিম কিনতে আপনার লাগতো ১২ এখন লাগবে ২৮...এটাই ইনফ্লেশন...যা আপনার উপরে একটা ট্যাক্স। আমি হয় তো বুঝাইতে পারি নাই, জিগাইস্ট/এডেন্ডাম মুভির ক্লিপ দেখেন আরেকটু বলি...টাকা/ডলার/ইউরো...আসলে কি? প্রাচীন সমাজে ছিল পন্য বিনিময় প্রথা...এটার সহজীকরন...কারন আপনার ডিমের বিনিময়ে মুলা কিনতে পারবেন না...যদি মূলা বিক্রেতার ডিম না প্রয়োজন হয়। এখন সকল সম্পদের একটা মূল্য নির্ধারিত আছে...ফলে কেনাকাটা সহজ হলো। মানে টাকা হলো সম্পদের মূল্য নির্ধারনী একক।

এখন বলেন একি পরিমান সম্পদের জন্য যদি আরো ১ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়া হয়...প্রতিটা একক সম্পদের মূল্য বাড়বে না কমবে? অবশ্যি বাড়বে...এটাই ইনফ্লেশন...ফেডারেল রিসার্ভ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠার ৯৪বছরে ডলারের অবমূল্যায়ন হইছে ৯৬%। কারন প্রতিটা যুদ্ধে আমেরিকা বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ছাপায়...এভাবেই। তাইলে এই ট্রিলিয়ন ডলারের(বায়বীয়) স্টিমুলাস প্রজেক্ট আসলে কি করবে? আরো ইনফ্লেশন বাড়াবে...তেলো মাথায় তেল দিবে। বাংলাদেশ ব্যাংক একি ব্যাংকিং মেকানিজম ফলো করে বা করতে বাধ্য হয়। বাংলাপিডিয়ার মতে আমাদের টাকা ছাপানোর কম্পানিটাও ১৯৯২থেকে বেসরকারী।

ফিরে আসি ব্যাংক এফ ইসরায়েলের পরামর্শদাতা রুবিনীর কথায়। তিনি ছিলেন বর্তমান ওবামার ট্রসারী সেক্রেটারী টিমোথি গাইদারের সিনিয়র আডভাইসার। এই টিমোথিই ওয়াল স্ট্রীট বেইল আউটের নামে আমেরিকানদের ট্যাক্সের বিলিয়ন ডলারের বন্টন করেছেন...যার এক সিকিও গৃহহীন, ঝনের জর্জরিত আমেরিকানরা পায় নাই...পুরাটাই গেছে সিটিব্যাংকের মতো হোমড়া চোমড়াদের পকেটে, যারা কিনা ওবামার মিলিয়ন ডলারের নির্বাচনী ব্যয়ের যোগান দিয়েছেন। হাজার পাতার বেইল আউট বিল পাশ করানো হয়েছে মিডিয়ার "বিশ্বমন্দা ধোয়া" তুলে...শেষ অংশ প্রকাশিত হবার মাত্র ২৪ ঘন্টার মধ্যে(পড়লো কখন?)। এমনকি সিনেটরদের মধ্যে এমন গুজবো ছড়ানো হয়েছে যে বেইল আউট বিল পাশ না হলে "আমেরিকায় মার্শাল ল" আসবে!!! যারা এখনো ওবামাকে দুনিয়ার রক্ষাকর্তা ভাবেন (অনেক হুজুরো এটা মনে করেন...হাজার হোক ওবামা মুসলমান!)তাদের জন্য বলছি।

নির্বাচিত হবার ছয় মাসের মধ্যে ইরাকের দখলদারী শেষ করার প্রতুশ্রুতি দিয়েছিলেন...নির্বাচিত হবার পর করেছেন উল্টা। প্রথমে বলছেন ১৬ মাস লাগবে...এর পরে বলেছেন ২৩ মাস লাগবে, সেই সাথে আফগানে আরো ৩হাজার সৈ্ন্য পাঠাইছেন। বাহ!ওবামার ক্যাবিনেটে "তলাহীন ঝুড়ি খ্যাত(কু)" হেনরী কিসিঞ্জারো আছেন। বাহ বাহ! ওবামা ডিসেপশন এখন বলেন, প্রথম আলো ও তার রিপোর্টার কি আমাদের বিশ্বমন্দার ইহুদীডিম্ব খাওয়ায় নাই? তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল...সবার মাঝে...এই বুঝ দেয়া...যে বিশ্বমন্দার জন্য কেউ দায়ী না, কিন্তু আমরা বিশ্বমন্দার ভিক্টিম(যেন এটা সাইক্লোন, ঘূর্নিঝড়), আমাদের এখন বাচার জন্য(!) স্টিমুলাস হিসেবে আইএমএফের(সকল জাতীয় স্বার্থবিরোধী শর্ত মেনে) কাছে থিকা ৬০-৮০হাজার কোটি ডলার লোন নিয়া ব্যাংকার, শিল্পপতিদের দিতে হবে। আর সেই লোনের বোঝা স্বরুপ আমাদের ট্যাক্সের টাকা ও জাতীয় সক্কল সম্পদের বীরাষ্ট্রিকরন করে মাল্টিনেশ্নালদের হাতে তুলে দিতে হবে।

----------------------------------- দুই। এবং আমাদের বাংলাদেশ এই অংশটা পরবর্তী সংখ্যায় লেখি। অফিসের কাজ করতে হবে। (চলিবেক) ------------------------------------- অন্যান্য লেখা ব্যানানা বাংলাদেশ-১ (ইকোনমিক হিটম্যান) প্রথম আলো তাহার জাত চিনাইয়াছে বাংলাদেশ আর্মির ওয়েবসাইটে তূর্কি হ্যাকার! Hey admin, ur Security=০) কন্সপিরেসি থিওরী-পারট ৩ (সিউডো-জ়ঙ্গি রাষ্ট্রের ছায়া) তুমি অধম হইলে আমি ততোধিক অধম হইব!
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।