আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পাগানিনি ও ভানেসা মেই (উৎসর্গ: মুয়ীজ মাহফুজ)

বাংলার মাটি বাংলার জল, বাংলার বায়ু, বাংলার ফল, পুন্য হউক, পুন্য হউক, পুন্য হউক, হে ভগবান। বাংলার ঘর, বাংলার হাট, বাংলার বন, বাংলার মাঠ, পুর্ন হউক, পূর্ন হউক, পূর্ন হ্‌উক, হে ভগবান। রবীন্দ্রনাথ
ভানেসা মেই। পুরো নাম-ভানেসা মেই ভানাকোরন নিকলসন। দুর্দান্ত বেহালাবাদক।

সেই নব্বুয়ের দশক থেকেই বেহালা বাজিয়ে দুনিয়া কাঁপাচ্ছেন ভানেসা মেই; বাজানোর স্টাইলটি অনেকটাই টেকনো । । ছড়ের টানে আছে লুকানো বিদ্যুৎ-আঙুলের চালনায় আগুনের ঝিলিক। আশ্চর্য এই-ভানেসা মেই-এর সঙ্গে উনিশ শতকের আরও একজন বেহালাবাদকে নানা বিষয়ে মিল রয়েছে-তিনি হলেন পাগানিনি। ভানেসা মেই-র জন্ম সিঙ্গাপুরে ২৭ অক্টোবর ১৯৭৮।

বাবা থাই; মা চৈনিক। তারপর এক সময় ভানেসা মেই-র মা-বাবার ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। ভানেসা মেই-র মা বিয়ে করেন গ্রাহাম নিকলসন নামে একজন ইংরেজ ভদ্রলোককে। পরিবারটি তারপর ইংল্যান্ডে চলে যায়; ভানেসা মেই-এর বয়স তখন মাত্র ৪। ব্রিটিশ নাগরিক হিসেবে লন্ডনে বড় হয় ভেনেসা।

৩ বছর বয়েসে পিয়ানোয় হাতেখড়ি। পাঁচ বছর বয়েসে বেহালায়। বেশি দেরি হয়নি সুর ফোটাতে। বালিকা বয়েস থেকেই নিয়মিত টিভি শো করত ভেসেনা। বেহালার ছড়ের টানের জাদু দেখে সবাই চমৎকৃত।

কয়েকদিন আগে আমি ইতালিয় বেহালাবাদক নিকোলো পাগানিনিকে নিয়ে লিখেছিলাম। লিখেছিলাম: আধুনিক ভায়োলিন বাজানোর কৌশলের পথিকৃৎ পাগানিনি। বেহালায় পাগানিনি এমন সব কৌশল দেখিয়ে গেছেন পরের প্রজন্মকে -পরের প্রজন্মকে এমন সব সুর দিয়ে গেছেন-যে কারণে আরজও বলা হয় ভায়োলিন ও পাগানিনি সমার্থক। আশ্চর্য এই-Vanessa-Mae, born October 27, 1978, coincidentally shares her birthday with famed violinist Niccolò Paganini, who was born 196 years earlier on October 27, 1782. এ ছাড়াও পাগানিনির সঙ্গে ভানেসা মেই-এর আরও কিছু সাদৃশ্য রয়েছে। পাগানিনি।

পাগানিনির জন্ম জন্ম ইতালির জেনোয়ায়- অক্টোবর ২৭;১৭৮২ খ্রিষ্টাব্দে। ৫ বছর বয়েসে বাবার কাছে প্রথমে ম্যান্ডোলিন শিখতে শুরু করে শিশু পাগানিনি-পরে ৭ বছর বয়েসে বেহালার ছড় তুলে নেন। লোকে বালকের প্রতিভা দেখল। বয়স বাড়ার সাথে সাথে আয় হতে লাগল বেহালা বাজিয়ে। ধীরে ধীরে নাম ছড়াতে লাগল।

স্থানীয় লোকে কদর করলেও -ইউরোপ চিনছিল না পাগানিনিকে। ট্যুরে বেরুলেন। লোকে তাঁর কনসাটে হুমড়ি খেয়ে পড়ল। লন্ডন। প্যারিস।

ভীষন জুয়াও খেলতেন পাগানিনি। ছিলেন রমনীমোহন। তাতে সিফিলিস ধরা পড়ল। অষুধ খেতে হল। সেসময় সিফিলিসের অষুধ তৈরি হত পারদ দিয়ে-তাই হল কাল।

১৮৩৪ সালে থ্রোট ক্যানসারে মারা গেলেন ইতালির নিসে। তবে, পাগানিনির জীবন যেমনই হোক- অতুলীয় সংগীত স্রষ্টা ছিলেন পাগানিনি। তখন বলছিলাম- আশ্চর্য এই-ভানেসা মেই-এর সঙ্গে উনিশ শতকের আরও একজন বেহালাবাদকে নানা বিষয়ে মিল রয়েছে-তিনি হলেন পাগানিনি। আসলেই তাই-তরুণীজীবনে কী কারণে সহসা খানিকটা উগ্র হয়ে উঠলেন ভানেসা । বদলে গেল গানের ধরন- পোশাক-আশাকেও লাগল পরিবর্তনের ছোঁওয়া।

বেহালার ছড়ে ছড়ে বিদুৎ। স্টেজে উদ্দাম নাচ। ঈষৎ খোলামেলা পোশাক ... নিচের ছবিটা দেখলে কিছুটা আঁচ করা যায়- তবে পাগানিনি বাজাতে বড় ভালোবাসেন ভানেসা । সময়সুযোগ পেলেই পাগানিনি বাজান। কখনও রিমিক্স করে বাজান-কখনও আদিরুপ বজায় রাখেন।

পাগানিনির ২৪ নম্বর ক্যাপ্রিসও বাজিয়েছেন ভানেসা। ইউরোপীয় সঙ্গীতে caprice হল;a piece of music, usually fairly free in form and of a lively character. পাগানিনির ২৪ নম্বর ক্যাপ্রিস জগদ্ববিখ্যাত এক কম্পোজিশন। জাসচা হেইফ্লেটয-এর বাজানো ২৪ নম্বর ক্যাপ্রিস গিটারে পাগানিনির ২৪ নম্বর ক্যাপ্রিস এবার দেখুন ভানেসা মেই ওর ব্যান্ড নিয়ে ২৪ নম্বর ক্যাপ্রিস কীভাবে বাজিয়েছেন-
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।