আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমার দেখা ৭১ :: শাহাবাগ স্কয়ার । আমি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বলছি :: আমি ট্রাইবুনালকে বলছি !!

দুঃখ সুখ, অহম খেলা খেলছে মানুষ, যখন তখন, বাঊন্ডুলে, ভাবনা গুলোয় বিভোর আমার, আপন ভুবন। আমার আবেগ বলেন, আমার আকাঙ্খা বলেন কিংবা মনের ভিতর লুকিয়ে থাকা আগুন জ্বলা ইচ্ছাই বলেন? অনেক দিন ধরে লালন করে আসছি এমন একটি আন্দলনের । কারন আমার বাবা একজন মুক্তিযোদ্ধা এবং আমার পুরু পরিবারের মদ্ধ্যে আমার দাদা, বাবা, চাচা, আমার দাদার ভাই সব মিলিয়ে ১৫ জন মুক্তি যোদ্ধা। আমি সেই পরিবারে ছেলে, যে পরিবারের সবাইকে দেখি এবং দেখেছি সৎ জীবন যাপন এবং মুক্তির চেতনা নিয়ে জীবন ধারন করতে, যার কারনে আমাদের বড় হতে হয়েছে অনেক কষ্ট করে। অথচ এই দেশের সাথে যারা বেঈমানি করেছে, ঘতক দালাল ছিল তারা এয়ারকন্ডিশন গাড়ি আর আমাদের জাতীয় পতাকা নিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছে আমাদের চোখের সামনে দিয়ে।

তাদের কোন বিচার হয়নি কখনো উল্টা তাদের সবল করতে সাহায্য করা হয়েছে। অনেক হয়ত ভাবতে পরেন কষ্ট করে বড় হয়েছি তাই এই ক্ষোভ আমার না আসলে তা নয় সৎ জীবন যাপনের জন্য না খেয়ে থাকতে রাজি আছি আমরা এমনটাই শিক্ষেছি পরিবারের কাছ থেকে ছোট বেলা থেকে। যাই হোক মূল প্রসঙ্গে আসি। এই সরকার আসার পর আমার বুকের ভীতরের আশাটাকে জ্বালিয়ে দিল এই ঘৃন্য রাজাকারদের বিচার এবং ফাঁসি দিবে বলে। অনেক দিনের আন্দলনের ফল স্পেসাল ট্রাইবুনাল তৈরি করা হল, আমিতো মহা খুশি আরে আমি কি বলছি আমার মত সব মুক্তি যোদ্ধার সন্তানরাই খুশি না না শুধু তারা নয় এই বাংলার মুক্তি যুদ্ধ্যের চেতনা ধারন কারি প্র‌্ত্যেকটি সাধারন মানুষই মহা খুশি।

প্রথম রায় হল আমিতো খুশিতে আটখানা না শুধু আমি না সারা বাংলার চেতনা ধারি মানুষই মহা খুশি। কিন্তু তারপর এ কোন বদ হাওয়া লাগলো আমাদের সপ্নের ট্রাইবুনাল .এ। যেখানে একটা খুন প্রমানিত হলে ফাঁসি হবে সেখানে ৫টা প্রমান হবার পরও হলো না শুধু ৫টা খুন হলেওতো হতো একেকবারে একসাথে অনেক মানুষ খুন করার অপরাধ। তবু ফাঁসি হলো না। আমি হতাস হলাম খুব, কাণ্না পাচ্ছিলো, কি করবো ভাবছিলাম অফিস এ ব্যাস্ত ছিলাম মনের কষ্টের কথাগুলো ব্লগে শেয়ার করবো সিন্ধান্ত নিলাম এবং অফিস ছুটি হবার অপেক্ষায় থাকলাম হঠাৎ শুনলাম আন্দলনের ডাক দেওয়া হয়েছে আমারদের ব্লগারদের একজন।

বুকটা ভরে উঠলো আবার ভাবলাম আমাদের কথা কজন আর শুনবে তবু একটা জোনাক আলো আশা নিয়ে রওনা হলাম শাহাবাগে এ। তারপর শুরু হল আমার সপ্নের বাস্তবায়ন,শ থেকে হাজার আর হাজার থেকে লক্ষ মানুষের দাবি একটাই রাজাকারের ফাঁসি চাই, আবার শুনলাম সেই স্লোগান যেগুলা সাহায্যে আমরা পেয়েছিলাম আমাদের স্বাধীনতা পেলাম সেই স্লোগান দেওয়ার সুযোগ । আমার কাছে এ আর এক মুক্তি যুদ্ধ আমার এটা ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি না এটা ১৯৭১ সালের ফেব্রুয়ারী এবং আমি জানি এই ভাবনাটা শুধু আমার না সকল মুক্তি যুদ্ধার সন্তানদের না না শুধু তাদেরই নয় এটা সারা বাংলার গন-মানুষের দাবি এবং অবশ্যই সেটা একটাই "রাজাকারের ফাঁসি চাই"। বাংলার বুকে হাঁসি চাই। আর ট্রাইবুনাল এর মাননীয় বিচারকগনের কাছে আমার অনূরোধ রইলো আপনারা ভয় পাবেন না আপনার ভীতিহিন রায় দিন এবং নিশ্চিন্তে থাকুন বাংলার মানুষ আপনাদের সাথে আছে।

আর সরকারকে বলছি আপনারা আইন সংশোধনের যে উদ্যগ নিয়েছেন তা তাড়াতাড়ি জরুরী মন্ত্রীসভা বৈঠকে পাশ করে সংসদে এটাস্টেড করুন এবং বাদীপক্ষের আপিল করার সুযোগ নিয়ে আসেন এবং কাদের মোল্লা শ সমস্ত রাজাকারের ফাঁসি নিশ্চিত করতে মহামান্য আদালত কে সহযোগিতা করুন। নাইলে মনে রাখবেন আমরা যুব সমাজ আপনাদের যে অঙ্গিকারের জন্য এইবার ক্ষমতায় এনেছিলাম তা এমন ডুবা ডুববে যে আপনাদের এই মূহুর্তের হর্তাকর্তারা মৃত্যুর পরও শিহরিত হবে। আর বিরোধীদল কে বলছি আপনারা বেকুবের মত কথা কম বলেন, আমাদের আন্দলনে আপনাদের কোন প্রয়োজন নাই এবং জামাত নিয়ে যদি থাকেন তবে অনেক আগের বাংলা সিনেমার একটা ডায়ালগ শুনছিলাম যে "মারবো এখানে শালা লাশ পড়বে শ্বশানে", এই ডায়ালগ আর ডায়ালগ থাকবেনা আপনাদের উপর প্রয়োগ করা হবে। বাঁচতে চাইলে জামাত কে বর্জন করুন। বাংলার প্রতিটি মানুষের কাছে একজন মুক্তি যুদ্ধার সন্তান হিসেবে আমার আবেদন না আবদার আসুন একসাথে এই আন্দলন সফল করি আর বজ্র কন্টে বলতে থাকিঃ "এক হও, লড়াই করো ফাঁসির দাবি, আদায় করো।

" সমস্থ মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের সন্তানদের পক্ষ থেকে । শুভকামনা রইল সবার জন্য। আর সব সময় বলি জামাত শিবির রাজাকার, এই মূহুর্তে বাংলা ছাড়। ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি চাই, রাজাকার ফাঁসি চাই। জয় বাংলা ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.