আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুর হত্যার সময় যেই যুদ্ধাপরাধীরা জেলে ছিলেন তাদের বিচার করা হোক আগে

জীবন বুনে স্বপ্ন বানাই মানবজমিনে অনেক চাষ চাই

আমরা অনেকেই জানি, বঙ্গবন্ধুর হত্যার সময়ে অনেক চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী জেলে ছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে খুন, ধর্ষণ, লুটপাট, হামলাসহ নানা ভয়াবহ অভিযোগ ছিল। সেই সব অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে বিচার চলছিল। রাজাকার চিকন আলী নামে এক ব্যক্তির সাজাও হয়েছিল। যেভাবে বিচার চলছিল, তাতে করে যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ প্রমাণিত হত, তাদের শাস্তি অবধারিত ছিল।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে শেখ মুজিবুর রহমান নিহত হন। খন্দকার মুশতাক ক্ষমতায় আসেন। ৪ নভেম্বর পর্যন্ত এই সরকার টেকে। ৪ তারিখে সামরিক অভু্্যত্থান করেন খালেদ মোশারফ। কিন্তু খালেদা মোশারফ ক্ষমতা দখল করেন নি।

তিনি সম্ভবত কোন রাজনৈতিক নেতৃত্ব গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। এই সময় জিয়াউর রহমান ক্যান্টনমেন্টে বন্দি ছিলেন। বন্দী জিয়া নারায়ণগঞ্জে কর্মরত কর্নেল তাহেরের কাছে তাকে মুক্ত করার আবেদন জানান। কর্নেল তাহের সৈনিকদের মধ্যে খালেদ মোশারফের বিরুদ্ধে পাল্টা অভু্যত্থান করার আহবান জানান। তিনি সফল হন।

কেননা এই সময়ে গুজব ছড়িয়েছিল খালেদ মোশারফ আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনতে চান। কিন্তু কর্নেল তাহের সমাজতন্ত্রের স্বপ্ন দেখতেন। ৭ নভেম্বর কর্নেল তাহের অভু্যত্থান করে সফল হন। খালেদ মোশারফ নিহত হন এবং জিয়া মুক্ত হন। সামরিক শাসন জারি করেন জিয়া।

কর্নেল তাহেরকে যখন পুরস্কৃত করার কথা, তখন জিয়া তাকে মিথ্যা কোর্ট মার্শাল করে মৃতু্্যদণ্ড দেন। তারপরের ইতিহাস ভয়াবহ। জিয়া জেলে থাকা যুদ্ধাপরাধীদের ছেড়ে দেন। বলা হয়, শেখ মুজিবর রহমান তাদের ক্ষমা করে দিয়েছিলেন। বাংলাদেশের রাজনীতিতে মিথ্যা প্রচারণার মধ্যে সবচেয়ে সফল প্রচারণা এটি।

মুজিব যদি এদের ক্ষমাই করবেন, তবে তারা জেলে ছিলেন কেন এবং তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিচার চলছিল কেন ? বহুদলীয় গণতন্ত্রের নামে জিয়া যুদ্ধাপরাধী রাজাকার জামায়াতকে রাজনীতিতে পুনর্বাসন করেন। পরবর্তীতে জিয়ার পথ ধরেই খালেদা জিয়া রাজাকার মন্ত্রী উপহার দিয়েছেন। বর্তমানে দেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে জনগণ সোচ্চার। বর্তমান সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছে। তাই বিচার যদি করতে হয়, যাদের বিরুদ্ধে বিচার চলছিল এবং যারা জেলে ছিল, তাদের ধরে জেলে ঢুকানো দরকার।

সবার আগে এদের বিচার করা দরকার।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।