আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

OnLive মাইক্রো কনসোল

আমি একজন শিল্পী, গেমার এবং প্রোগ্রামার
আমার সহ অনেক গেম ডেভেলপারদেরই মনে হচ্ছে যে সনি, মাইক্রোসফট আর নিন্টেন্ডোর গেমিং কনসোলের ব্যাবসা বোধ হয় শেষ হয়েই গেল এবার অনলাইভের কারনে। এটির ডেভেলপাররা বলেছে যে তুমি হয়ত গেম খেলার জন্য আর কোনদিন হার্ডওয়্যার বা কোন কনসোলই কিনতে চাইবা না কেননা অনলাইন মাইক্রো কনসোলের দাম নিন্টেন্ডো Wii এর চেয়েও কম হবে। অনলাইভ হল নতুন ভিডিও গেম অন ডিমান্ড সার্ভিস যেটা হয়ত আমাদের গেম খেলার নিয়মকেই পরিবর্তন করে দিবে। মানুষ যেভাবে নতুন গেম কিনে ঘরে নিয়ে যায় তার চেয়ে তাড়াতাড়ি তারা হার্ডওয়্যার আপডেটের ব্যাপারে চিন্তা করে। অনেকে এরই জন্য ক্রাইসিসের মত গেম মিক্সড সেটিংস এ খেলে।

অনলাইভ সিস্টেম গেমিং এর সকল প্রোসেসিং ই এর সার্ভার। খেলার জন্য আমাদের যা দরকার তা হল একটা কম দামি অনলাইভ মাইক্রো কনসোল একটি কম রিসোর্স সম্পন্ন কম্পিউটার বা যেকোন টিভি এবং একটি ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট কানেকশন। আশা করি আপনারা আন্তর্জাতিক ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট কানেকশন মানে বুঝছেন যে কতটা স্পিডি। এতেই খেলা সম্ভব খুবই রিসোর্স পিপাষু গেমগুলো তাও আবার সর্বোচ্চ সেটিংসে। যেমন ক্রাইসিস, জিটিএ ৪, ফারক্রাই ২, মিরর'স এজ ইত্যাদি।

এখন কথা হল এটি কিভাবে কাজ করে। আশা করি আমার আগের পোস্টটি পড়েছেন। পড়লে হয়তো সামান্য ধারনা পেয়ে গেছেন ইতিমধ্যে। জিনিসটি খুবই সাধারন। সাভাবিক গেমের মত কনট্রোলার ইনপুট হাত থেকে কনট্রোলার হয়ে আমাদের সামনে থাকা প্লাটফর্মে যায় না।

বরং আমাদের হাত থেকে কনট্রোলার হয়ে কনট্রোলার ইনপুট ডাইরেক্ট চলে যায় সার্ভারে। সার্ভার তখন ফেরত হিসেবে স্ট্রিমড ভিডিও পাঠায়। যে ধরনের কনট্রোলারই ব্যবহার করেন না কেন ইনপুট চলে যাবে সার্ভারে। ভিডিও পাঠাতে অনেক ধরনের এলগরিদম ব্যবহার করা হয়েছে। ভিডিওর রেজুলেশন নেটের স্পিডের উপর নির্ভর করে।

HD আউটপুট পেতে হলে ৫ গিগাবিট/সেকেন্ড স্পিডের নেট লাগবে। Wii এর মত রেজুলেশনের জন্য লাগবে ১.৫ গিগাবিট/সেকেন্ড স্পিডের নেট। তারা বলেছে যে অনলাইভের সর্ভার একটি ভিডিও ফিডের পিং করার জন্য ১ মিলিসেকেন্ডেরও কম সময় লাগে। এর ভিডিও কমপ্রেসন টেকনিক পারফর্ম করতে এক মিলিসেকেন্ড সময় লাগে। স্পিডি নেটের মাধ্যমে এটা ব্যবহারের মানে হচ্ছে কোন ইন্সটলের প্রয়োজন নেই।

যেকোন প্লাটফর্মেই ব্যবহার করা যাবে। যেকোন সময় ডেমো ট্রাই করা যাবে। এমনকি গেম ভাড়া নেয়াও যাবে। এর জন্য যে পাবলিশাররা কাজ করছেন তারা হলঃ EA, THQ, Codemasters, Ubisoft, Atari, Warner Bros, Take-Two, 2D Boy এবং Epic Games. ডেভেলপারদের অনলাইভে গেম রান করার কৌশলটা আবার একটু অন্য রকম। এমন কি ডেভেলপারদের জন্য SDK ও আছে।

এবারের GDC তে অনলাইভ ১৬টি গেম দেখাচ্ছে। কিছু কিছু খেলার জন্য দেয়াও হচ্ছে। তবে অনলাইভের বেটা এবারের গ্রীষ্মে আসবে। অনলাইভ মাইক্রো কনসোলটি খুবই ছোট। এতে কোন GPU বা অন্য কোন প্রোসেসিং এর জন্য কিছুই নেই।

এটা শুধু মাত্র ভিডিও ডিকোডিং এর যন্ত্রের মত। এতে নেটের কানেকশনের জন্য পোর্ট সহ দু'টি USB পোর্ট আছে। ব্লুটুথের মাধ্যমে ৪টা কনসোল কানেক্টেড হতে পারবে। এর দামও অনেক কম হবার কথা বলে তারা জানিয়েছেন। অনলাইভে ১৫ সেকেন্ডের ক্লিপ সেভ করার অপশন আছে।

হয়তো আপনারা এর পারফর্মেন্স নিয়ে চিন্তা করতে পারেন। কিন্তু আমি এতে ক্রাইসিস ওয়্যারস খেলা দেখেছি। এবং কোন সমস্যা ধরতে পারিনি। অবশ্য এখনও জিনিসটা বেটা টেস্টিং চলছে। অনলাইভ বানাতে ৭ বছর সময় লেগেছে।

এখানে ফ্রেন্ড ম্যানেজমেন্ট করার ব্যাপারটাও চমৎকার। এখন দেখা যাক অনলাইভ আমাদের কি উপহার দেয়। আমরা সকল ডেভেলপাররা এটা নিয়ে অনেক চিন্তা ভাবনা এখনই শুরু করে দিয়েছি।
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.