আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সুন্দরীদের জীবনচক্র- শেষ পর্ব (সম্পূর্ণ আজাইড়া পোস্ট)

বুকের ভেতর বহুদূরের পথ.........
আগের পর্বগুলো না পড়ে থাকলে (সম্ভাবনা অবশ্য খুবই কম), এখুনি পড়ে নিন। Click This Link [ ] [ সুন্দরীদের পড়ন্ত বেলা: মরা যৌবনের দাম ** টাকা মনে আছে, ১৯৯৬ সালে যখন আওয়ামী লীগ নির্বাচনে জিতেছিলো- বিএনপি সবাইকে বেশ অবাক করে ১১৬ টা সিট পেয়ে ছিলো। আমার এক বন্ধু, কট্টর আওয়ামী লীগ সাপোর্টার- সে মোটামুটি উঠে পড়ে লাগলো বিএনপির এত সিট পাওয়ার রহস্য ভেদ করতে। যারে যেখানে পায় তারেই জিজ্ঞেস করে কাকে ভোট দিছে, (ধানের শীষে ভোট দিয়ে থাকলে) কেন দিছে, হ্যান ত্যান...। তো এভাবে একদিন এক রিক্সাওয়ালার সাথে তার কথা হলো।

ভোট দিয়েছে ধানের শীষে। বন্ধু সম্পূরক প্রশ্ন করলো কেন ধানের শীষে ভোট দিলেন? রিক্সাওয়ালা এক বিশাল ভেটকি দিয়ে জানালো "খালেদা জিয়া বড়ই সৌন্দর্য্য"! সেই ১৯৯১ সাল থেকে প্রতিটি নির্বাচনে দেশনেত্রী বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে সর্বোচ্চ যতগুলো আসনে দাড়ানো যায় ততগুলো আসনেই দাঁড়িয়েছেন এবং প্রতিবারই বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছেন। তাঁর দল হেরেছে একাধিক বার কিন্তু তিনি কখনো হারেননি। আমার ব্যক্তিগত ধারণা এক গোপালগঞ্জ ছাড়া বাংলাদেশের যেকোন জেলা থেকেই তিনি পাশ করে আসতে পারবেন। তাঁর এই বিপুল জনপ্রিয়তার কারণ শুধুই জিয়াউর রহমানের পরিচয়, বিশ্বাস করা কঠিন।

আর তাইতো নির্বাচনের দিন তাঁকে দেখি (সম্ভবতঃ শফিক রেহমানের পরামর্শে) ঝলমলে গোলাপী শিফন শাড়িতে, সানগ্লাস চোখে। বাংলাদেশের বড় বড় পদ গুলো যেমন মন্ত্রী, সাংসদ, মোবাইল কোম্পানীর শীর্ষ কর্মকর্তা, এনজিও নেত্রী, মিডিয়ার হর্তকর্তা- সবজায়গাতেই সুন্দরীদের ব্যাপক উপস্থিতি চোখে পড়ে। (দু'একজন **রা খাতুন এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম বলেই গণ্য হবেন) সারা পৃথিবীতেই বড় বড় পলিটিশিয়ানগণ তাদের সুন্দরী বউদের মাধ্যমে মিডিয়ার আরো বেশী নজর কাড়ার চেষ্টা করেন। টিভি সিনেমায় ভাবী খালাম্মা চরিত্রে যাদের দেখি তাদের বেশীর ভাগই প্রাক্তন নায়িকা এবং সুন্দরী। ছুড়ি থেকে বুড়ি, কোন অবস্থাতেই আমরা মিডিয়াতে সুন্দরী ছাড়া অন্যকিছু মানতে পারিনা।

নায়ক চরিত্রে মোশারফ করিম-হাসান মাসুদকে আমাদের হজম হয় কিন্তু নায়িকা থেকে শুরু করে খালাম্মা-ভাবী-নানী সবখানেই সুন্দরী (বর্তমান বা প্রাক্তণ) ছাড়া আমাদের চলেনা। যাই হোক এভাবেই একটি ঘটনাবহুল জীবন পার করে সুন্দরীরা একদিন জীবনের সায়াহ্নে এসে উপস্থিত হন। ততদিনে তাদের মেয়ে (যদি থাকে) বড় হয়ে যায়। সুন্দরীর মেয়ে সাধারণতঃ সুন্দরীই হয়, তাই আরেকটি জীবনচক্রের সূচনা হয়। .........এবার প্রথম পর্ব থেকে আবার পড়ুন.. শেষকথাঃ যে যেভাবেই দেখুন না কেন, আমার কাছে মনে হয় সুন্দরীদের জীবন খুব কষ্টের।

খুব প্রভাবশালী ফ্যামিলীর মেয়ে না হলে আমাদের সমাজ একটা মেয়ের নিরাপত্তা দিতে পারেনা বিশেষ করে মেয়েটি যদি সুন্দরী হয়। এই জন্য সুন্দরীদের বাধ্য হয়ে নিজের নিরাপত্তার জন্য নানা রকম ছলচাতুরীর আশ্রয় নিতে হয়। পত্রিকায় পড়েছিলাম গোলাম ফারুক অভি শমি কায়সারকে একবার ব্ল্যাকমেইল করতে চেয়েছিলো, শমি পরিস্থিতি সামাল দেন শীর্ষ সন্ত্রাসী প্রকাশ/বিকাশকে ব্যবহার করে। পাশ্চাত্যে একটা কথা প্রচলিত আছে, একজন সুন্দরী মেয়ে কমপক্ষে তিনবার পুরুষসঙ্গী বদলের পর তার আদর্শ সঙ্গী খুঁজে পায়। কারণ তার সামনে চয়েস এত বেশী থাকে যে ঠান্ডা মাথায় স্বিদ্ধান্ত নিতে পারেনা।

কিন্তু আমাদের দেশে সুন্দরীদের ভুল স্বিদ্ধান্তের কোন ক্ষমা নেই, সারাটা জীবন সেই ভুলের মাশুল গুণতে হয়। তাই বেঁচে থাকতে হলে, টিকে থাকতে হলে প্রতিটা সুন্দরীকে হতে হয় বাস্তববাদী, নির্মম। আমরা যারা সুন্দরীদের লক্ষ্য করে কেবল কবিতাই রচনা করে যাই তাদের জন্য এই ব্যাপারগুলো বোঝা একটু কঠিন বৈকি।
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.