আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আর্সেনিক বিষ খাচ্ছে কুড়িগ্রামের লাখ লাখ মানুষ



আর্সেনিক বিষ খাচ্ছে কুড়িগ্রামের লাখ লাখ মানুষ ২২ মার্চ ছিল বিশ্ব পানি দিবস। সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও বর্ণাঢ্য আয়োজনে পানি দিবসের অনুষ্ঠান সাজানো হলেও কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার লালচিহৃত শত শত নলকুপের আর্সেনিক যুক্ত পানি পান করা প্রায় ২ লাখ মানুষ জানেন না পানি দিবস কি। কিংবা নিরাপদ পানির সংস্থান তাদের কিভাবে হবে। এই উপজেলার সর্বত্র আর্সেনিক আতংক। প্রায় ৫ হাজার আর্সেনিক যুক্ত নলকুপ সীল করে লাল চিহৃ একে দেয়া হয়েছে কয়েক বছর আগে।

গোটা উপজেলায় আর্সেনিক মুক্ত টিউবওয়লের সংখ্যা হাতে গোনা। সরকারী হিসেবে আর্সেনিক আক্রান্ত ১৬৫ হলেও বেসরকারী হিসেবে আক্রান্তের সংখ্যা কয়েক হাজার। প্রয়োজনীয় সরকারী উদ্যোগের পাশাপশি বেসরকারী উদ্যোগও তেমন না হওয়ায় অভাবি এলাকার মানুষজন পান করছে আর্সেনিক নামক তরল বিষ। জানা গেছে, উত্তরাঞ্চলে প্রথম কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলায় ১৯৯৭ সালে সন্ধান মেলে আর্সেনিক রোগির। তালুক সুবল গ্রামের আ: সালাম মাষ্টারের পরিবারের সকলেই আর্সেনিকে আক্রান্ত হয়।

এর পরপরই ঐ উপজেলায় নলকূপের পানি পরীক্ষা করলে সহনীয়মাত্রার অতিরিক্ত আর্সেনিক মেলে ৫হাজারেরও অধিক নলকূপের। তৎনিক সীলে গ্রামের পর গ্রামের নলকূপ লাল রঙে ছেয়ে যায়। এরপর বছরের পর বছর অতিবাহিত হয়েছে খোঁজ রাখা হয়নি ঐসব নলকুপের। আক্রান্ত রোগিদেরও তেমন খোঁজ নেয়া হয়নি। তার পান করছে আর্সেনিক বিষ।

এমন অভিযোগ এলাকাবাসীর। সরেজমিন এ উপজেলার ঘুমারু ঢেমসি তরা,ফুলকা, ডাং হাট, ফরকের হাট, ছোট মইশমুড়ি, বারাকান্দি, উমর পন্থাবাড়ি, তালুক সুবল, অর্জুন মিশ্রসহ বিভিন্ন গ্রামের মানুষের সাথে কথা বললে তারা জানান, ৮/১০ বছর আগে এসব গ্রামে পানি পরীক্ষা করা হয়। তাতে প্রায় সব টিউবওয়েলই আর্সেনিক ধরা পড়লে লাল কালি দেয়া হয়। কিন্তু তারপর থেকে কোনো খোঁজ খবর নেয়া হয়নি। টিউবওয়েলের রং উঠে গেছে সেই পানিই পান করছে সবাই।

রাজারহাট উপজেলা আর্সেনিক জোন হিসেবে ভয়াবহ অবস্থায় রয়েছে বলে স্বীকার করে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল টিউবওয়েল প্রতিস্থাপনের কিছু চেষ্টা করছে বলে উপজেলার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের উপ-সহাকারী আরেফ বিল্লাহ ডাকুয়া জানান, আমাদের চেষ্টা একেবারে যতসামান্য। এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম সিভিল সার্জন ডা. মো: তৌফিকুল ইসলাম নানা রকম জন সচেতনতার কথা বলে জানান, দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে আর্সেনিক আক্রান্ত রোগির সংখ্যা। তবে রোগিদের জন্য পর্যাপ্ত ওষুধ রয়েছে সকল উপজেলা হাসপাতালগুলোতে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.