আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ডিজিটাল হত্যাকান্ডে ক্ষতবিক্ষত বাংলাদেশ!

আমি লিখতে চাই আমিও বলতে চাই।

ডিজিটাল হত্যাকান্ডে ক্ষতবিক্ষত বাংলাদেশ! ২৫ ফেব্রয়ারী২০৯ রক্তে রাঙ্গানোর একটি মাসে দেশে ঘটে গেল র্ববর হত্যাকান্ড। এটা ২১ নয়। এটা পঁচিশ। তুচ্ছ অযুহাতে রক্তাক্ত হল পিলখানা প্রান্তর।

নাম তার বিডিআর বিদ্রোহ। আসলে কি ঘটে ছি সেই দিন। অজানাই রয়ে গেল। পত্রিকায় চৌকস সামরিক অফিসারদের মৃতদেহ ও স্বজনদের কান্না একদম দম বন্ধ হয়ে আসছিল। প্রতিটা মূহুর্ত মনে হচ্ছিল আমরা বুঝি শেষ হয়ে গেলাম।

বিডিআর জোয়ানরা হঠাৎ এমন হয়ে উঠল কেন। কারা বারুতে আগুন দিল। সেই আগুনের লেলিহান শিখা দাউদাউ করে পুড়ে খেতে লাগল পুড়ে জাতির অন্তর। এবার তো বিরোধীদল নয় কিংবা সরকারী দল্ও নয়। ওরা আমার দেশের ক্ষতি করল।

তারপর্ও কেন জাতীয় দুর্যোগে কাদা ছোড়াছুড়ি। প্রতিরক্ষা বাহিনী দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন বিষয়। এটাকে কলংকিত করার চেষ্টা করল যারা তাদের মুখোশ উম্মোচন প্রয়োজন। এটা কোন বিদ্রোহ নয় ষড়যন্ত্র। বাংলাদেশী জাতিকে নেতৃত্বহীন করার ষড়যন্ত্র।

বিডিআর যারা চাকুরী করে তারা শিক্ষায় অনেক দুর্বল। এই পেশায় এসে বিডিআর জোয়ানরা তাদের পর্বপুরুষদের অবস্থান থেকে সামাজিকভাবে উন্নতি লাভ করেছে। তাদের দাবী দাওয়া থাকতেই পারে। তবে তাদের মনে রাখা উচিত তারা যখন চাকুরীতে যোগদান কেরে তখন তারা শর্তস্বাপেক্ষেই যোগদান করে। যেই বিডিআর নিয়ে ( পাদুয়া উদ্ধারের ) আমরা গর্ব করি।

আজ সেই বিডিআর নাম কেন আতংক। এই বাংলা দেশ প্রেমিক মানুষ উপহার দিতে পারে না। শুধু গাদ্ধার আর বিদ্রোহীর জন্ম দিয়ে যাবে। এটা ভেবে ব্যাকুল হই। আবার ভাবি হতাশা ঝেড়ে ফেলে।

আমার যদি দুইটা ছেলে থাকে তাহলে সবচেয়ে মেধাবী সন্তানকে সেনাবাহিনীতে দিব। কারন দেশের যে ক্ষতি হয়েছে সেই ক্ষতি যেন পুশিয়ে নিতে যদি পারি। মুখ ডাকা বিডিআর জোয়ানরা বলে, সেনা বাহিনী এটা করেছে। সেটা করেছে। দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়িয়েছে।

দুর্নীতি করেছে। আর নৃশংশ ভাবে সামরিক অফিসারদের হত্যা করে নির্দয়ভাবে তাদের লাশ ড্রেনে ফেলে দেয়া, মাটি চাপা দেয়া আর পুড়ে ফেলা হয়েছে। এটা তো সর্ব কালের শ্রেষ্ঠ বর্বরতা। কতটা পশু হলে মানুষ এটা করতে পারে। তারপর এরা দাবী করেছে, তাদের সাধারন ক্ষমা ঘোষনা দিতে হবে।

আহ! কি নিষ্ঠুর বর্বরতা। সরকার সামরিক শক্তি প্রয়োগ করে এই কতিপয় জোয়াদের বি্দ্রোহ দমন করতে পারতেন। কিন্তু কেন করল না। গোয়েন্দারা কেন ব্যার্থ হলো। আমরা সুষ্ঠু তদন্ত দোষীদের বিচার চাই।

এই ঘটনায় বাহিরের শক্তি ডেকে আনা ভুল হবে। আমরা নিজস্বভাবে তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিচার করতে সক্ষম। বাইরের শক্তি যেভাবে ডেকে আনা হয়েছে তাতে এই ঘটনায় যদি তারা জড়িত থাকে তাহলে কখনও প্রকাশ পাবে না। দিক সকল বর্বরতাকে। জয় হোক মানবতার।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.