আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাদের নেতৃত্বে হাট-বাজার ইজারার টেন্ডার বাক্স ছিনতাই করা হয়েছে।



নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাদের নেতৃত্বে হাট-বাজার ইজারার টেন্ডার বাক্স ছিনতাই করা হয়েছে। ইজারার টেন্ডার সিডিউল জমাদানের শেষদিনে গতকাল মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টায় উপজেলা পরিষদে এ ঘটনা ঘটে। এসময় উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মোহাম্মদ উল্যাহ তাঁর কার্যালয়ে ছিলেন। এ ঘটনায় বেগমগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়। বেগমগঞ্জ উপজেলা পরিষদ সুত্রে জানা যায়, উপজেলার ২৬টি হাঁট-বাজার ইজারা প্রদানের জন্য গত ১১ ফেব্র“য়ারি টেন্ডার আহবান করা হয়।

সে অনুযায়ি ইজারাদারদের পক্ষ থেকে সিডিউলও ক্রয় করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার ১টা পর্যন্ত ছিলো টেন্ডার সিডিউল জমা দেয়ার শেষ সময়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে রক্ষিত টেন্ডার বাক্সে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ১৫/১৬টি সিডিউল জমা পড়ে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দুপুর সাড়ে ১২টায় বেগমগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতার নেতৃত্বে বেগমগঞ্জ উপজেলা ও চৌমুহনী পৌরসভা যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাদের নেতৃত্বে কর্তব্যরত পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে টেন্ডারবাক্সটি ছিনিয়ে নিয়ে ভাংচুর করে বাইরে ফেলে দেয়া হয়। এসময় চেয়ারম্যান মোহাম্মদ উল্যা উপজেলা পরিষদেই ছিলেন এবং টেন্ডার বাক্স ছিনতাইকারীরা তার কক্ষ থেকে বেরিয়ে এসে এ ঘটনা ঘটায়।

জমাদেয়ার সময় থাকতেই এ ঘটনা কেনো ঘটনানো হয়েছে জানতে চাওয়া হলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। এব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মানজারুল মান্নান বলেন, এখানে কাউকে ইজারা পাইয়ে দেয়ার সুযোগ নেই কারণ ওপেন টেন্ডার আহবান করা হয়েছে। দরপত্র জমা দেয়ার সময় শেষ হবার পূর্বেই এ ঘটনাটি ঘটেছে। তিনি বলেন, জমাকৃত টেন্ডারগুলো সাথে জামানতের সিডিআরও ছিলো। ঘটনার পর টেন্ডার প্রকৃয়া বাতিল এবং বেগমগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ উল্যাহ বলেন, তারা (ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতা) আমার অফিস থেকে বেরিয়েই এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তাঁদের নিষেধ করেছিলাম কিন্তু শোনেনি। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হামিদুল ইসলাম সাধারণ ডায়েরির বিষয়টি স্বীকার করে বলেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা অবশ্যই নেয়া হবে। পুলিশের উপস্থিতিতে টেন্ডারবাক্স ছিনতাই সম্পর্কে বলেন, পুলিশের বাধা তারা শোনেনি।

উল্লেখ্য দুপুরের পরে যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ব্যবহৃত গাড়িটিও উপজেলা চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের ব্যবহারে জন্য নিয়ে যায়। চেয়ারম্যানের গাড়ি না আসা পর্যন্ত এ গাড়ি ব্যবহার করা হবে বলে তারা শাসিয়ে যায়।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.