আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পিলখানার হত্যাকান্ডঃ নেপথ্যে কারা?

৯ নং সেক্টর কমান্ডার এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা...

পিলখানার হত্যাকান্ডঃ নেপথ্যে কারা? মোকাররম হোসেন ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিডিআর হেডকোয়ার্টারে রক্তক্ষয়ী যে ঘটনা ঘটে গেল, বাংলাদেশের ইতিহাসে এ রকম জিঘাংসাপূর্ণ, নির্মম ও লোমহর্ষক ঘটনা আগে কখনো ঘটেনি। এ ঘটনার ব্যাপকতা ও তীব্রতা এত বেশি যে তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। বিডিআরে কর্মরত সেনা কর্মকর্তাদের মৃত্যুতে জাতির অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল। বিডিআর জওয়ানদের এ আচরণ নিছক বিদ্রোহ নয়, রক্তক্ষয়ী মহাবিদ্রোহ, ভ্রাতৃঘাতী বিদ্রোহ। এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করার আগে কিছু টুকরো খবরের দিকে নজর দেওয়া যেতে পারে, কিছু তথ্য ১. জানাজার আগে মিডিয়ার সমালোচনা ।

বিডিআর সদর দপ্তরে নিহত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো� আবদুল বারী, কর্নেল মুজিবুল হক, কর্নেল মো� আনিসুজ্জামান, কর্নেল জাহিদ, লে� কর্নেল আবু মুসা মো� কায়সার, লে� কর্নেল এনায়েত এবং মেজর মিজানের জানাজা বাদ আসর ঢাকা সেনানিবাসের সেনা কেন্দ্রীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়। এতে মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবৃন্দ, সেনা, নৌ, বিমানবাহিনী প্রধানসহ ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ ও নিহত সেনা কর্মকর্তাদের আত্মীয়স্বজন অংশ নেন। জানাজার আগে নিহত সেনা কর্মকর্তাদের সহকর্মী ও স্বজনরা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বিডিআর সদস্যদের জঘন্য অপরাধের বিচার দাবি করেন। এ ঘটনায় রাজনীতিবিদদের ভূমিকার সমালোচনা করে কয়েকজন তাদের সামনের সারিতে রেখে জানাজা পড়তে অস্বীকৃতি জানান। সাবেক সেনা কর্মকর্তারা তাদের কাছে এই প্রশ্ন রাখেন, কেন সেনাবাহিনীকে পিলখানায় সময়মত ঢুকতে দেয়া হলো না।

কেন বিদ্রোহী বিডিআর সদস্যদের পালানোর সুযোগ দেয়া হলো। তারা এমনও বলেন যে, সরকারের এসব লোকজনকে জানাজায় অংশ নিতে দিয়ে আমরা আমাদের সহকর্মীদের লাশের অমর্যাদা হতে দেবো না। কয়েকজন সেনা কর্মকর্তা বিডিআরের ঘটনার পর পরিবেশিত সংবাদের জন্য গণমাধ্যমের কড়া সমালোচনা করেন। তারা বলেন, আর্মির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানোর জন্যই যেন মিডিয়া সেখানে হাজির হয়েছিল। এসব ঘটনায় জানাজা কিছুটা বিলম্বিত হয়।

আসরের নামাজের আগ মুহূর্তে মসজিদ প্রাঙ্গণে উপস্থিত হন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুর রাজ্জাক। এ সময় কয়েকজনের আপত্তির মুখে তারা পেছনের সারিতে চলে যান। (মানব জমিন, ২৮/০২/২০০৯) ২. বাংলাদেশে শান্তিরক্ষী পাঠাতে চায় ভারত, কলকাতার টেলিগ্রাফ পত্রিকার খবর। বাংলাদেশে পিস মিশনের নামে সামরিক কিংবা আধা সামরিক বাহিনী পাঠানোর বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করছে ভারত। বিডিআর বিদ্রোহের প্রেক্ষাপটে কলকাতা-ঢাকা-কলকাতা মৈত্রী এক্সপ্রেসের নিরাপত্তা দেয়ার জন্য ভারত বাংলাদেশে পিস মিশন পাঠানোর প্রস্তাব দিচ্ছে।

নয়াদিল্লির অত্যন্ত উচ্চপর্যায়ের সূত্র টেলিগ্রাফকে এই তথ্য জানিয়েছে । শ্রীলঙ্কার পর বাংলাদেশেই হতে পারে ভারতের প্রথম আন্তর্জাতিক দ্বিপক্ষীয় পিস মিশন। উল্লেখ্য, রাজিব গান্ধীর সময় তামিল গেরিলাদের দমনের লক্ষ্যে ভারতীয় সেনাবাহিনীর শান্তিরক্ষী বাহিনী শ্রীলঙ্কায় রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছিল এবং বিপুলসংখ্যক হতাহতের পর তা পরিত্যক্ত হয়। এমতাবস্থায় ঢাকা সম্মত হলে ভারত সরকার তার সেনাবাহিনী না পাঠিয়ে সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স, রেলওয়ে প্রটেকশন ফোর্স কিংবা বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) বাংলাদেশে পাঠানোর বিষয়টিও বিবেচনা করতে পারে। এখন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বিডিআর’র ওপর ভরসা করতে পারছে না এবং বাংলাদেশ রাইফেলসও তাদের সেনাবাহিনীর অফিসারদের বিশ্বাস না করায় পিস মিশন পাঠানোর বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে।

অর্থাৎ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বিডিআর’র বদলে মৈত্রী এক্সপ্রেসের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে ভারতীয় কোনো সামরিক বা আধা সামরিক সংস্থা। (Daily Telegraph, Calcutta, ২৬.০২. ২০০৯) ৩. রিটায়ার্ড আর্মড ফোর্সেস অফিসার্স ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন (রাওয়া) পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, টকশো’তে কিছু কিছু ভাষ্যকার তাদের বক্তব্যে বাহিনীসমুহের মধ্যে এমন বিভাজন সৃষ্টির চেষ্টা করছেন, যা দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্হায় চিড় ধরানোর শামিল। রাওয়া এসব উস্কানিমুলক বক্তব্য থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছে। দক্ষতা ও নেতৃত্বের গুণাবলী দ্বারা এসব কর্মকর্তা বিডিআরকে সুসংগঠিত করে একটি বিশালায়তন প্রতিপক্ষকে মোকাবিলা করে সীমান্ত রক্ষায় অবদান রাখছে। এই অর্জিত সুনামকে বিনষ্ট করা ও বাহিনীকে নেতৃত্বশুন্য করার অপচেষ্টাই বর্তমান বিদ্রোহের সুত্রপাত বলে রাওয়ার সদস্যরা মনে করে।

যারা টকশো কিংবা মিডিয়ার মাধ্যমে তথাকথিত ‘পুঞ্জীভুত ক্ষোভ’ শব্দটি ব্যবহার করে দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য রাখছেন আমরা তাদের বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। সশন্ত্র বাহিনীর সদস্যদের মিডিয়া কিংবা জনসমক্ষে মন্তব্য কিংবা আত্মপক্ষ সমর্থন করার সুযোগ নেই। সশস্ত্র বাহিনী দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতীক এবং আধাসামরিক বাহিনী যুদ্ধকালীন সময়ে সশস্ত্র বাহিনীর অধীনে থেকে কাঁধে কাঁধ রেখে যুদ্ধ করে। কিছু কিছু ভাষ্যকার তাদের বক্তব্যে বাহিনীসমুহের মধ্যে এমন বিভাজন সৃষ্টির চেষ্টা করছেন, যা দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্হায় চিড় ধরানোর শামিল। (যুগান্তর, ২৮.০২.২০০৯) ৪. বিডিআর অস্ত্র সমর্পণ করলেও সেনাবাহিনীর সশস্ত্র অবস্থানের প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ।

পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় বিদ্রোহীরা অস্ত্র সমর্পণ করলেও সেনাবাহিনীর স্বশস্ত্র মহড়া ও অবস্থানের প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভমিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা। গতকাল সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্র ফেডারেশনের ব্যানারে পৃথক বিক্ষোভ মিছিল হয়। এসময় তারা শেস্নাগান দেয় ‘বিডিআর ছাত্র ভাই ভাই, সেনাবাহিনী ব্যারাকে ফিরে যাও’। (আমাদের সময়, ২৭.০২.২০০৯)। ইত্তেফাক রিপোর্ট বলা হয়, গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে পিলখানা বিডিআর সদর দফতরের তিন নম্বর গেটে শতাধিক বেসামরিক তরুণ ‘বিডিআর-জনতা ভাই ভাই’ বলে শেস্নাগান দিতে থাকে।

তারা শেস্নাগান দিয়ে বিডিআর-এর দাবির সমর্থনে মিছিল বের করে। মিছিলটি নিউ মার্কেট হয়ে নিলক্ষেত মোড়ে আসলে অবস্থানরত নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তাদের ধাওয়া করে। তবে তিন নম্বর গেটে দফায় দফায় মিছিলকারীদের মধ্যে একটি রাজনৈতিক দলের স্থানীয় নেতা-কর্মীদের দেখা যায়। তারা সেখানে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অবস্থান করে বলে স্থানীয় কয়েক ব্যক্তি জানান। মিছিলকারীদের মাঝে মাঝে গেটে প্রহরারত বিদ্রোহীরা গুলিবর্ষণ করে উৎসাহ যোগাতে দেখা যায়।

(ইত্তেফাক, ২৭.০২.২০০৯ )। উল্লেক্ষ্য ছাত্র ফেডারেশন একটি বামপন্থী ছাত্র সংগঠন, যারা প্রায়ই সেনা বাহিনীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন আপত্তিকর তথ্য প্রচার করে থাকেন। ইত্তেফাক বিডি আর সদর দফতরের পার্শ্ববর্তী এলাকায় বিক্ষোভকারীদের রাজনৈতিক পরিচয় প্রকাশ না করলেও অন্য জায়গায় লিখে বিদ্রোহী জওয়ান দের অনেকের মুখেই জয় বাংলা, জয় বংগবন্ধু শ্লোগান ছিল। ৫. ২৭ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার ভারতের সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন ‘আউটলুকে’ ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর সাবেক শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তা বি-রমন বাংলাদেশের বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনা নিয়ে এক নিবন্ধ লিখেছেন। ওই নিবন্ধে তিনি বাংলাদেশ রাইফেলসকে একটি ভয়ানক বাহিনী হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।

বিডিআরকে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর আদলে গড়ে তোলা এবং সীমান্ত রক্ষায় তাদের দুর্দান্ত মনোভাব এবং ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে বিভিন্ন যুদ্ধে নাস্তানাবুদ করার কাহিনী তুলে ধরা হয়েছে তার লেখায়। বিডিআরকে সামগ্রিকভাবে সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণ দেয়া এবং তাদের কমান্ড কন্ট্রোল থাকায় সীমান্তে তারা বিএসএফকে তোয়াক্কা করে না বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে বি রমন বরাইবাড়ী যুদ্ধে বিডিআর’র স্মরণীয় যুদ্ধের কথা উল্লেখ করে বলেছেন, ২০০১ সালের এপ্রিল মাসে ওই ঘটনা যখন ঘটে, তখন শেখ হাসিনা ক্ষমতায় ছিলেন। কিন্তু বিডিআর ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ১৫ সদস্যকে হত্যা করার ওই ঘটনার তিনি কোনো বিচার করেননি। বি রমন বলেন, বাংলাদেশের সেনা গোয়েন্দা সংস্থার সরাসরি তত্ত্বাবধানে বিডিআর এবং অন্যান্য বাহিনী পরিচালিত হয়।

নিবন্ধে বলা হয়, সীমান্তে সর্বদা পাহারারত থাকায় বিডিআর’র সদস্যদের মধ্যে ভারতের প্রতি বিরূপ মনোভাব কাজ করে। (weekly outlook and saag paper no. 3072, 27.02.2009) ৬. উদ্ধার পাওয়া এক সেনাকর্মকর্তা একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে বলেছেন, এ ঘটনার পেছনে বিদেশী শক্তির হাত রয়েছে। কারণ, এসব ঘটনা ঘটেছে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে, তাৎক্ষণিক কোনো ক্ষোভ থেকে নয়। সেনাকর্মকর্তাদের লাশের সাথে যে অসম্মান ও পৈশাচিকতা দেখানো হয়েছে কোনো সাধারণ জওয়ানের পক্ষে এ ধরনের কাজ করা অসম্ভব। এগুলো করা হয়েছে বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে।

প্রতিশোধস্পৃহা থেকে। বিডিআর’র প্রতি কাদের এই প্রতিশোধস্পৃহা তা এ দেশের মানুষ জানেন। বেসরকারি চ্যানেল দিগন্ত টেলিভিশনকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক সেনাশাসক এইচ এম এরশাদ বলেন, যারা এতগুলো সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করেছে তারা কোন স্থান দিয়ে কিভাবে পালিয়ে গেলো? তাদেরকে কেন কেউ চিনতে পারলো না? এমনকি কেউ সন্দেহ করল না যে, হত্যাকারীরা বাইরের লোক। এ থেকে বোঝা যাচ্ছে যে, এ ঘটনার পেছনে একটি আন্তর্জাতিক চক্রান্ত রয়েছে। এটা সরকারকে খুঁজে বের করতে হবে।

(আরটিএনএন, ০১.০৩.২০০৯) ৭. লক্ষণীয় দিক হলো, বিডিআর মহাপরিচালকের মৃত্যুর খবর দেশী সংবাদমাধ্যম কিংবা রয়টার্স, এপি, এএফপি’র মতো সংবাদ সংস্থার আগে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা-সংশ্লিষ্ট সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি প্রথম প্রকাশ করে। ২৫ ফেব্রুয়ারী বাংলাদেশের কোন সংবাদ মাধ্যম এবং ২৬ ফেব্রুয়ারী কোন পত্রিকাই বিডিআর এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল সহ দরবার হলে উপস্থিত ১৬৮ জন কর্মকর্তার ভাগ্যে কি ঘটেছে সে ব্যপারে নিশ্চিত করে কিছু বলতে না পারলেও ঘটনার মাত্র ৪ ঘন্টা পরেই নয়াদিল্লি টিভি (এনডিটিভি) দুপুর ২ টার নিউজ এ নিশ্চিত ভাবে প্রচার করে যে বিডিআর এর বিদ্রোহে মেজর জেনারেল শাকিল সহ ১৫ জন সেনা কর্মকর্তা নিহত হয়েছে। দেশের সরকার, গনমাধ্যম নিশ্চিত করে এ সম্পর্কিত কোন তথ্য দিতে না পারলেও দেশের বাইরের একটি মিডিয়া কি করে তা নিশ্চিত করল সেটি একটি বড় প্রশ্ন। ৮. উদ্ধার পাওয়া সেনাকর্মকর্তা মেজর জায়েদি বলেছেন, ঘটনাস্থল থেকে তিনি প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা জেনারেল তারেকের সাথে কথা বলেছেন এবং এরপর বিডিআর’র ডিজি প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা বলেন। বিডিআর’র ডিজি প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, আপনি তাদের আশ্বস্ত করুন।

তারা যেন গুলি না করে। আমরা সব দাবিদাওয়া মেনে নেবো। (প্রথম আলো ২৭ ফেব্রুয়ারি ’০৯) মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে আসা সেনা কর্মকর্তা লে� কর্নেল কামরুজ্জামান ঘটনার বর্ননা দেন এভাবে ‘অবস্থা বেগতিক দেখে ডিজি মহোদয় সিএনের সঙ্গে কথা বললেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বললেন, ডিজি-র�্যাবের সঙ্গে কথা বললেন। আমিও ব্যক্তিগতভাবে আর্মি হেডকোয়ার্টারের অপারেটরের সঙ্গে কথা বললাম। তারা সবাই বলল- আসছি।

কিন্তু সেই আসতেই শুনলাম, কেউ আর এলো না। আমরা বাধ্য হয়ে তখন স্টেজের পেছনে গ্রিনরুমে গেলাম। তখনো ওরা হলের ভেতরে ঢোকেনি। বাইরে থেকেই গুলি করছিল। ’ (সমকাল, ২৮/০২/২০০৯) ৯. ৭২ সালে বিডিআর বিদ্রোহ নিরসনের দায়িত্ব পেয়েছিলেন আব্দুর রাজ্জাক ও তোফায়েল আহমেদ।

১৯৭২ সালে সদ্য স্বাধীন দেশে বিডিআরের সদর দপ্তর পিলখানায় বিদ্রোহ করেছিল জওয়ানরা। বিক্ষুব্ধ জওয়ানদের শান্ত করতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিডিআর সদর দপ্তরে ছুটে গিয়েছিলেন। সংকট নিরসনে সরকারের পক্ষ থেকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল তরুণ আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রাজ্জাক ও তোফায়েল আহমেদকে। সেদিনের বিডিআর বিদ্রোহের কারণে রক্ষী বাহিনীর জন্ম হয়েছিল। এক পর্যায়ে তাদের বিক্ষোভ তীব্র হয়ে ওঠে।

বেশ কয়েকজন বিডিআর অফিসার আহত হয়েছিলেন বিক্ষুব্ধ জওয়ানদের হাতে। (আমাদের সময়, ২৭.০২.২০০৯) ১০. বিদ্রোহের আগে রাতভর মিটিং, গড়ে তোলা হয় গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক । আগের রাতে বিডিআর জওয়ানরা রাতভর মিটিং করেন। কোথায় তারা অবস্থান নেবেন, কে কোন স্থানে অপারেশন চালাবেন� সবই ঠিক হয় রাতের মিটিংয়ে। পরিকল্পনা অনুযায়ী সকাল থেকে যে যার অবস্থানে চলে যান।

সুবেদার শহীদের দায়িত্ব ছিল দরবার হলে ঘটনার সূত্রপাত করে দেয়া। এর আগেই সকাল ৭টায় তারা অস্ত্রাগার থেকে অস্ত্র লুট করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী ওয়্যারলেস সিস্টেমও সকাল থেকে বিদ্রোহীরা তাদের দখলে নিয়ে নেন। এমনকি তাদের নিজেদের মধ্যে একটি গোয়েন্দা নেটওয়ার্কও গড়ে তোলেন। সাধারণ জওয়ানরা তাদের এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারলেও মূল গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ছিল অন্ধকারে।

(নয়া দিগন্ত, ২৭.০২.২০০৯) ১১. বিডি আর এর সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনাবেল (অব.) ফজলুর রহমান বলেন, বিডিআর প্রতিনিধির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী যখন বসলেন তখন প্রধানমন্ত্রী বলতে পারতেন, ডিজি কোথায় আছে, তাকে নিয়ে আসো। সেনা কর্মকর্তাদের ভাগ্যে কি ঘটেছে তা জানতে চাওয়া উচিত ছিল। প্রধানমন্ত্রী বলতে পারতেন, দুই ঘণ্টার মধ্যে ডিজিসহ সব সেনা কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারকে জিম্মি অবস্হা থেকে ফেরৎ দিয়ে অস্ত্র সমর্পণ করলেই সাধারণ ক্ষমা কার্যকর হবে। বড়জোর সন্ধ্যা পর্যন্ত সময় দেয়া যেত। নিঃশর্ত সাধারণ ক্ষমার কারণে হয়তোবা বিডিআর জওয়ানরা প্রশ্রয় পেয়ে পরবর্তীতে আরো খুন, লুটতরাজ ও সেনা পরিবারের সদস্যদের নিগৃহীত করেছে।

(আমার দেশ, ০২। ০৩। ২০০৯) ১২. নিহত সেনাকর্মকর্তাদের সহকর্মী ও সহপাঠীদের সূত্রে জানা যায়, তাদের প্রায় সকলেই ছিলেন মেধাবী, চাকুরীক্ষেত্রে সফল ও চৌকস এবং ধর্মভীরু। এদের বেশির ভাগই সীমান্তে বিএসএফ এর দূর্বৃত্তপনা থেকে দেশের সীমান্তকে রক্ষা করার ক্ষেত্রে ছিলেন অতন্দ্রপ্রহরী। ১৩. ১৪।

গত ১ ফেব্রুয়ারী কলকাতা কনফারেন্স ২০০৯ নামে কলকাতার সুবাস ইন্সটিটিউটে বাংলাদেশের হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের একটি অংগ সংগঠনের ৪র্থ বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়ে গেল। সম্মেলনের অন্যতম আকর্ষন ছিল, সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির প্রযোজিত ডকুমেন্টারী �মানুষ না মালাউন�? ডকুমেন্টারীর ধারা বিবরনীতে বলা হয় বাংলাদেশে সংঘটিত সকল নির্যাতন নিপিড়নের জন্য দায়ী হচ্ছে, বর্বর রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম, সেনাবাহিনী ও এর গোয়েন্দা সংস্থা। ইসলাম ও সেনাবাহিনীকে উতখাত করতে না পারলে এ সংকটের সমাধা হবে না। এ ব্যপারে ভারত সহ সকল আন্তর্জাতিক শক্তির সহযোগিতা চাওয়া হয়। কারা নেপথ্য নায়ক? ক. ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম, এদেশের চিহ্নিত কিছু বুদ্ধিজীবি ও কিছু মিডিয়ার প্রথমদিকের ভাষ্যমতে এ নারকীয় হত্যাকান্ডের জন্য ইসলামী জঙ্গীবাদীদের হাত রয়েছে।

বলা হচ্ছে, ঘটনার একদিন আগে প্রধানমন্ত্রী কড়া ভাষায় হুশিয়ার করে দেন, বাংলাদেশের মাটি যেন কোন সন্ত্রাসী কাজে ব্যবহার না হয়। তার এ ধরনের বক্তব্যেই নাকি ইসলামী জঙ্গীবাদীরা ক্ষিপ্ত হয়ে এ হত্যাজজ্ঞ চালায়। মজার ব্যপার হচ্চে প্রধানমন্ত্রীসহ এখন প্রায় সকলেই একমত এ ঘটনার পরিকল্পনা আগেই করা হয়েছিল। সেক্ষেত্রে ২৪ ফেব্রুয়ারীর প্রধানমন্ত্রীর ভাষনের মাত্র একদিনের ব্যবধানেই এত বড় পরিকল্পনা নেওয়া ও বাস্তবায়ন করা কি সম্ভব? খ. বলা হচ্ছে এ ঘটনার পেছনে জামায়াত জড়িত। দলটির নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে আনিত যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ থেকে জনগনের দৃষ্টি কে অন্যদিকে সরানো এবং সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্যি নাকি ঘটানো হয়েছে এ নারকীয় ঘটনা।

এতদিন আমরা শুনতাম এর উল্টোটাই। বলা হত দলটি সামরিক বাহিনী ঘেষা। অভিযোগ আছে, ১৯৭১ এ পাক বাহিনীকে সহযোগীতা করেছিল। সেনাবাহিনীর মাধ্যমে ‘৭৫ এর পট পরিবর্তনের সুযোগ নিয়েই নিষীদ্ধ ঘোষিত দলটি পুনরায় সংগটিত হয়। ৮২ থেকে ৯০ পর্যন্ত সেনাশাসনেই রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম ঘোষনা সহ নানা সুবিধা ভোগ করে দলটি।

হার্ভাড রিভিউতে সম্প্রতি প্রকাশিত সজিব ওয়াজেদ জয়ের কথিত থিসিস থেকেই জানা যায়, বিগত সরকারের আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত সেনাসদস্যের মধ্যে ৩৫ শতাংশের বেশি নাকি নিয়োগ পেয়েছে মাদ্রাসা শিক্ষিত, তথা ইসলাম পন্থীদের মধ্য থেকে। ইসলাম মনোভাবাপন্ন সেনা অফিসারদের নির্বিচারে হত্যার এ ষড়যন্ত্রে মদদ যোগাবে সেই জামায়াত, তা কতটুকু বিশ্বাসযোগ্য? গ. ঘটনার পেছনে প্রধানবিরোধী দল বিএনপি জড়িত, এটাও বিভিন্ন প্রচারনার একটি। বলা হচ্ছে, এর মাধ্যমে দলটি চায় সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে চায়। প্রধানমন্ত্রী কিছুদিন আগেও সংসদে বিরোধীদলকে ক্যান্টনমেন্ট থেকে জন্মগ্রহন করা একটি দল হিসেবে আখ্যায়িত করেন। এ ধরনের একটি দল দেড় শতাধীক সামরিক কর্মকর্তার হত্যাজজ্ঞে মদদ জুগিয়েছে, বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়।

এ ঘটনার মাধ্যমে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার ইচ্ছা থাকলে শেখ হাসিনার উপস্থিতির দিন না ঘটিয়ে পর দিন ঘটানো হল কেন? একটা কথা না বললেই নয়, বিডিআর এর আগে কোন রাজনৈতিক উত্তেজনায় ব্যবহৃত হয়নি। ঘ. সাংবাদিক আবেদ খান লিখেছেন, এ ঘটনার পেছনে বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থা জড়িত এবং সেটা হচ্ছে পাকিস্থানের 'আই এস আই' (জনকন্ঠ, ০১.০৩.০৯)। হতে পারে। কিন্ত ভারতের �'র�' এর কথা আসছে না কেন? যারা প্রতি তিনদিনে সীমান্তে একজন বাংলাদেশীর লাশ উপহার দিচ্ছেন, যারা তাদের যুদ্ধজাহাজ দিয়ে দক্ষিন তালপট্টি কে দখল করে রেখেছে, ৫৩ টি নদীর মুখে বাধ দিয়ে বাংলাদেশলে মরুভূমি তে পরিনত করেছে, যাদের প্রচার যন্ত্র প্রতিনিয়ত বাংলাদেশকে মৌলবাদী, সন্ত্রাসীদের আখড়া এবং একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্ব দরবারে প্রমান করতে উঠে পড়ে লেগেছে, যারা মত প্রতিবেশীসূলভ কোন আচরন ইতিপূর্বে প্রমান করেনি, যারা সীমান্তে ফেন্সিডিলের কারখানা তৈরী করে আমাদের যুব সমাজকে ধ্বংসের বুকে ঠেলে দিচ্ছে সেই দেশের কুখ্যাত গোয়েন্দা সংস্থার নাম উচ্চারনে এসব বুদ্ধিজীবির বাধে কেন? বাংলাদেশে কার স্বার্থ বেশি জড়িত? ভারতের র নাকি পাকিস্থানের আই এস আই? ঙ. বিডিয়ার বিদ্রোহে উদ্ভুত জিম্মি সংকট নিরসনে আওয়ামী লীগ সরকার রাজনৈতিক সমাধানের উপর গুরুত্ব আরোপ করে। উদ্যোগটি নিসন্দেহে প্রসংসনীয় ছিল।

কিন্ত সংকট নিরসনে সরকার অভিজ্ঞ নেতৃবৃন্দ যেমন তোফায়েল আহমেদ, আব্দুর রাজ্জাক, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত প্রমূখের মতো নেতাদের দায়িত্ব না দিয়ে বিতর্কিত ও অপেক্ষাকৃত অনভিজ্ঞ ও অপরিচিত মির্জা আযম ও জাহাঙ্গির কবির নানককে পাঠানো কতটা যুক্তিযুক্ত ছিল। উল্লেক্ষ্য মির্যা আযম ও নানক উভয়েই শেরাটন হোটেলের সামনে বাসে আগুন দিয়ে যাত্রী হত্যার দায়ে অভিযুক্ত। বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলের প্রায় পুরো সময়েই তারা ভারতে পালিয়ে ছিলেন। চ. সামরিক বিশেষজ্ঞদের মতে, ২০০১ সালের ১৭-১৮ এপ্রিল পাদুয়া ও রৌমারীর বিডিয়ার এর হাতে পরাস্ত বিএসএফ এর প্রতিশোধ নিতেই বিডিআর কর্মকর্তাদের প্রতি এই নৃসংসতা। অন্ততপক্ষে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা র এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা বি রমন এর লেখায় এরকম ইংগিতই পাওয়া যায়।

ছ. বিভিন্ন থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ও গবেষনা প্রতিষ্ঠানের ভাষ্যমতে (দেখুন asia 2020,weekly outlook, september 18, 2000 ) আগামী ২০২০ সালের মধ্যে উপমহাদেশের ভৌগলিক পরিবর্তনের জন্য আমেরিকা ভারতের সাথে ঘনিষ্ঠ ভাবে কাজ করছে। এই উদ্যোগকে অনেকেই ইউনাইটেড স্টেটস অব ইন্ডিয়া, ইন্ডিয়ার কনফেডারেশন গঠনের প্রচেষ্টা বলে অভিহিত করছেন। পাকিস্তানকে খন্ড বিখন্ড করার মার্কিন পরিকল্পনা প্রকাশিত হবার পর পরাশক্তির দৃষ্টি যে এখন বাংলাদেশের দিকে তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। ইউনাইটেড স্টেটস অব ইন্ডিয়া গঠনের অন্যতম প্রতিবন্ধক বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক সসস্ত্র বাহিনীকে দূর্বল করার পদক্ষেপ হিসেবেই কি বেছে বেছে সীমান্ত রক্ষার অতন্দ্র প্রহরী বিডি আর এর কর্মকর্তাদের নিশেষ করা হল? জ. সজিব ওয়াজেদ জয় সম্প্রতি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে ইসলাম পন্থীদের প্রভাব ও তা থেকে মুক্ত হবার বিস্তারিত পরিকল্পনা পেশ করেছেন। বেছে বেছে দেশপ্রেমীক ও ধর্মভীরু জুনিয়র ও মধ্যম সারির সেনা কর্মকর্তাদের নিশ্চিহ্ন করা কি এই পরিকলনারই একটি অংশ? ঝ. ভারতীয় কলামিষ্ট হিরন্ময় কার্লেকার ও কাঞ্চন গুপ্তের (দেখুন, daily pioneer, 27.02.2009) মতে ওয়ান ইলেভেন এর পরে সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা সংস্থা থেকে তাদের ভাষায় আওয়ামীলীগ ও ভারত বিরোধী কর্মকর্তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

তাদের যুক্তি যদি মেনে নেওয়া হয়, তাহলে এত বড় হত্যাযজ্ঞের বিষয়ে সেই আওয়ামী পন্থী গোয়েন্দা কর্মকর্তারা ইসলামী জঙ্গিবাদীদের এত বড় পরিকল্পনার কিছুই আচ করতে না পারা কি অস্বাভাবিক নয়? ঞ. বর্তমান ও সাবেক সেনাকর্মকর্তাদের অভিয়োগ সেনাবাহিনীকে দূর্বল এবং ধ্বংস করার পেছনে কিছু মিডিয়া কে সরাসরি দায়ী করেছেন। বলার অপেক্ষা রাখেনা, দেশের ৯০ ভাগের অধিক মিডিয়া ধর্মনিরপেক্ষ বাম ঘরানার ও ভারত-বান্ধব বলে পরিচিত। টিভি চ্যানেল গুলোর টক শোতে উপস্থিত আলোচকরাও প্রায় সবাই ঐ একই মতাবলম্বী বা সুশীল সমাজভুক্ত। এদের প্রায় সকলেরই সেনাবাহিনী-এলার্জি প্রকট। এ ব্যপারে সুশীল সমাজের দলপতি টিআইবির চেয়ারম্যান প্রফেসর মোজাফফর আহমেদ এর ছাত্র ও বিনিয়োগ বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান মাহমদুর রহমানের বক্তব্য প্রনিধান যোগ্য, �আমার একাধিক লেখায় উল্লেখ করেছি, ড. মোজাফফর আহমেদের দুর্ভাগ্য যে, আমার মতো এক অকিঞ্চিৎকর ব্যক্তিকে আইবিএ’তে তিনি ছাত্র হিসেবে পেয়েছিলেন।

সেনাবাহিনী সম্পর্কে এই অধ্যাপকের মনোভাব আমার কাছে দুর্জ্ঞেয়ই থেকে গেল। পড়ানোর সময় আমরা ধারণা করতাম, তিনি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য সেনাবাহিনীকে খুব একটা প্রয়োজনীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিবেচনা করেন না। একাধিক সাক্ষাৎকারে তার এমন বক্তব্যও পড়েছি যে, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের স্বার্থে সেনাবাহিনী পোষা অপ্রয়োজনীয়। এ খরচ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে হ্রাস করা উচিত । এ ঘটনা যারাই ঘটাক না কেন, কিছু বিষয় পরিস্কার।

এটা পরিকল্পিত। বাইরের শক্তি যারা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে দূর্বল ও জনগনের প্রতিপক্ষ হিসেবে দাড় করাতে চায়, যারা বাংলাদেশের সসস্ত্র বাহিনী দূর্বল করে সেই সুযোগে নিজেদের সেনাবাহিনী পাঠাতে চায়, যারা দেশটিড় রক্ষাকবজ ইসলাম ও সেনাবাহিনীকে মুখোমুখী করতে চায়, আমরা মনে করি তারাই এই নারকীয় হত্যাকান্ডের মূলহোতা, এতে কোন সন্দেহ নেই। লেখকঃ পিএইচডি গবেষক সূত্র: Click This Link

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.