আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এই মৃত্যুগুলো আমাদের কেমন ভাবে নাড়া দেয়?

বাংলাদেশ ব্লগারস এসোসিয়েশন সদস্য নং: ১০ । facebook.com/milton3d

সর্বশেষ পরিনতি মৃত্যু বা ধ্বংশ। মানুষের নির্মম মৃত্যু সব মানুষকেই নাড়া দেয়। অন্ততঃ যারা মানবিক গুণাবলী সমৃদ্ধ। কিন্তু এই ভোগবাদী সমাজের প্রতিটি স্তরে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

একটি শাসক, আরেকটি শাসিত। এটাই নিয়ম। যুগ যুগ ধরে চলে আসছে এ নিয়ম। সহসাই এটা ভাঙ্গা খুবই দুঃসাধ্য। এই সমাজ ব্যাবস্থায় আছে দুর্বলের উপর সবলের অত্যাচার।

যখন যারা হতে ছড়ি তখন সেই রাজা। সেই ছড়ি কখনও ঘুরে ঘুরে প্রজার হাতেও যায়। তখন প্রজাই হয় রাজা। আর রাজা হয় প্রজা। কি নির্মম সত্য! একটি ছোট্ট কৌতুকই বলে দেয় এই ভেদাভেদ।

যেমন: "দুঘর্টনায় দুইটা পুলিশ আর ৫ জন মানুষ মারা গেছে। " এখানে এই ঘটনাকে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। মানুষগুলো কর্মই তাদের ভেদাভেদ করেছে এই সমাজ ব্যাবস্থা। যাই হোক, এটাই আমাদের সমাজের চিত্র। পুলিশ, বিডিআর, সেনাবাহীনি, আনসার অর্থাৎ অস্ত্রধারী মানুষের সাথে সাধারন নিরস্ত্র মানুষের মেধা, চিন্তাশক্তি, মনুষ্যত্ব, ভাবনা, কার্যকলাপ সর্বোপরি জীবনধারা অনেক পার্থক্য আছে।

আর সেখানেই বিভেদ। এই বিভেদ কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। সমাজের সাধারণ একটা অংশ সবসময় এদের আলাদা চোখে দেখে। আর সমাজ অথবা রাষ্ট্রীয় ব্যাবস্থাও এদের আলাদা করে রেখেছে সমাজের সাথে। সুযোগ-সুবিধা সব কিছু আলাদা।

আবার তাদের নিজেদের বলয়ের মাঝেও রয়েছে এই একই বিভেদ। যেটা নিয়েও তাদের মধ্যে দুটি দল দেখা যায়। অফিসার আর সাধারণ সৈনিকদের মধ্যে সবসময় চলে একরকমের স্নায়ুযুদ্ধ। যে স্নায়ুযুদ্ধটাও চলে সাধারণ মানুষের সাথে এইসব বাহীনির সাথে। এখান থেকে শুরু হয় বিভেদ।

আর তার ফলে ক্রমেই দুর থেকে দুরে সরে যায় দুটি পক্ষ। মানুষের মৌলিক গুণাবলীগুলিই এই বিভেদের কারণ। এখন কেউ কেউ বলছে, প্রতিবাদের ভাষা এমন হবে কেন? কিন্তু এটাই ঠিক। সে প্রতিবাদটা যেকারণেই হোক না কেন। তার পিছনে যে কারণই থাক না কেন? একটা কথা চিন্তা করুন, আমাদের সাধারণ মানুষের মাঝে প্রতিবাদ বা ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ কি এমন হবে? বড়জোড় মারামারি, দলাদলি, এবং এটা পর্যায়ে যেয়ে সেটা খুনও হতে পারে।

কিন্তু এই বাহিনীর গুলো ভিতরের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ বা প্রতিবাদ বা দ্বন্দের পরিসমাপ্তি হঠাৎ করেই অস্ত্রের দ্বারা হয়ে থাকে। আর তখনই হয় মৃত্যু। ইতিপূর্বেও এমন ঘটনা অনেক ঘটেছে। যখন কারো কাছে অস্ত্র থাকে তখন তার মুখের ভাষা বন্ধ হয়ে যায়। অস্ত্র বা পেশিশক্তিই কথা বলে।

তারপরেও গত কয়েকদিনের ঘটনা আমরা সাধারণ মানুষরা নিজ নিজ অবস্থান থেকে দেখেছি, প্রত্যেকের ভিতরেই বিভিন্ন রকমের অনুভুতি তৈরী হয়েছে। কষ্টের অনুভুতির গভীরতা কিন্তু মানুষভেদে বিভিন্ন রকম। সেটা মানুষজনের সাথে কথা বললেই বোঝা যায়। সেই সাথে রাষ্ট্রের চালকদের কথাবার্তা আর বিভিন্ন মিডিয়ার খবর প্রচার কিন্তু এখন ভিন্ন সুর পরিলক্ষিত হচ্ছে। আর সেই সাথে আমাদের অনুভুতি গুলোও নড়াচড়া করছে।

কখনও এদিকে কখনও ওদিকে। এখন সরকারের উচিত সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে সবকিছু প্রকাশ পূর্বক এই হত্যাকান্ড বা তার পিছনে লুকানো থাকা ঘটনাগুলো বিচার করা।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।