আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মারুফ আমাদের স্পর্শে সুস্থ হয়ে উঠতে পারে না?

রিজওয়ানুল ইসলাম রুদ্র

মানুষ প্রশ্ন শুনতে ভালোবাসে না। সে কেবলই উত্তর খোঁজে। আবার সহজ-সাবলীল উত্তরে সে সাড়া দেয় না, প্রাণতৃষ্ণা মেটাতে তার একমাত্র অবলম্বন প্রশ্নবিদ্ধ উত্তর। প্রশ্ন ব্যতিরেকে উত্তর আদৌ সম্ভব কি? আজ থেকে অনেক বছর আগে আরবের এক নিরক্ষর রাখাল বালক, দারিদ্র্য ছিলো যার নিত্যসঙ্গী, সামান্য খেজুরপাতার ঘর ছিলো যার আশ্রয়, শুধুমাত্র প্রবল বিশ্বাস আর সত্যের অস্ত্রে পুরো আরব জাতিকে অন্ধকারের হাত থেকে রক্ষা করতে পেরেছিলেন। স্রষ্টার প্রতি তীব্র আস্থাও তো এক ধরণের বিশ্বাস।

বিশ্বাসের জোরেই মানুষ এতদূর আসতে পেরেছে। গড়তে পেরেছে সমাধিস্তম্ভ... গাজায় একটা মহাবিস্ফোরণ ঘটে গেল। নিহত হলো অজস্র শিশু। না, পৃথিবীর কোন ধর্ম, ধর্মপ্রাণ মানুষ, ক্ষমতাবান মহাপুরুষ---কেউ তাদের রক্ষা করতে পারেনি। মানুষের অসাধ্য নাকি কিছুই নেই! নাকি বড় আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠেছে পৃথিবীর মানুষ...আবার যুদ্ধ পরিচালনা করলো যে যুদ্ধবাজ রক্তলোভী পশু জর্জ ডব্লিউ বুশ, ইসরায়েলকে কুকুরের মতো লেলিয়ে দিয়ে হত্যা করলো গাজার শিশুদের----পত্র-পত্রিকায় তার ব্যঙ্গকার্টুন ছাপা হলেও, জাইদি নামের সাহসী যুবক তার মুখে জুতা ছুঁড়ে মারলেও, সে কিন্তু বহাল তবিয়তে তার শেষ যুদ্ধ করেই গেল।

উল্টো জাইদিকে যেতে হলো জেলে মার খেতে... দুই বছরের এক ছোট্ট শিশু মারুফ। থাকে টাঙ্গাইলে। ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ও। অনেকে সেটা বুঝতে পারছে, আবার কেউ কেউ পারছে না। পেটের নাড়িতে প্যাঁচ লেগে গেছে ওর।

বয়স কম, অপারেশন সম্ভব নয়। হাসপাতাল থেকে রিলিজ পেয়ে গেছে। ওর মা-বাবাও অনেকটা 'আশাহীন' ভাবে দিনাতিপাত করছে। কিছু রোগের প্রতিক্রিয়া সচরাচর চোখে পড়ে না। ঘাতক ব্যধি যেগুলো, এইডস, হেপাটাইটিস বি---রোগী কিন্তু হেসে-খেলে বেড়াবে, কিন্তু মৃত্যুবীজ গজিয়ে উঠবে তাদের শরীরে! মারুফের ক্ষেত্রেও তাই ঘটছে।

আমি সর্বনাশ দেখতে পাচ্ছি। মারুফ ধীরে ধীরে শুকিয়ে যাচ্ছে। ওর এই অসুখটার একটা জটিল নাম আছে (নামটা মনে করতে পারছি না) এই শ্রেণীর কর্মজীবী মানুষদের সমস্যা এটাই, এরা কখনো কখনো আত্মঅভিমানী হয়ে ওঠে। এর আগে একটা কিশোরকে মারা যেতে দেখেছি, পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিলে হয়তো কিছু টাকা পাওয়া যেত, ওর ব্রেন টিউমার হয়েছিল...কিন্তু ওর অবুঝ বাবা-মা মানুষের কাছে 'হাত পাতা'কে 'ভিক্ষাবৃত্তি' মনে করায় এগোতে পারিনি। আমি যেদিন ঘটনা শুনি কিছু করার প্রস্তুতি নিই, তার পরের দিনই শুনলাম কাতরাতে কাতরাতে মারা গেছে ও... মাত্র ত্রিশ হাজার টাকা হলেই বাঁচানো যাবে মারুফকে।

আপাতত টাঙ্গাইলে ওর চিকিৎসার জন্য দশ হাজার টাকা প্রয়োজন। ওর বাবা-মার হাতে টাকা বলতে গেলে একবারেই নেই। এখান থেকে কিছুটা সুস্থ করে ওকে ঢাকায় শিশু হাসপাতালে ভর্তি করে ভালো ডাক্তার দিয়ে চিকিৎসা করালেই একটা গ্রহণযোগ্য সমাধান বেরিয়ে আসবে। মারুফ আমাদের স্পর্শে সুস্থ হয়ে উঠতে পারে না? সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা : রোজী ইসলাম সঞ্চয়ী হিসাব নং : ৭০৯২ উত্তরা ব্যাংক লিমিটেড, টাঙ্গাইল।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.