আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভালবাসা দিবসের নামে আমরা কাদের অনুসরন করছি



আজ ১৪ই ফেব্রুয়ারি ভালবাসা দিবস বা (Valentine day) হিসেবে পালিত হচ্ছে। এ দিবস উপলক্ষে লাল গোলাপ বিনিময়, লাল রঙের পোশাক পরিধান, পরস্পরে শুভেচ্ছা বিনিময়, মিষ্টান্ন বানিয়ে তাতে লাল রঙের হৃদয়ের ছবি এঁকে দোকোনে ডেস্প্লে করে রাখা, কোনো কোনো দোকানে এদিবসকে কেন্দ্র করে বিশেষ ছাড় দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে। তাই এই দিবস সম্পর্কে শরিয়তের মতামত কী সে সম্পর্কে সৌদি আরবের সর্বোচ্চ ওলামা পরিষদের ফতোয়া: উপর হতে তিনটি বিষয় উঠে এসেছে : প্রথমতঃ এই দিনে অনুষ্ঠান করা। দ্বিতীয়তঃ এই দিন উপলক্ষে দোকান থেকে জিনিসপত্র ক্রয় করা। তৃতীয়তঃ ঔসব ব্যক্তির কাছে কোনো কিছু বিক্রয় করা, যারা ক্রয়কৃত বস্তু এ উপলক্ষে উপঢৌকন দেবে।

ফতোওয়াটি সর্বোচ্চ ওলামা পরিষদে বিশ্লেষণের পর এই মর্মে সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়েছে যে, কুরআন সুন্নাহর স্পষ্ট প্রমাণাদি দ্বারা এ কথা অকাট্যভাবে প্রমাণিত যে, ইসলামে ঈদ বা উৎসবের দিন মাত্র দু’টি। সালাফে সালেহীনগণও এ বিষয়ে একমত হয়েছেন। ইসলামে স্বীকৃত ঈদ দুটির একটি হল ঈদুল ফিতর, অপরটি হল ঈদুল আজহা বা কুরবানির ঈদ। উল্লিখিত ঈদ দুটি ব্যতীত যত ঈদ বা উৎসব আছে, হোক না তা কোন ব্যক্তির সাথে সম্পৃক্ত, বা কোন গোষ্ঠীর সাথে সম্পৃক্ত, বা কোন ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত, তা বিদআত। মুসলমানদের তা পালন করা বা পালন করতে বলা বৈধ নয় এবং এ উপলক্ষে আনন্দ প্রকাশ করা ও এ ব্যাপারে কিছু দিয়ে সাহায্য করাও নিষেধ।

কেননা এ ধরনের কাজ আল্লাহ তাআলার সীমা লঙ্ঘন বৈ অন্য কিছু হবে না। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর সীমা লঙ্ঘন করবে সে নিজের উপর অত্যাচার করবে। এ ধরনের কালচার বিধর্মীদের অনুসরনের কল্পে গ্রহণ করা হলে অপরাধ আরো মারাত্বক হবে। কারণ এর মাধ্যমে তাদের সদৃশ্যতা গ্রহণ করা এবং তাদেরকে এক ধরনের বন্ধু বানানো হয়। অথচ আল্লাহ তাআলা মুমিনদেরকে এ থেকে বারণ করেছেন।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, من تشبه بقوم فهو منهم যে ব্যক্তি কোনো সম্প্রদায়ের সাথে সাদৃশ্যতা অবলম্বন করল সে তাদের দলভুক্ত বলে গণ্য। ভালবাসা দিবস পালন করাও এ নিষেধের অন্তর্ভুক্ত। কেননা এটি খৃষ্টানদের উৎসব। যে মুসলমান আল্লাহ এবং পরকালের প্রতি বিশ্বাস রাখে তার জন্য এ কাজ করা দেয়া বা এই দিনে কাউকে ফুল বা অন্যকোনো উপহার দেয়া বৈধ নয়। বরং তার কর্তব্য হল আল্লাহ এবং তার রাসূলের হুকুম পালন করা এবং আল্লাহর শাস্তি ও গযব আসে এমন কাজ থেকে নিজে দূরে থাকা ও অন্যদের দূরে রাখা।

অতএব এ দিবসকে কেন্দ্র করে পানাহার করা, ক্রয়-বিক্রয় করা, কোন কিছু প্রস্তুত করা বা উপঢৌকন দেয়া, চিঠি-পত্র চালাচালি করা ও প্রচার-পত্র বিলি করা অবৈধ। এ সমস্ত কাজের মাধ্যমে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের নাফরমানি করা হয়। সৎকর্ম ও তাকওয়ায় তোমরা পরস্পরের সহযোগিতা কর। মন্দ-কর্ম ও সীমালঙ্ঘনে পরস্পরের সহযোগীতা করো না। আর আল্লাহকে ভয় কর।

নিশ্চয় আল্লাহ আযাব প্রদানে কঠোর। (মায়েদা : ২) মুসলমানের কর্তব্য হল সর্বাবস্থায় কুরআন সুন্নাহকে আঁক্‌ড়ে ধরা এবং নিজদের ইমান আমলের ব্যাপারে সতর্ক থাকা, যেন আল্লাহর দুশমনরা কোন ক্ষতি করতে না পারে। আরো কতর্ব্য হচ্ছে আল্লাহর নিকট নিকট হিদায়েত প্রার্থনা করা, আল্লাহ ছাড়া কেউ হেদায়েতের মালিক নয়।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.