আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আজ প্রকাশিত হবে মুয়ীয মাহফুজের কাব্যগ্রন্থ "হুইসেল বাজছে চোর পালাচ্ছে"

অভিজিৎ দাসের লেখা ও অন্যান্য বিষয়াবলি
আজ মংগলবার,১০ ফেব্রুয়ারী বিকেল ৪:৩০ মিনিটে চারুকলার শুকনো পুকুরে(ড্রাই পন্ডে) কবি মুয়ীয মাহফুজের কাব্যগ্রন্থ "হুইসেল বাজছে চোর পালাচ্ছে" এর প্রকাশনা হবে। আপনারা সকলে সময় সুযোগ থাকলে অবশ্যই চলে আসবেন। এটি মুয়ীযের প্রথম কাব্যগ্রন্থ। প্রচ্ছদ করেছেন:শিল্পী শাওন আকন্দ প্রকাশ করেছে:সুমন প্রবাহন স্মরণ প্রয়াস পাওয়া যাবে:বইমেলার লিটল ম্যাগাজিন চত্বরে, "কালনেত্র" স্টলে। মূল্য:৭৫ টাকা ফ্ল্যাপ: বিষের থালায় ভাসমান মাছির ঘূর্ণনের ছন্দে প্রেয়সীর চোখে ডুবতে থাকে বাকাচাঁদ।

তবুও এই দ্বিধার মাছিটিই যেন আমাদের অবচৈতন্যের সেই সামগ্রিকতার আহবান!পদ্মপুকুরের স্বচ্ছ জলে ভেসে থাকে মূলতঃ নিজেরই অবিকল রুপ,তাই অঙ্কনশৈলী,রঙের ব্যাবহার কিংবা পার্সপেক্টিভস-এ জল নিখুঁত শিল্পী হলেও সে পোর্ট্রেট যে আতœপ্রেমের ফাঁদ!তাই বাধ্য হয়েই ফিরে আসা-নিজের ডাকে নিজেরই সাড়া দেয়া। অগ্নিপূজারী কবির আরাধ্য আগুনের শীতলতা স্বয়ং অগ্নিদেবকেও জমাট বরফে পরিণত করে। আগ্নেয়গিরির বৃত্তাকার জ্বালামুখ ধরে অসীম বছর ধরে হেঁটে চলে কবি-সংগে রয়ে যায় দ্রুতগতি,ধীরগতি এবং মনুষ্যরুপের কিংবদন্তী। মাঝ বরাবর ভেঙে যাওয়া আয়নার কাছ থেকে শোনা যায় যে সব আগামীকালে রুপকথা-তা কি কবিতা নাকি নৈঃশব্দ্যের আবছায়া? চিন্তার সঙ্গে মনোদৈহিক সম্পর্ক রয়েছে বলেই হাজার হাজার মাইল দূরের সমুদ্রের গর্জন শুনতে পাওয়া -পত্রপতনের শব্দে ও নৈঃশব্দে উচ্চারণগুলো চিৎকার হয়ে ওঠে-আর এই চীৎকার,যা কিনা আপাত অর্থহীন-তা-ই হয়ে ওঠে জীবনের প্রিয় উপাখ্যান। মনুষ্যসঙ্গ বা নিঃসঙ্গতা উভয়ই হয়ে ওঠে নেশার উপাত্ত! প্রগতির অতি বিচ্ছিন্ন সুরে গভীরভাবে কান পেতে কবি শুনতে পায় কৃপাহত্যার ডাক শুনতে পায়,সেইখানে সম্পূর্ণভাবে অনুপস্থিত থাকে সপ্তম সুরে বেজে চলা অজস্র চীৎকার ভরা দাবীসমূহ।

গর্তে উঁকি দিয়ে তলদেশে তলানী সদৃশ জল দেখে হাসি পায় তার। সকলেই যখন জলকে নিজস্ব সম্পদজ্ঞানে আড়াল করে রাখে তার বিপরীতে কবি তখন সাগরকে খরাক্রান্ত গ্রামের পথ দেখিয়ে দেয়। শ্রেণীচ্যুতির প্রাক্কালে কোন চামড়াটি সংরক্ষন প্রয়োজন?নতুনটি,নাকি পুরাতন?দু'টি পোশাকই যখন একটি যুদ্ধের শিবির নির্ধারণী ইউনিফর্ম হয়ে ওঠে। দু'টিই যখন ব্যাক্তি বিরুদ্ধে,তখন কবির সেইসব ক্যামোফ্লেজের প্রয়োজন হারায়। তখন কবি ও একটি শ্রমিক পিপড়ার ক্লান্তির ভঙ্গিতে কোনো পার্থক্য থাকেনা।

এমনকি কবি বিভেদ হারায় তার জৈবরুপের,দ্বৈতসত্তার। শাহরিক নারী হয়ে কবি কৃষকের হাত ধরে সবুজ সমুদ্রে ভেসে ভেসে পৌছে যায় কৃষক ময়ুরের দেশে! আবার শয়নভংগির অনাচারে যখন সবুজ ঘাস হয়ে ওঠে হলুদাভ,সামাজিক গান কন্ঠস্থ হলেও যখন প্রাণে বাজে না নতুন কোনো সুর- ঠিক তখনই অপরকে বিষপানে প্রলুব্ধ করে তার তার তিক্ত বিষের পেয়ালায় চিনি গুলতে গুলতে জানতে চাওয়া হলো সুইসাইডের পর তার কবিতাগুলোর কি হবে-পিঁপড়ে হয়ে সেই অক্ষরগুলো অনির্দিস্ট কোনো গন্তব্যে পৌছে যাবে এ নিশ্চয়তা নিয়ে ধ্রুপদী আত্নার প্রস্থান ঘটে। এক ও দশের নিশ্চল দশার সময়ে কে কার কৃপাহত্যা করবে এইসব ফ্যালাসী তাড়িয়ে কবি মুয়ীয মাহফুজের কৃপাহত্যার সহযোগী হই,পলায়নপর চোরের পেছনে বেজে চলা হুইসেলের ধ্বনি আপনিও কি শুনতে পাচ্ছেন না? (অভিজিৎ দাস)
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।