আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

স্যালুট অগ্নিকন্যা লাকী আক্তার!

লাকী আক্তার মুক্তিযুদ্ধ দেখেননি। নব্বইয়ের উত্তাল গণ-আন্দোলন শুধুই তাঁর শৈশব-স্মৃতি। কিন্তু লাকী আক্তার মুক্তিযুদ্ধের আগুন বুকে জ্বালিয়েছেন শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরে। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের এ শিক্ষার্থীর দৃপ্ত স্লোগানে সচকিত হাজারো মানুষ গর্জে উঠছেন যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে। তাঁর কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়েছেন অগণিত মুখ।

এ এক অভূতপূর্ব দৃশ্য। কাদের মোল্লার ফাঁসির দাবিতে তিন দিন ধরে অবিরাম স্লোগান দিয়ে চলেছেন লাকী। এক হাতে মাইক্রোফোন আর মুষ্টিবদ্ধ অন্য হাত ঊর্ধ্বে ছুড়ে স্লোগানে স্লোগানে উজ্জীবিত করছেন সমবেতদের। তাঁর উচ্চকিত কণ্ঠ প্রতিধ্বনিত হচ্ছে হাজারো কণ্ঠে। এই অগ্নিকণ্ঠীকে উদ্দেশ করে সমবেত অনেককেই বলতে শোনা গেছে, ‘স্যালুট লাকী আক্তার!’ চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের নামের আদ্যক্ষর দিয়ে তাঁর বানানো স্লোগান এখন দেশজুড়ে।

ব্লগ, সামাজিক বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যমে এটি ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তেও। লাকীর কণ্ঠে ‘ক’-তে কাদের মোল্লা শোনার সঙ্গে সঙ্গে সবাই গর্জে উঠছে ‘তুই রাজাকার তুই রাজাকার’ ধ্বনিতে। শুধু স্লোগান নয়, লাকীর কণ্ঠের প্রতিবাদী সুর পরিবর্তিত হয় ক্ষণে ক্ষণে। দিনভর একনাগাড়ে তাঁর স্লোগান দেওয়ার ক্ষমতা দেখে সবাই বিস্মিত। গতকাল শাহবাগ মোড়ে কথা হয় লাকীর সঙ্গে।

তিনি বলেন, তিন দিনে মাত্র দুই ঘণ্টার জন্য তিনি আন্দোলনস্থলের বাইরে ছিলেন। স্বাভাবিকভাবে কথা বলতে গেলেই কণ্ঠ নড়বড়ে মনে হচ্ছে। তবে স্লোগান দিতে কোনো ক্লান্তি নেই। লাকী বলেন, ছোটবেলা থেকেই রাজাকারদের ঘৃণা করি। তাঁদের বিরুদ্ধে এত বড় আন্দোলনে স্লোগান দিতে পেরে তিনি গর্বিত।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি শেষ বর্ষের ছাত্রী লাকীর গ্রামের বাড়ির ফেনী। তিনি বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সংসদের সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক। ঢাকার মালেকা বানু আদর্শ বিদ্যানিকেতন থেকে মাধ্যমিক এবং মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করে ২০০৭ সালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন তিনি। ২০০৯ সালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের হল আন্দোলনের মধ্য দিয়ে জড়িয়ে পড়েন ছাত্র ইউনিয়নের রাজনীতির সঙ্গে। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।