আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমার প্রথম ভারত ভ্রমন পর্ব - ৬

মানুষ আমি আমার কেন পাখির মত মন....

ট্রেন মুম্বাই পৌছলো সকাল ১০ টায়। প্রথম কাজ হোটেল খুজে হোটেলে উঠা। ভারতের প্রায় সবগুলো রেল স্টশনেই মালামাল গচ্ছিত রাখার জন্য একটি রুমের ব্যবস্থা আছে যাকে cloak room বলা হয় । যেখানে শুধু মাত্র রেল যাত্রীদের মালামাল গচ্ছিত রাখা যায়। সেখানে বিশাল লাইন দিয়ে যখান মালামাল রেখে স্টেশন থেকে বেরুচ্ছি তখন প্রায় ১১টা।

স্টেশনটির নাম ভিক্টোরিয়া টার্মিনাল লোকে যাকে সংক্ষেপে ভি টি বলে । স্টেশনটি সম্ভবত ব্রিটিশ আমলে তৈরী। দেখলেই বুঝা যায় যে এটি একটি ইংরেজ স্থাপত্য। বিশাল একটি স্টেশন যেখানে প্রায় ২২টি প্লাটফর্ম আছে। বর্তমানে স্টেশনটির নাম ছত্রপতি শিবাজি টার্মিনাল।

প্রথমেই স্টেশনের সামনে হোটেল খুজলাম । একটি মাত্র ভালো হোটেল পেলাম যার ভাড়া ১০০০ রুপী। বাজেট সল্পতার কারনে এত ভাড়া দিয়ে থাকা সম্ভব ছিল না। অন্যন্য যেসব হোটেলের ভাড়া ৪০০ - ৫০০ রুপীর মধ্যে সেগুলো এত নিম্ন মানের যে ঐসব জাগায় থাকা সম্ভব নয়। অনেকক্ষন হেটে হেটে হোটেল খুজেও যখন হোটেল পেলাম না তখন আমার মনে হলো যে কোন এক ভ্রমন বিষয়ক বইতে পড়েছিলাম যে বম্বের দাদাড় নামক এলাকায় সস্তায় হোটেল পাওয়া যায়।

জনগনের কাছ থেকে সাহায্য নিয়ে জনালাম যে লোকাল ট্রেনে করে দাদার যাওয়া যায়। সেখানেও গেলাম কিন্তুু একই অবস্থা। যদিওবা কম ভাড়ার হোটেল পাই তা পছন্দ হয় না। কয়েকদিনের ভ্রমনের ধকালের পর একটু গোছল করে ফ্রেস হবার জন্য তখন ত্রহী অবস্থা। আমার সাধারনত চিপা চাপা ও অপরিস্কার হোটেল দেখলেই মনে হয় যে সেটি নারী ব্যবসার আড্ডা।

শুনেছি বম্বেতে এসব একটু বেশীই হয়। তাই হোটেলটি সেফ কিনা তাও ভাবতে হচ্ছিল। সবদিক ভেবে যখন কোন হোটেল পাচ্ছি না তখন ভাবলাম ১০০০ রুপী ভাড়ার সেই হোটেল যেটি প্রথমে দেখেছি সেটিতেই উঠব। আবার লোকাল ট্রনে উঠে ভি টি স্টেশনে গেলাম। স্টেশন থেকে বেড়িয়েই একজন দালালের খপ্পরে পড়লাম ।

দালাল জিগ্গেস করল হোটেল লাগবে কিনা, কম ভড়ায় খুব ভালো হোটেলের খোজ তার কাছে আছে। আলাপ করে জানলাম যে ৫০০ রুপী ভারায় ভালো হোটেল আছে তবে ট্যাক্সীতে যেতে ২০ রুপী লাগবে। দালালদের সাথে যাওয়া একটু রিস্ক জেনেও ভাবলাম দেখি না কি হয়। আমরা দুজনেই ব্যাচেলর এবং ইয়াং । অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেয়া যাবে।

সে একটি হোটেলে নিয়ে গেল । হোটেল টি ভালোই ছিল ভাড়া মাত্র ৫০০ রুপী। বুঝলাম দালাল হলেই যে খারাপ হবে তা নয়। হোটেলে উঠলাম কিন্তূ তখন প্রায় সন্ধা। বম্বেতে আমাদের থাকার প্লান ছিল দু দিন এক রাত।

একটি দিন হোটেল খুজতে খুজতেই গেল। দুজনেই তখন কাহিল । ফ্রেস হয়ে খেতে গেলাম নীচের হোটেলে। খাবার খুবই ভালো ছিল । রুটি মাংশ সবজী ইত্যাদি।

ক্ষিদে বেশী ছিল বলে ভালো লেগেছে এমনও হতে পারে। খাবারের পর সাইবার ক্যাফে খুজতে বেরুলাম । প্রায় ৩০ মিনিট খোজা খুজির পর পেলামও একটি । প্রয়োজনীয় কিছু মেইল সেরে হোটেলে ফিরে পরবর্তী দিন কি করা যায় ভাবতে বসলাম। হোটেলের বয় জানালো যে দিনব্যপী শহর দেখার জন্য গাইড সহ টুরিস্ট বাস আছে যা সকাল ৭ টায় আসে ।

বললে সে সেখানে দুটি সিট রিজার্ভের ব্যবস্থা করতে পারবে। যদিও আমার সবসময় নিজে নিজে ঘুরে বেড়াতে ভালো লাগে তবুও সময় সল্পতার দিক বিবেচনা করে রাজী হলাম । অতএব আগামী দিন থাকছে বম্বে শহর দেখার প্রোগাম ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.