আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জামায়াতের নিবন্ধন কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্টের রুল

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই

(বিডিনিউজ থেকে ) ঢাকা, জানুয়ারি ২৭ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না- তার কারণ জানতে চেয়ে নির্বাচন কমিশন ও জামায়াতে ইসলামীর প্রতি রুলনিশি জারি করেছে হাইকোর্ট। বিচারপতি এম বি এম খায়রুল হক ও বিচারপতি মো. আবদুল হাইয়ের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন। বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের সেক্রেটারি জেনারেল সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী, জাকের পার্টির মহাসচিব মুন্সি আবদুল লতিফ, সম্মিলিত ইসলামী জোটের প্রেসিডেন্ট মওলানা জিয়াউল হাসানসহ ২৫ জনের করা জনস্বার্থ রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার এই আদেশ দেয় আদালত। আগামী ছয় সপ্তাহের মধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. এটিএম শামসুল হুদা, জামায়াতে ইসলামীর আমীর মতিউর রহমান নিজামী ও সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। রিট আবেদনে বলা হয়, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী কোন রাজনৈতিক দলের গঠনতন্ত্র যদি সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হয় তাহলে সেই দল নিবন্ধন পাবে না।

এছাড়া কোন দল অসা�প্রদায়িক চেতনা নষ্ট করলে ও বিদেশে কার্যালয় থাকলে সেই দল নিবন্ধন পাবে না। জামায়াতে ইসলামীর জন্ম ভারতে। তাই এ দল নিবন্ধন পেতে পারে না। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের নারী প্রতিনিধিত্বের কথা উল্লেখ করে রিট আবেদনে আরও বলা হয়েছে, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে ২০২০ সালের মধ্যে ৩৩ শতাংশ নারী প্রতিনিধিত্ব থাকার কথা রয়েছে। কিন্তু জামায়াতে ইসলামীর গঠনতন্ত্রে এই বিষয়টি নেই।

তাছাড়া এ দলে মহিলারা বড় পদে নেই; অন্য কোন ধর্মের নাগরিক এই দলের সদস্য হতে পারে না। এসব কারণে জামায়াতে ইসলামী নিবন্ধন পাওয়ার যোগ্য নয়। তারপরও জামায়াতকে নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে। তাই জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিলযোগ্য। রিটকারী পক্ষে বক্তব্য দেন ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর।

আদেশের পর তিনি সাংবাদিকদের হাইকোর্টের রুল জারি করার কথা জানান।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.