আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাংলার তাজমহল

আল বিদা

আগ্রার তাজমহলে মনে হয় না কখনও যাওয়া হবে। এর একটা কারন হচ্ছে দূরত্ব। নিখিল ভারত ট্রেন জার্নী করে তাজমহল দেখা হয়ত হবে না। তাই তাজমহলের মত একটা স্থাপত্য দেশে বানিয়েছে শুনে দেখতে গেলাম। শুনলাম হোটেল রাজমনি ঈশা খার মালিক ৪০০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই তাজমহল বানিয়েছেন।

তবে এখন পর্যন্ত ৪ কোটি টাকা খরচ হয়েছে কিনা সন্দেহ। কাচপুর ব্রীজ পার হয়ে আমরা মোগলাপাড়ার দিকেই যাচ্ছিলাম। হঠাৎ চোখে পড়ল একটা রোডসাইন। রোডসাইন দেখে বামে টার্ন নিয়ে তাজমহলের দিকে গেলাম। পথে এক ভদ্রলোককে তাজমহল কোথায় জিজ্ঞেস করায় বলল, সামনে একটা ১/১ পাবেন, তার বা দিকে।

কিছুদূর এগিয়ে দেখলাম রোড ডিভাইডার। আর তার বায়ে তাজমহলের রাস্তা। ঢাকা-চট্টগ্রামের মূল রাস্তা থেকে প্রায় ৪ কিমি ভিতরে গিয়ে দেখা পেলাম 'বাংলার তাজমহল'এর। তাজমহরের নকশা অনুযায়ী বানানো এই স্থাপত্য দেখতে ভালই। তবে দুধের সাধ কি ঘোলে মিটে? তাজমহল ভবনটাই তো আর না।

তাজমহলকে ঘিরে যে ইতিহাস আর পরিবেশ তাই নিশ্চয়ই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন। এখনও নির্মান কাজ চলছে। পার্কিং আর টয়লেটের ব্যবস্থা ভালই করেছে। পারিবারিক বেড়ানোর জায়গা হিসেবে ভালই। তবে আগ্রার তাজমহলের কোন অনুভূতি পাওয়ার জন্য আমি আর এত কষ্ট করব না।

আসা-যাওয়ার পথে গ্রামের যে পথ পেড়িয়ে গেলাম তা মনমুগ্ধকর। ফেরার সময় ঢাকা-সিলেট রাস্তা দিয়ে বের হয়ে এসে মনে হল এই পথটাই ভাল। তবে আপনারা সময় করে গিয়ে ঘুরে আসতে পারেন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.