আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জেলে বাড়ির ভাত মিলছে না সঞ্জয়ের!

জেলের ভেতর শুরুর এক মাস বাড়িতে রান্না করা খাবার খাওয়ার বাড়তি সুবিধা পাওয়ার কথা ছিল সঞ্জয় দত্তের। কিন্তু আত্মসমর্পণের মাত্র ১২ দিনের মাথায় তাঁকে বাড়ির খাবার সরবরাহে অস্বীকৃতি জানিয়েছে ইয়েরাওয়াড়া কারা কর্তৃপক্ষ।
অস্ত্র মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত বলিউডি অভিনেতা সঞ্জয় দত্ত এখন বন্দী আছেন পুনের কেন্দ্রীয় ইয়েরাওয়াড়া কারাগারে। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী জেলে বসে বাড়ির খাবার খাওয়ার অনুমতি পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁকে বাড়ির খাবার সরবরাহ না করার জন্য সম্প্রতি আদালতে আবেদন করেছে কারা কর্তৃপক্ষ।


এ প্রসঙ্গে কারারক্ষী যোগেশ দেশাইয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে পিটিআই জানায়, ২৭ মে আদালতে এ আবেদন করা হয়েছে। যথাসময়ে এর শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ইয়েরাওয়াড়া কারাগারের নিয়ম অনুযায়ী কোনো বন্দীকে এ ধরনের বাড়তি সুবিধা দেওয়ার সুযোগ নেই।
আদালতের বেঁধে দেওয়া সময় অনুযায়ী ১৬ মে আত্মসমর্পণ করেন সঞ্জয়। এর আগেই কারাগারে বাড়তি কিছু সুবিধা পাওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন তিনি।

আদালতও তাঁর আবেদন আমলে নিয়েছিলেন। জেলে বন্দী থাকা অবস্থায় বাড়ির খাবার খাওয়ার অনুমতির পাশাপাশি প্রয়োজনীয় কিছু ওষুধও সঙ্গে রাখার অনুমতি পেয়েছিলেন এ তারকা অভিনেতা।
সঞ্জয়কে একটি পাতলা তোশক আর বালিশ সরবরাহ করার নির্দেশনাও দিয়েছিলেন আদালত। তিনি আরও কিছু সুবিধা পাওয়ার জন্যও আবেদন করেছিলেন। সেগুলোর মধ্য থেকে কারাবন্দী অবস্থায় ইলেকট্রনিক সিগারেট খাওয়ার আবেদন প্রত্যাখ্যান করেন আদালত।


এদিকে, কারাগারে কাগজের ফাইল বানানোর কাজ দেওয়া হয়েছে সশ্রম কারাদণ্ড পাওয়া সঞ্জয়কে। ফাইল বানানোর পাশাপাশি তিনি কাগজ বাঁধাইয়ের কাজও করবেন। বিনিময়ে দৈনিক মজুরি হিসেবে তাঁকে দেওয়া হবে সাকল্যে ২৫ থেকে ৪০ ভারতীয় রুপি। এর আগে ইয়েরাওয়াড়া কারাগারেই দেড় বছর জেল খেটেছিলেন সঞ্জয়। তখন তাঁকে বেতের চেয়ার বানানোর কাজ দেওয়া হয়েছিল।

কাজে আনাড়ি হওয়ায় প্রতিদিন তাঁকে মাত্র সাড়ে ১২ রুপি মজুরি দেওয়া হতো।
১৯৯৩ সালে মুক্তি পাওয়া ‘খলনায়ক’ ছবিতে জেল পলাতক গ্যাংস্টার চরিত্রে সঞ্জয় দত্তের অনবদ্য অভিনয় মুগ্ধ করেছিল অগণিত দর্শককে। পরবর্তী সময়ে ‘মুন্নাভাই’ সিরিজের ছবিতে একই ধরনের চরিত্রে অভিনয় করে তুমুল জনপ্রিয়তা পান ৫৩ বছর বয়সী এ অভিনেতা। হিন্দি চলচ্চিত্রের প্রখ্যাত তারকা দম্পতি সুনীল দত্ত ও নার্গিসের সন্তান তিনি।
বলিউডের ইতিহাসে অন্যতম বিতর্কিত তারকা সঞ্জয় দত্ত।

মাদকাসক্তি, অবৈধ মাদক বহন, কুখ্যাত সন্ত্রাসীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা, ১৯৯৩ সালে মুম্বাইয়ের ভয়াবহ ক্রমিক বোমা হামলার সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ থেকে শুরু করে বাড়িতে অবৈধ অস্ত্র রাখার মতো গুরুতর অপরাধে জড়িয়ে ব্যাপক আলোচিত ও সমালোচিত হয়েছেন এ ‘খলনায়ক’ তারকা।
১৯৯৩ সালে মুম্বাইতে ক্রমিক বোমা বিস্ফোরণ মামলায় অবৈধ অস্ত্র রাখার দায়ে গত ২১ মার্চ সঞ্জয় দত্তকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন ভারতের সর্বোচ্চ আদালত। এই মামলায় এরই মধ্যে তিনি দেড় বছর জেল খেটেছেন। এ জন্য তাঁকে আর সাড়ে তিন বছর সাজা খাটতে হবে। ১৬ মে আত্মসমর্পণ করার পর প্রথমে তাঁকে মুম্বাইয়ের আর্থার রোড কারাগারে রাখা হয়েছিল।

সপ্তাহ খানেক বাদে সেখান থেকে পুনের ইয়েরাওয়াড়া কারাগারে স্থানান্তর করা হয় তাঁকে। জেলের ভেতর সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পৃথক একটি কুঠরিতে রাখা হয়েছে ‘মুন্নাভাই’খ্যাত এ তারকাকে। ।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।