আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যে কারনণ তামিল টাইগারের বিদ্রোহ

অজানা গন্তব্যহীন পথে হঠাৎ নানা ক্ষুদ্র, মাঝারি, বৃহৎ উদ্দ্যেশ্যের জন্ম হয় নিজের মাঝে, । সেই গন্তব্যহীন পথে নানা নতুন নতুন উদ্দ্যেশ্যের পিছনে আমার ছুটে চলা, আমার বিরামহীন পথ চলা।

নতুন করে আবারও আলোচনায় উঠে এসেছে শ্রীলঙ্কার বিচ্ছিন্নতাবাদী দল তামিল টাইগার। শ্রীলঙ্কার সেনাবাহিনী তামিলদের এলাকা দখল নেয়ায় সংবাদে আবারও আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে এই বিদ্রোহীরা। তাদের বিদ্রোহের নেপথ্যেও রয়েছে নানা ধরনের ঘটনা।

পৃথিবীতে এ পর্যš যতগুলো গেরিলা দল সংঘটিত হয়েছিল বা বর্তমানে এখনো বিদ্যমান তাদের শক্তি পরীায় সবার চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী শ্রীলঙ্কার এই তামিল বিদ্রোহীরা। তাদের সাংগঠনিক নাম লিবারেশন টাইপার্স অব তামিল এলাম (এলটিটিই)। অনেকটা আকস্মিক শ্রীলঙ্কার উত্তরাঞ্চলে তামিল টাইগারদের পতন অনেকের কাছে একটি অকল্পনীয় ঘটনা। কেউ কেউ বিষয়টিকে তামিল বিদ্রোহীদের জন্য একটি বিরাট সামরিক বিপর্যয় মনে করছে। আবার কেউ কেউ ভিন্নমত পোষণ করছেন।

তাদের মতে, কিলিনোচ্চির পতন অনিবার্য হয়ে উঠায় তামিল বিদ্রোহী নেতা ভেলুপিল্লাাই প্রভাকরণ তার সদর দপ্তর পার্শ্ববর্তী মোল্লাইতিভুতে স্থানাšর করে নিয়েছিলেন। তাই কিলিনোচ্চির পতন ঘটায় তার তিগ্র¯ হওয়ার সম্ভাবনা নেই। বর্তমান বিশ্বে এলটিটিই(তামিল টাইগার) একমাত্র গেরিলা সংগঠন যাদের নিজস্ব নৌ ও বিমান বাহিনী রয়েছে। তাদের নৌবাহিনীকে বলা হয় ‘সী টাইগার্স’। সী টাইগার্সদের সংখ্যা বর্তমানে ২ হাজারেরও অনেক বেশি।

বিগত কয়েক বছরের হিসাবে দেখা যায় সী টাইগাররা এপর্যš শ্রীলঙ্কার ৩৫ থেকে ৫০শতাংশ নৌযান ধ্বংস করেছে। এলটিটিই’র বিমান বাহিনীকে বলা হয় ‘এয়ার টাইগার্স’। যাদের আন্ডারে কমপে ৫টি হাল্কা জঙ্গি বিমান রয়েছে। ২০০৭ সালে তারা তাদের বিমান বাহিনীর মতাও দেখিয়েছিল। ঐ সময় এয়ার টাইগাররা প্রথম শ্রীলঙ্কার বিমান ঘাঁটিতে বোমাবর্ষণ করে পুরো শ্রীলঙ্কাকে চমকে দিয়েছিল।

কিলিনোচ্চি দখল করে নেয়া সত্ত্বেও শ্রীলঙ্কান বাহিনী এখন পর্যš এলটিটিই’র ব্যবহত জঙ্গি বিমানগুলোর সন্ধান পায়নি। তামিল বিদ্রোহের সত্রাপাত করেণ ভেলুপিল্লাই প্রভাকরণ । তিনি ১৯৭২ সালে তামলদের অধিকার আন্দোলনের সংগ্রামকে বেগবান করতে সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন। এর আগে বহু বছর যাবত তামিলরা শ্রীলঙ্কা সরকারর প্রতি ুদ্ধ ছিল। এ প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার শুরুতে তামিল তরুণরা দলে দলে তার সংগঠনে যোগদান করতে থাকে।

আধিকার আন্দোলনের মাধ্যম হিসাবেই সংঘটনের কার্যক্রম সিমাবদ্ধ ছিল বেশ কিছু বছল। এলটিটিই সামরিক তৎপরতা ১৯৮৩ সাল থেকে প্রথম শুরু হয়। সে বছরের জুলাইয়ে সিংহলীরা প্রায় ৪ হাজার নির্দোষ তামিলকে হত্যা করা এবং তাদের সহায় স¤ক্সত্তি ধ্বংস করে দিলে এলটিটিই সামরিক অপারেশনে যাত্রা শুরু করে। ঐ সময় যাদের হত্যা করা হয়েছিল তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন জাফনার মেয়র আলফ্রেড দুরাইয়াপা। এলটিটিই একই উদ্দেশ্যের অনুসারী অন্যান্য তামিল বিদ্রোহী গ্র“পের সঙ্গে মিলিতভাবে কাজ করতে থাকে।

এলটিটিই আনুষ্ঠানিকভাবে ‘ইলম ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট’(ইএনএলএফ)-এ যোগদান করে১৯৮৪ সালের এপ্রিল মাসে। ভারতের ইএনএলএফ’র শাখা ‘তামিল ইলম লিবারেশন অর্গানাই-জেশন’ (টিইএলও)-কে প্রকাশ্যে অর্থ সহায়তা এবং অ¯শ¯ সরবরাহ করায় ভারতকে তারা নিজের অতি আপন মনে করত। ভারতের প্রতি ছিল তাদের অগাধ সমর্থন। টিইএলও শ্রীলঙ্কার সমস্যাকে ভারতীয় দৃষ্টিভঙ্গিতে বিচার করতো এবং শাšি আলোচনায় ভারতীয় অভিমতকে বেশি গরত্ব দিতো। শেষ পর্যš এলটিটিই তাদের সঙ্গে একমত হতে না পারায় তাদের পর¯ক্সর বিরোধ চরমে উঠে।

গ্র“পটি জানিয়ে দেয় যে, ভারত তার নিজস্ব স্বার্থে কাজ করছে। তাদের এমন প্রকাশ্য মতবিরোধ ঘটায় এলটিটিই তাদের সহযোগী ইএনএলএফ’র সাথে ১৯৮৬ সালে স¤ক্সর্ক পুরো দমে ছিন্ন করে। এলটিটিই গেরিলাদের এমন প্রশিন দেয়া হয় যেন তারা মৃত্যুকে তোয়াক্কা না করে। ধরা পড়লে সায়ানাইড ট্যাবলেট পানে আত্মহত্যা করার প্রশিনও তাদের প্রত্যেকের রয়েছে। ১৯৮৭ সালে ‘ব্লাক টাইগার্স’ ইউনিট গঠন করা হয়েছিল রাজনৈতিক, সামরিক এবং অর্থনৈতিক ল্যবস্তুতে আত্মঘাতি হামলা চালানোর কাজে।

ঐ সময় শ্রীলঙ্কান সেনাবাহিনীর ঘাটিতে আত্মঘাতি হামলায় ৪০ জন সেনা সদস্য নিহত হয়। কিছু দিন যুদ্ধ বন্ধ থাকলেও নব্বইয়ের দশকে তারা আবার গেরিলা যুদ্ধ চলতে থাকে। শেষ ২০০১ সালে এলটিটিই পৃথক রাষ্ট্র গঠনের পরিবর্তে আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসন দাবি করে। বর্তমানে পৃথিবীর ৩১টি দেশে এলটিটিই’কে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসাবে চিহ্নিত এবং নিষিদ্ধ করা হয়।



এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.