আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আইজ্জা হুডি মাচ দি বাত খামু

কতো কী করার আছে বাকি..................

আইজ্জা আঁর বাইত চলেন : বাজাত্তুন আর বাইজ্জাইতেন কিল্লাই-চলেন আইজ্জা আঁর লগে চলেন আন্নেরে হুডি(পুঁটি) মাচ দি বাত খাবামু। (এই লিখায় চ এর উচ্চারণ সাইকেলের স এর মত হবে) : হুডি মাচ হাইচচ কন্ডে। : হাইচি আঁর হোলায় আইনছে-হ্যতেতো দরেন মাইনষের হরমাইশ খাডে-আইজ্জা চোদরীগো হইর(পুকুর) হিঁচচিলো(সেঁচা) বলে-হেতেরে ডাইকচিল মাচ দরি দিবেল্লাই-হেতে ওই হুডি মাচ কোগা রাই বাঁইয়া হইল-টাগি-বাইচ্চা মাচ বেচি দিচে-চাইল আর কিয়া কিয়া জানি আইন্ছে বাজারতুন-আঁরে কয় আব্বা আইজ্জা হুডি মাচ বাজুম আর গরম বাত খামু রাইচ্ছা। : তোর হুডি মাচ আর গরম বাত আঁই কিল্লাই খামু। : আরে চলেন চলেন এই দুইন্যাডায় আন্নেরও বয়স অইচে আঁরও বয়স অইচে-আন্নরেও বউ মইচছে আঁরও বউ মইচছে।

আন্নেও থান হোলার সংসারে আঁর হুতের বউ নাই-তাইলেওতো হোলার ইঙ্কামই(ইনকাম) খাই। বাজারে আঁর লগে যান আঁর লগে আইয়েন-তই আঁর হুডি মাচ খাইলে কি আন্নের যাত যাইবোনি। : রাইত অই যাইবো আঁর বাইত হিত্তে কষ্ট অইবো। : রাইচ্ছা আবার বাইত যাইবেন কিল্লাই। আঁর লগে থাই যাইবেন।

: না-আঁর হুত আর হুতের বউ চিন্তা কইরবো। : আরে আন্নে খালি হ্যঁচান-আঁর হোলারে হাডাই দিমু হেতে কইও আইবো আর রাইচ্ছা আন্নের গরে থাইকবোনে। আন্ডা(আমরা) দুই বুইয়া মনে করেন হারা রাইত দরি গপসপ মাইল্লাম-বাঁচুমই আর কয়দিন। : গপসপ মারি কি লাব-হে দিন কি আর আইবো নি-খালি খালি মনে কষ্ট হামু। : আরে গরে যাইতো হেডেত্তে কোগা দি চিত্তই হুতি গুম যাইবেন-তা আইজ আঁর লগেই থাকেন-কিল্লাই আন্নের হাদিসে নিষেদ আচেনিকি আঁর লগে থাইকবার কতা।

: তুই লাগে যে চেতি যরি। : ন থাইকলেতো চেতমু-চেইত্তান্ন কিল্লাই-আন্নে আঁরে চোড বেলায় যিআন কইচেন হিয়ান কইচ্ছি-কার গাচের রস হাইতে ওইবো-কার ঊমের মরগ চুরি কইত্তে অইবো-কোন কতা না কইচ্ছিনি-বাফে হোন্দের চাম্বা তুলি হালাইচে ফিডি-ত বাফেরে গাইল্লাইচি আন্নেরে কোনদিন কিচু কইচিনি। : বাজি চল চল তর লগেই আইজ্জা রাইচ্ছা থাকমু। : এত্ক্কনেনি আন্নের মন গইলছে। রাইত দেখিইতো আঁর মন উতালা অই গেচে।

আন্নে খালি গর গর করেন। রেনি চান না কি খোয়া(কুয়াশা) হইচে। খোয়াগান কেমন বাসিবাসি যার এমুইত্তুন হেমুই-লাগে যে সাদা চাদইর হড়ি আকাশেত্তুন সাদা ফরী অগল নামি আইচে-যেই ফরীর কোন শরীল নাই-আঁসে(হাসে)-বাসে(ভাসে)-গুরে(ঘুরে)। ঠান্ডা চাদইরে আন্নেরে জোয়াই দরে। গুইত্তে গুইত্তে আন্নের নাকে দি ডুকি যায়-লগে রসের গন্দ-উতলা অই যায় না মনডা-মনে অয় না বয়স কমি গেচে।

: হা হা হা এরে মইত্ত্যা তোর কি অইচে আঁরে ক চে। জ্বীন ফরিএ দইচ্চেনি কোন-হা হা হা-বুয়া কালে কোন আরিগ্গা বিয়া কইরবিনি। হা হা হা হা-কহ্হ কহ্হ খ্য....... থু (কাশি)। : বেশি আঁসিয়েন না-ফরী অগল আন্নের মুখে দি ডুকি যাইবো কইলাম। : কিবো ডুইকলে কি অইবো।

হা হা হা-অ.........। : হাইজলামি করিয়েন না। আইজ্জা আন্নেরে হাইচি। এক্কানা বকিয়ের-এই আরি। : আইচ্ছা যা তোর যা খুশি ক-খালি আঁরে আঁইসতে দিচ।

: আইচ্ছা রাইতেরে আন্নের কাচে কি মনে অয়-মনে অয় না রাইত মাইনষেল্লাই ন। রাইত অইচে গাচে গোল্লাই-তারা গোল্লাই-কুয়াশার ফরী গোল্লাই-আষাড় মাসের রাইতে হারা আকাশ কান্দে-হাঁফেরা ব্যাঙ খোঁজে-ব্যঁঙেরা জমিনে জমিনে ডাকে, সোহাগ করে। কিন্তু আন্নে আঁই গুম যাই ডরে বাইরওই না। রাইত মানেইতো আন্দার-রাইত মানেই গুম। বুইজলেন নি আয়েশা মইরবার হরেত্তুন রাইত অইলেই আঁর খালি মরনের কতা মনে অয়।

আয়েশা এমন এক রাইতে চলি গেচে যিয়ানে কোনওদিন সকাল আইতোনঅ। : থক মন খারাপ করিচ্চা। হেতিতো রাইতেই মইচ্চে কেন ন। : মাইনষের মরন লই কোন সমে চিন্তা কইচ্ছেননি। এই যে মানুষ মরে- মাডি তারে বুকে লয়-মাইনষের শরীরের রক্তচর্বিতেল সব মাটি চুইষ্যা লয়-হেই তেল টানি গাচ তরতরাই ব(বড়) অয়।

হেই গাচের রস-ফল আন্ডা খাই-হেই গাচের কাঠদি খাটিয়া বানাই আরেকটা লাশ লই কবরে যাই। কবরের তলে একটা মানুষ চুপচাপ হুতি থাকে-মাডির হোক (পোকা) অগলে তারে হঁচাই হালায়-ত চিল্লায় না-কান্দেনা-অথচ যন বাঁচি আচিল হেসুমে কতো কামে চিল্লাইচে-কাইনছে-হিম্বা ইগ্গারে গার ওঁচে দি আঁইটতো দেনঅ। হে মইরবার হর এক্কেরে চুপ-তাল্লাই খালি আন্ডা কান্দি। কোনঅ দিন দেইখচেন-মানুষ মইচ্ছে বলি একটা গাচের হাতা খসি হইড়চে। আকাশেত্তুন এক হোডা হানি হইচে।

এক লগে কয়েক শ' মানুষ মইল্লেওত আকাশ কান্দেনা। এই যে যুদ্দে এক লগে কত মানুষ মরে-নদীর হানি রক্তে লাল অই যায়-কিন্তু নদীনি চুপচাপ হুতি থাইকবো। নদী খালি বই যায়। লাশ লই অক আর নৌকা লই অক। খালি মাইনষে নিজের কাম বদলাই হালায়।

মাইনষে মাইনষেরে মারে। দুই টেঁয়া-হাঁচ টেঁয়ারলাই মারে। এক দেশের মানুষ আরেক দেশের মানুষরে মারে। ফাফ(পাপ)-এ যে কত বড় ফাফ। আঁর বুকটা হু হু করি উডে-এই ফাফের কি বিচার-নাকি এতোবড় ফাফের কোন বিচার খোদার বিধানে নাই।

: তুই ব্যডা মনডাই খারাপ করি দিতেছচ। : কিন্তুক-বিচার কিন্তুক অইবই। আন্নের মনে আচেনি। মোশা মোলবির কতা মনে আচেনি। হেতেনে আঙ্গোরে কি হইত্তোদিন মাইত্তোনি।

আন্ডা কতদিন মক্তব কামাই দিচি। কিন্তু একদিন মাইত্তো- বাদি গাচের ডাইল দি-নিন্দার চোঁয়াদি (নিন্দা স্থানীয় একটি ঝোপ জাতীয় গাছ এর কঞ্চি দিয়ে পেটানো হত)। এ যে কি মাইর দিন-রাইত এক করি হালাইতো। এই মাডিও একদিন দেইকবেন ফতিশোদ লইবো। মাডি কইবো-আঁই একজন একজন করি লাশ বুকে লমু-একলগে বেশি লাশ কবর দিলে আঁই হাডি যামু।

আবার জিজ্ঞাইবো এই ডা কিয়ের লাশ- না গুলি লাগা লাশ আঁই লইতান্ন-এই লাশ তোগো সামনে হঁইচবো-তোরা বুজ-একদিন তোগো এইচ্ছা অবস্তা ওইবো। :এর তোর কি ওইচে আঁরে ক চাই। :আন্নেত বুজেনই ব্যাক কিচু। আয়েশা মইরবার হরেত্তুন-আঁর কাচে ব্যাক কিচুই কেইচ্চা কেইচ্চা লাগে। হায়রে আঁর বুকে মাতা ঠ্যকাই আয়েশা কত কান্দা কাইনছিল।

হিতির চোকের হানিতে আঁর বুকে শ্যাওলা হড়ি গেছে। হেই শ্যাওলা অন হুয়াই কালা অই বুকে বান্দি গেচে। আন্নে জানেন নি আয়েশা মইচ্ছিল আশ্শিন মাসে। একদিন আকাশের সাদা ম্যগের(মেঘ) মুই রেনি কয় ওই দেইকচেন নি, আকাশে কাফনের কাফঅ উই যার-আঁই বাইচতান্ন-মনতাজের বাফ আঁই বাইচতান্ন। হুডি মাচের কি নাম আচেনি : তোর এগান মরনের কতা থামা।

গরের দজ্জা খোল। : বইয়েন, আঁই চেরাগ জালাইয়ের। আরেকটা গটনা আন্নেরে কই। আঁর নানা মইরবার সমে খালি কইতো আঁরে আঁর বাইত লই চল। কি ব্যফার চিন্তা করেন নিজের বাইত হুতি রইচে আর কয় আঁরে বাইত লই চল।

কোন বাইর কতা কইচে কন চে। আঙ্গো আসল বাই কি তাইলে ফরফারে। আরো আচে, মইরবার কয়েকদিন আগে কয় নাতি আঁর কাচে এগুন কন বই রইচে-কন এগুন-এগুনেরে চা টা দিচত্তি। আন্ডা দমকাই-কন্ডে নানা আন্নের খাটের ওঁচে কন বই রইচে-কেউ নাই ত। নানা তাও খালি কয় না তোরা আঁর লগে মিচা কতা করি-ওইত্তো বই রইচে।

চিন্তা করেন চে কাগোরে দেইকচিল নানায়। তার বাপেরে-দাদারে-কারে। আঁর মনে অয় কি জানেন্নি মইরবার আগে মাইনষে ঠিকই ট্যার হায় যে হে মরি যাইবো। আইয়েন বইয়েন। বাতগুন অনঅ গরম আচে।

হোলার হুডি মাচ বাজা কেইচ্ছা অইচে কনে কইবো। : তুই কি হারাদিন খালি এগানই চিন্তা করচ নি। : হারাদিন কি এগান চিন্তা করন যায় নি। হোলাগারে অনঅ বিয়া দিতাম হারি ন। তই মাজে মাজে মন খারাপ অই গেলে এগান চিন্তা মাতাত আইয়ে আরি।

: হুডি মাচগুন ত বঅ আচে দেয়া যায়। : এক্কান জিনিস চিন্তা কইচ্ছেন নি। হুডি মাচের কোন নাম নাই। ফরিচয় নাই। দালান নাই-বিমান নাই।

হুডি মাচ বেগ্গুন এক লগে থায়। এক লগে আন্নের জালে দরা দে। আন্নে কিল্লাই দইচ্ছেন তারে, হিল্লাই বুলি আন্নেরে লাফাই-জাফাই কাম্বাইতে আইতো ন। এইডা হুডি মাচের স্ববাব। আর মাইনষের কতা চিন্তা করেন।

মাইনষে কিল্লাই নিজের চরিত্র বদলাই হালায়। দরেন এক দেশের মাইনষে আরেক দেশের মাইনষেরে হুডি মাচ যেইচ্ছা হইরে আটকা থায় হেইচ্ছা দেয়াল দি গিরি হালাইলো- কইলো তোরা কোন আনে যাইতি হাইত্তি ন। তারফর হুডি মাচরে আন্ডা যেইচ্ছা জাল দি দরি, হেইচ্ছা কামান দি-গুলি দি কাতারে কাতারে মানুষ মাইত্তে থাইকলো। কিল্লাই এত মানুষ কিল্লাই মাইরবি তোরা- কেউ কি হুডি মাচের মত মানুষ বাজি কইরবো- নাকি কেউ শত শত মানুষ কবর দি হেই মাডিতে গাচ লাগাইবো বালা ফলনের লাই। একটা মাইনষের যদি মইরবার আগে মার মুক(মুখ) আন চাইতো মনে কয় হে সুযোগ কিল্লাই হাইতো ন, কিল্লাই-মানুষ কি হুডি মাচ, কন মানুষ কি হুডি মাচ যে চাইলেই শত শত মানুষ মারি হালান যাইবো।

এর কি কোন বিচার অইতো ন, কন কোন বিচার অইতো ন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।