আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইজি এ (২০১০)

no comment

ইজি এ ২০১০ সালের একটি টিন কমেডি মুভি । মুভির স্ক্রিন-প্লে কিছুটা ‘দ্য স্কারলেট লেটার’ নভেল থেকে অনুপ্রাণিত ছিলো কাহিনী : হাই-স্কুল স্টুডেন্ট অলিভ পেন্ডারঘাস্ট (এমা স্টোন ) তার স্কুলের সবচেয়ে আলোচিত ব্যক্তিতে পরিনিত হয় যখন সে তার বেস্ট ফ্রেন্ড রিহাননের (অ্যালিসন মিচালকা ) কাছে তার ভার্জিনিটি হারানোর ব্যাপারে মিথ্যা বলে এবং কোনোভাবে ম্যারিয়েন (অ্যামান্ডা বেইনেস ) সেটা শুনে ফেলে এবং পুরা স্কুলজুড়ে তা প্রচার করতে থাকে । অলিভ প্রথমদিকে এই হঠাত খ্যাতি উপভোগ করতে থাকলেও আস্তে আস্তে এটা তার মাথাব্যাথার কারন হয়ে দাড়ায় । পরবর্তীতে অলিভকে অনেক বড় বিপদে পড়তে হয় । অলিভ কীভাবে সেই বিপদের মোকাবেলা করে সেটা জানতে হলে মুভিটা দেখে ফেলুন ।

মুভির প্রধান আকর্ষণ এমা স্টোন । এমা স্টোনকে আমি চিনি এই মুভির মাধ্যমেই এবং ‘ইজি এ’ দেখার পর থেকেই আমি এমার ফ্যান । মুভির বেশিরভাগ সময় জুড়েই ছিলো এমা । সো , তার অভিনয়ের উপরেই মুভি ভালো লাগা অথবা না লাগা অনেকাংশে নির্ভরশীল । এক্ষেত্রে বলতে হয় মুভিটা একাই টেনে নিয়ে গিয়েছেন এমা ।

যদিও এমার গলার ভয়েস তেমন ভালো না , তবুও পুরা মুভিতেই এমার প্যাঁচাল শুনতে বেশ ভালো লাগছে । এমার চোখের ভাষা , এক্সপ্রেশন , স্যারকাজম , Attitude , হাসি এমনকি কান্নাও অসম্ভব ভালো লেগেছে । মুভি দেখার সময় মনেই হচ্ছিলো না যে এটা একটা মুভি দেখছি । আরও মনে হচ্ছিলো যে এমা স্টোন বোধহয় আসলেই এমন । অ্যামান্ডা বেইনেসের অভিনয়ও ছিলো প্লাস পাওয়ার মত ।

অ্যামান্ডার চোখের ভাষা আর এক্সপ্রেশনও ছিলো এমার মতই অসাধারন । অ্যালিসন মিচালকার অভিনয় তেমন ভালো না হলেও চলে টাইপের । মুভিতে আরো ছোটো-খাটো অনেক চরিত্র ছিলো । মুভিতে সবচেয়ে ভালো লেগেছে এমা স্টোন আর অ্যামান্ডা বেইনেসের একসাথের দৃশ্যগুলা । দুইজনের স্যারকাজম , একে অন্যের প্রতি ঘৃণা এই দৃশ্যগুলা সেইরকমের মজার ।

এমা স্টোন আর অ্যালি মিচালকার স্ক্রিন শেয়ারিংও ভালো লেগেছে । তাদের কথপোকথন হিলো এক্সট্রিম লেভেলের ফানি । আমি বেশ কিছু মুভি প্রতিদিনই দেখি । ইজি এ তাদের মধ্যে অন্যতম । কারন , মুভিটা দেখলেই কেনো জানি মুড ভালো হয়ে যায় ।

প্রথমবার মুভি দেখার সময়ও খুব হেসেছি । প্রায় প্রত্যেকটা সিনই হাসির । না চাইলেও হাসি আটকিয়ে রাখা যায় না । জোর করে হাসানোর চেষ্টা করেননি পরিচালক । কিন্তু মুভি দেখতে থাকলে হাসি এমনিতেই চলে আসবে ।

উইল গ্লুকের দুইটা মুভি দেখেছি আমি । এইটা আর ফ্রেন্ডস উইথ বেনেফিটস । দুইটা মুভিই আমার কাছে ভালো লাগছে । উইল গ্লুক খুব ভালোভাবে মুভি দর্শকদের সামনে উপস্থাপন করতে পারেন । ভবিষ্যতে উইল গ্লুকের কাছে আরো ভালো ভালো রোম্যান্টিক-কমেডি মুভি আশা করছি ।

মুভির ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ছিলো অসাধারন । মুভি শেষ করেই আগে মিউজিক নামাইছি সব । শুধু মিউজিকের জন্য হলেও মুভিটা দেখতে পারেন । মুভির ওপেনিং সিনে যে মিউজিক আছে সেটা শুনলেই মুভিটা দেখতে ইচ্ছা করবে । আর নাতাশা বেডিংফিল্ডের ‘পকেটফুল অব সানশাইন’ গানটা তো মুভি পজ করেই ডাউনলোড করে শোনা শুরু করছিলাম ।

মুভির লোকেশন হলো এই মুভির আরেকটা প্লাস-পয়েন্ট । অসাধারন মিউজিক দিয়ে যেমন মুভিটা শুরু হয়েছে , তেমনি ওপেনিং ক্রেডিটের দৃশ্য দেখলেও আপনার পুরা মুভিটা সেষ করতে ইচ্ছা করবে । পুরা মুভির শুটিং হয়েছে ক্যালিফোর্নিয়ার Ojai তে । আর অলিভের স্কুল হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে ‘Ojai North High School’ । মুভি দেখার পরেই আমার এখন খালি ক্যালিফোর্নিয়ার Ojai তে যাইতে ইচ্ছা করে ।

মুভিটা না দেখা থাকলে দেখে ফেলুন । সময়টা ভালোই কাটবে ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।