আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যুদ্ধাপরাধী বিচারের নতুন সুর



এই কথা নি:সন্দেহে সত্যি যে আমরা এই প্রজন্ম যুদ্ধাপরাধীর বিচার চাই। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজ শেষ করার পর আমরা আশা করি জাতি বাদবাকী গুরুত্বপূর্ন বিষয়ে নজর দিবে। দু:খজনক ভাবে এটা সত্য যে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাইতে গিয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ন বিষয় কারো নজরে আসতেছে না। অবশেষে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসছে। সবাই আশা করছি এইবার যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে এই বিষয়টা পুরোপুরি লাইমলাইট থেকে সরানো যাবে।

কিন্তু আজকে জনাব এস্কিমোর বক্তব্য পড়ে মনে হলো সেই আশায় গুড়ে বালি। তিনি বলেছেন= "শুধু ঢাকা শহরেই এই অপরাধ হয়নি - দেশের প্রতিটি গ্রামে - আনাচে কানাচে যুদ্ধাপরাধী ছড়িয়ে আছে। সুতরাং যতদিন একটাও অপরাধী বিচারের বাইরে থাকবে ততদিন পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চালাতে হবে। " তার মানে হলো দেশের আনাচে কানাচে এখনো যুদ্ধাপরাধী ছড়িয়ে আছে এবং তাদের বিচার চাওয়ার অজুহাতে এই বিষয়টা চলতেই থাকবে। যাই হোক সেটাও বেশীদিন চালিয়ে নেয়া সম্ভব হবে না কারণ আগামী ১০ বছর বা ২০ বছর পর ৭১ এর যুদ্ধাপরাধী আর খুঁজে পাওয়া যাবে না।

কারণ তারা এমনিতেই মারা যাবে। এইখানে এসে আবার নতুন সূত্র পেলাম। জনাব এস্কিমো আবার বলেছেন মূলত যুদ্ধটা যুদ্ধাপরাধীদের বিষয়ে না। তিনি বলেছেন- "আমরা মুলত চাইছি - যুদ্ধাপরাধী ও তাদের মতাদর্শের বিচার। সুতরাং আমাদের লক্ষ্য হবে যুদ্ধাপরাধী ও তাদের মতাদর্শের পুরোপুরি নির্মলের দাবী করা।

" তার মানে যুদ্ধাপরাধী যেমন একটা সমস্যা তাদের মতাদর্শও তেমন একটা সমস্যা। এবার তাহলে তাকানো যাক সেই মতাদর্শের দিকে। এই বিষয়ে তিনি আরো পরিষ্কার করেছেন যে- "একটা আধুনিক সমৃদ্ধ প্রগতিশীল দেশ হিসাবে বাংলাদেশকে দেখতে চাই। তাই এখানে এমন কোন মতাদর্শের মানুষ চাইনা যারা বারবার আমাদের পিছনে টেনে নেবে। " এর মানে যুদ্ধাপরাধীদের মতাদর্শ প্রগতিশীল হতে বাঁধা দিতেছে।

এখন কথা হলো এই তথাকথিত "প্রগতিশীল" বলতে আসলে তারা কি বুঝেন? তাদের মিডিয়া যেগুলিরে প্রগতিশীলের নমুনা বলে সবাইরে খাওয়ানোর চেষ্টা করেন সেইটা কিন্তু আবার সবার কাছে গ্রহনযোগ্য না। আবার যুদ্ধাপরাধীদের বা তাদের দলের মতাদর্শ বলে কিন্তু তারা ইনডাইরেক্টলি ইসলামরেই ইঙিত করছেন। এখন কথা হলো যুদ্ধাপরাধীর বিচারের সাথে যদি তারা ইসলামি বাংলাদেশের বিলুপ্তি চায় তাহলে সেইটা কতজনের কাছে গ্রহনযোগ্য হবে? যাই হোক, অবশেষে তিনি আসল বিষয়টা চোখের সামনে আনলেন। তিনি বললেন- "- যুদ্ধাপরাধের সাথে জড়িত সকল সংগঠন যেমন মুসলীমলীগ. জামায়াত, শিবির, নেজামে ইসলাম ইত্যাদির কার্যক্রম নামে বা বেনামে চালানো বাংলাদেশের সীমানায় নিষিদ্ধ করা জরুরী। " বিষয়টা এইবার একটা রাজনৈতিক দাবীতে রুপান্তরিত হইলো।

আওয়ামী রাজনীতির বিরোধী সবাইরে যুদ্ধাপরাধী ট্যাগিং কইরা দমন করার এই খায়েশ না আসল যুদ্ধাপরাধের বিচাররেই প্রলম্বিত করে!

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.