আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ব্যবসায়িক এনজিওগুলোকে আলাদাভাবে চিহ্নিত করা প্রয়োজন



দেশের জনগোষ্টীর উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকারী সংস্থাগুলোর পাশাপাশি বেসরকারী সংগঠন তথা এনজিওগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। অনেকেই আবার দেশের জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে এনজিওগুলোর অবধান স্বীকার করতে নাজার। তবে নিরপেক্ষ বিচারে এনজিওগুলোর প্রতি এই অভিযোগ কোনভাবেই অমূলক নয়। তবে ঢালাওভাবে সকল এনজিওগুলোকে দোষারূপ করা কোন ভাবেই উচিত নয়। বাংলাদেশের অনেক সংগঠন মানুষের অধিকার, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ রক্ষার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।

এ সকল সংগঠনগুলোর অবদান কোনভাবেই খাটো করার অবকাশ নেই। কার্যক্রম অনুসারে এনজিওগুলোকে বিভিন্ন শ্রেণীতে ভাগ করা প্রয়োজন যেমন একশ্রেণীর সংগঠনগুলো শুধুমাত্র জনসেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে অপর শ্রেনীর সংগঠনগুলো ক্ষুদ ্রঋণসহ বিভিন্ন ব্যবসায়িক কার্যক্রমের সাথে জড়িত রয়েছে এগুলো একটি শ্রেণীর। বিভিন্ন ব্যক্তির অভিযোগ দ্বিতীয় শ্রেণীর এ সকল সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে। কিন্তু এ সংগঠনগুলোর এত বড় যে তাদের কাজ ও সমস্যা নিয়ে প্রশাসনও প্রশ্ন তুলে না। অপর দিকে এ সকল সংগঠনগুলোতে সরকারী অবসর প্রাপ্ত আমলারা কাজ করে থাকে।

এ সকল সংগঠনগুলো এক সময় মানুষের কল্যাণে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করলেও এখন এই ইমেজ কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন ব্যবসায় মেতে উঠেছে। ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রম অনেক ক্ষেত্রে বির্তকিত হচ্ছে। ক্ষুদ্র ঋণ দারিদ্র বিমোচনের হাতিয়ার হিসেবে দাবি করলেও বিগত কয়েক বছরের দারিদ্রতা বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু এ সকল সংগঠন ও সংগঠনের কর্ণধার ব্যক্তিদের সম্পদ, অবকাঠামো আকার অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এ সকল সংগঠনগুলোর অফিস, অফিস ব্যয় এবং কর্মকর্তাদের বেতন ও জীবনযাত্রার মান দেখলেই অনুমান করা সম্ভব ১৪ কোটি মানুষের দারিদ্রতা তাদের জন্য আর্শিবাদ।

ক্ষুদ্র ঋণসহ বিভিন্ন কার্যক্রমের বিষয়ে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ও অনুযোগ থাকলেও। এই সংগঠনগুলো বেশ প্রভাব ও প্রতিপত্তির সাথে এ পর্যনত্দ কার্যক্রম পরিচালনা হচ্ছে। শুধু তাই নয় এ সকল সংগঠনগুলো দেশে আগত বিদেশী অনুদানের প্রায় ৯০ শতাংশ গ্রহণ করে থাকে। এত কিছুর পরও গুটি কয়েক এধরনের প্রতিষ্ঠানের জন্য আজ এনজিও বিভিন্ন মানুষের কাছে একটি সন্দেহ এবং ঘৃণার বিষয়। গুটি কয়েক এ সংগঠনগুলো এখন ক্ষুদ্র ঋণ নামক দারিদ্রতা হ্রাসের যন্ত্রণাদায়ক কার্যক্রম করে শানত্দ থাকছে না।

সামপ্রতিক এ গোত্রের কতিপয় সংগঠন জনগনের সম্পদ দখলে নেমেছে। জনগনের হাসপাতাল, ক্লিনিক, পানি, প্রাইমারীগুলো এ যাবত ইজারা নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। অপর দিক অপর এক প্রতিষ্ঠান ২০৩০ সালে দারিদ্রতা নিমূলের নামে দেশের পানি দখলের চিনত্দায় নেমেছে। এসকল ব্যবসায়িক এনজিওগুলোর পানি দখলের পরিকল্পনা এখনো স্পষ্ট না হলেও ক্লিনিক ও প্রাইমারী স্কুলগুলো দখলের প্রতিবাদে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী/পেশাজীব এবং সিভিল সোসাইটির সংগঠন স্বোচ্ছার। বিশ্ব ব্যাংক এর পরামর্শ ক্রমে জনগনের উপর ঋণের বোঝা চাপিয়ে এ সকল এনজিওগুলোকে স্বাস্থ্যসেবা খাত এনজিও নামধারী ব্যবসায়ীদের হাতে তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে।

এ সকল সংগঠনগুলোর মূলক বিদেশী ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষা করে। এসকল কোম্পানি নাম এনজিওগুলোর রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়, হাসপাতাল, ব্যাংক, প্রেসসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। এ সকল কোম্পানিও এনজিওর একটি দেশে একটি মোবাইল কোম্পানির ব্যবসার পথ কে সুগম করেছে, অপর একটি দেশে হাইব্রিড বীজ দিয়ে দেশকে কৃষি খাতকে ধ্বংশের জন্য পরিকল্পনা করছে। তবে দেশের কৃষি খাতকে ধ্বংশের জন্য একাধিক এনজিও এখন সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। ব্যবসা তাদের মূল হলেও এনজিও নামে এ মুনাফা লোভী কোম্পানিগুলো বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.