আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জামায়াত এবার হাজির হবে তাদের নখ দন্ত নিয়ে

রাজনীতি ও অর্থনীতি এই দুই সাপ পরস্পর পরস্পরকে লেজের দিক থেকে অনবরত খেয়ে যাচ্ছে

একটু লক্ষ্য করলেই দেখবেন মার্কিনীরা বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামি (বাজাই) নামের দলটাকে বেশ গুরুত্বই দেয়। যুক্তরাষ্ট্র থেকে কোনো ছোট বা মহারথি টাইপ কেউ এসেছেন অথচ জামায়াতের সাথে কথা বলে নাই এমন একটি উদাহরণও দিতে পারবেন না। কূটনীতির পাড়ার সঙ্গে যাদের জানা শোনা আছে তারা জানবেন যে বাইরে থেকে কেউ এলে এরা বেশ কিছু মানুষের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক ভাবে কথা বলে। এর মধ্যে দেশের একজন বড় অর্থনীতিবিদ আছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিকও কয়েকজন আছেন। এদের সঙ্গে কথা বলার উদ্দেশ্য হচ্ছে তৃতীয় মতটা জেনে নেওয়া।

তারপর তারা বৈঠক করেন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে। এক্ষেত্রে ও আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নাম যে থাকবে সেটা স্বাভাবিক। এর বাইরে বিশেষ করে মার্কিনীরা জামায়াতের সঙ্গে বসবেই। মার্কিনীদের খাতায় জামায়াত বাংলাদেশের তৃতীয় দল, জাতীয় পার্টি নয়। মার্কিনীদের এতো জামায়াত প্রীতি কেন? ৯/১১ -এর পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের আচার-আচরণ অনেকখানিই পাল্টে গেছে।

তারা মনে করে জামায়াতের মতো দেশগুলোকে মূল ধারার (মেইন স্ট্রিম) রাজনীতিতে ধরে রাখাই তাদের জন্য মঙ্গল। মূল ধারার বাইরে নিয়ে গেলে তারা আসলে হুমকি হয়ে দেখা দেয়। তখন নানা ধরণের গোপন কর্মকান্ডে জড়িয়ে পরে। ফলে সমস্যা হয়ে দেখা দেয়। ইরাক যুদ্ধের সময়কার কথা মনে করুণ।

বিএনপি-জামায়াত জোট তখন ক্ষমতায়। সে সময় কিন্তু বাংলাদেশে বড় কোনো অঘটন ঘটেনি মার্কিন দৃষ্টিকোন থেকে। রাস্তায় কিছু মিছিল হয়েছে, কিছু বিল্ডিং-এর কাঁচ ভেঙ্গেছে। মার্কিনীরা তাতে খুবই খুশী জামায়াতের উপর। তাদের ধারণা মতার রাজনীতিতে জামাত আছে বলেই বাংলাদেশে মার্কিন বিরোধী মনোভাব প্রকাশ করার সুযোগ অনেক কম।

এমনকি অন্যান্য ধর্মাশ্রয়ী দলগুলোকে এসময় সংযত রেখেছিল ৪ দলীয় জোট। নির্বাচনে এবার জামায়াতকে আবার রাস্তায় নামানো হয়েছে। নির্বাচনে ভরাডুবি ও যুদ্ধাপরাধীর বদনাম তাদের কোনঠাসা করেছে যে তা নিয়ে সন্দেহ নেই। এখান থেকে ফিরে আসা তাদের জন্য সহজ হবে না। কোনঠাসা জামায়াত তাহলে কী করবে? আমার ধারণা আওয়ামী লীগ সরকারকে অস্থিতিশীল করার জন্য বিএনপির চেয়ে জামায়াতই অনেক বেশি তৎপর থাকবে।

বিশেষ করে বিচারের আতঙ্কে তাদের তৎপরতা একটু বেশিই থাকবে। তারা নানাভাবে সমস্যা তৈরি করতে চাইবে। শিবির আবার আগ্রহী হবে রগ কাটায়। বোমাবাজিতে তৎপর হবে জামায়াত। জামায়াতের অর্থের অভাব নেই।

নেই দেশি-বিদেশি পৃষ্ঠপোষকের অভাব। বাইরের অর্থ আছে। আছে ইসলামী ব্যাংকের মতো প্রতিষ্ঠান। সুতরাং আওয়ামী লীগকে সতর্ক থাকতে হবে সব দিক থেকেই। জামায়াত আবার তাদের নখদন্ত নিয়ে হাজির হবে।

দেখাবে তাদের আসল রূপ। দীর্ঘদিন পর তারা অস্তিত্বের সংকটে পড়েছে। ফলে টিকে থাকতে জামায়াত এমন কিছু নেই যা করবে না, এমন কিছু নেই যা তারা করতে পারে না। সবাই সাবধান।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.