আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঘৃনীত জামায়াত শিবিরকে ভোটে না বলুন

কঠিন বাস্তবতার মধ্যে বেড়ে উঠা। মধ্য মধ্যবিত্ত পরিবারে বেড়ে উঠা। আর সত্যকে আকড়ে ধরে বেঁচে থাকার চেষ্ঠা

জামায়াত শিবির ঘৃনিত ঘাতক অক্টোপাস আর এক পাল ধুর্ত শিয়ালের নাম। পৃথিবীতে কোন জাতি পাওয়া যাবে না যারা স্বজাতির সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। র্নিলিপ্ত গনহত্যা নারী নির্যাতন পৃথিবীর ইতিহাসকে হার মানবে।

এই ঘৃনিত জামায়াতের ছাত্র সংগঠন হল ছাত্র শিবির। পাকিস্তান আমলে এই সংগঠনটির নাম ছিল ছাত্র সংঘ। রাজাকার, আলবদর আর আল শামস বাহিনীর রাজনীতি নিষিদ্ধ হলে এই সংগঠনটি নাম পাল্টিয়ে ছাত্র শিবির নাম রাখে। ধর্মীয় অনুভূতি সংগঠনটি প্রধান পুঁজি। আমি এক সময় শুধু নামাজী হওয়ার কারনে এই সংগঠনের প্রতি আকৃষ্ট হই।

কিন্তু এর ভিতরে ডুকে আমি অবাক হয়ে যাই। এর দুর্নীতির চিত্র দেখে। ৭১ এর ১৩ বছর পর আমার জন্ম। আমি মুক্তিযুদ্ধ দিখিনি। তবে এটা সত্য বেঁচে থাকা মুক্তি যোদ্ধাদের কষ্ট দুর্দশা আমি দেখেছি।

একজন যুদ্ধাহত মুক্তি যোদ্ধা দুই বেলা খেতে পায় নি। অর্ধাহারে বিনা চিকিৎসায় আমি তাদের মরতে দেখেছি। আর দেশের স্বার্থবিরোধী (নিষিদ্ধ হওয়া উচিত) সংগঠনটি চলছে দাপটে। মানুষের সাথে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নিয়ে হাস্যরস করেও এরা পার পায়। আমার পরিবার জাতীয় পার্টির রাজনীতি সাথে জড়িত ছিল।

তাই রাজনীতির প্রতি আমার আগ্রহ ও আবার বিরূপ ধারনাও ছিল। তবে আমরা ধর্মানুবর্তী ছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হতে এসে একটি রাজনৈতিক মেসে উঠি না জেনে। পরে জানতে পারি এটা ছাত্র শিবিরের গোপন মেস। দলীয় প্রগামে আমাকে ডাকত।

প্রথমে ভয়ে ভয়ে যেতাম। তারপর শিবিরের গোপন সভাপতি আমাকে এটা সেটা গিফট দিত। আমার চেয়ে সে উপরের ক্লাসে পড়ত। বাধ্য হয়ে তাকে সমীহ করে চলতে হতো। আমাকে অনেক বড় বড় প্রলোভন দেখাত।

টিউশনি দিবে। কোচিং সেন্টারে ক্লাস নেয়ার সুযোগ করে দিবে। ছাত্র বয়সে কিছু আয় করার মানসিকতা আমাকে পেয়ে বসল। এভাবেই জড়িয়ে গেলাম ওদের জালের মধ্যে। আমাকে মওদূদরি বই পড়তে দিত।

প্রথমে না বলতাম। প্লিজ! আমাকে এগুলো দিবেন না। এক সময় মওদূদীর নামাজ রোজার হাকিকত বইটা পড়লাম। তারপর আরো আস্তে আস্তে করে মওদূদীবাদের প্রতি জোঁকলাম। এরপর ওরা যা দিত তাই পড়তাম।

এক সময় শুনলাম আমার নাকি সিলেবাস শেষ হয়ে গেছে। আমার আচরন কথা বার্তা সব কিছু নাকি তাদের মত । একদিন আমাকে তাদের এক সভাপতির কাছে নিয়ে যায়। আমাকে বলে বায়াত হতে। বায়তবব্ধ জীবন ছাড়া মারা গেলে নাকি জাহিলিয়াতের মৃত্য হবে।

আমি বললাম, আমি রাজনীতি করব না। আমি তো আপনাদের সব কাজ করি তবে কেন আপনারা আমাকে রাজনীতিতে জরাচ্ছনে। আমি হল থাকি । মিছিল মিটিং করি। এটা কি যথেষ্ট নয়।

এরপর আমাকে নানা ধরনের কাজ দিয়ে ব্যস্ত রাখার চেষ্ট করা হলো। কখনও স্কেচিং, কখনও পোষ্টার লিখন, কখনও শিবিরে লাইব্রেরী পরিচালনা। বিনিময়ে আমি সরকারী হলে ভর্তি হয়ে শিবিরের অনুগ্রহে থাকতে সুযোগ পাই। এক সময় লক্ষ করলাম ওরা সততা ও আর্দশ প্রচার করলও নিজেরা দুর্নীতি ও অনিয়মে আকন্ঠ নিমজ্জিত। কেউ এর বিরোধীতা করলে তাকে লাঞ্চিত হতে হয়।

উপর থেকে নির্দেশ, বিদ্রোহ দমন করতে হবে কঠোর ভাবে। ওদের ভিতরে একবার ডুকে গেলে আর বের হওয়া যাবে না। বের হলে তাকে গোপনে হাত পা ভেঙ্গে দেয়। আমি বুঝলাম, আমার প্রতিভাই আমার জন্য বিপদ। আমার পিছু ওরা ছাড়বে না।

তাই একদিন রাজশাহী ছেড়ে ঢাকা পালালাম। এম বি এ করছি প্রাইভেট ভার্সিটি থেকে। আজোও সেই দিনগুলোর কথা মনে হলে ঘৃনায় গাটা গিন গিন করে উঠে। অফিস থেকে বাসার ফেরা পথে ভাবছি.....দীর্ঘ দিনের বদলা আজ নিব ভোটের মাধ্যম। ঘৃনীত জামায়াত শিবির আর্দশের ফুটো বেলুন নিয়ে উর্ব্ধে যাক মর্তোলোক ওদের জন্য নয়।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।