আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অবশেষে ওনাকে বাস থেকে নামিয়ে দেয়া হলো

বাংলাদেশ ব্লগারস এসোসিয়েশন সদস্য নং: ১০ । facebook.com/milton3d

আমরা কখনও আমাদের নিজেদের দোষ নিজেরা দেখতে পারি না। সবসময় অন্যের দোষ খোঁজার অপেক্ষায় থাকি। দিনের বেশীর ভাগ সময় আমরা অন্যকে নিয়ে কালচার করি। কিন্তু আস্তে আস্তে যে নিজেকে ধ্বংশ করছি বা নিজেরই যে কোন নীতি নেই সেদিকে খেয়াল রাখি না।

গতকাল বাসায় ফিরছিলাম বাসে করে। আমি ছিলাম বাসের মাঝামাঝি। আমার সামনের সিটে মধ্যবয়সী ভদ্রলোক পাশের জনের সাথে অনবরত কথা বলেই চলছিলেন। তো ওনাদের কথা শুরু হলো "আজ নাকি ফালু ছাড়া পাচ্ছে?" এই কথা থেকে শুরু হলো রাজনৈতিক সব নেতানেত্রীদের বিরুদ্ধে দলমত নির্বিশেষে বিষেদাগার। একপর্যায়ে তারা দেখলাম শেখ হাসিনা এবং খালেদা জিয়ার অত্যান্ত ব্যাক্তিগত পারিবারিক ও চারিত্রিক বিষয়েও বিশেদাগার করতেও থামলো না।

দূর্নীতিবাজ নেতারা কিভাবে জনগনের টাকা মেরে নিজের পকেট বোঝাই করে সেটা নিয়ে কথা বললেন এবং খুব ঘৃনা প্রকাশ করলেন এহেন কাজে। যাইহোক এটা তার ব্যাপার। কেউ তাদের কথা শুনছে আবার কেউ ঝিমাচ্ছে। এইমুহুর্তে দেখলাম একলোক বাসে উঠলো। আসলে সে ছিল টিকেট চেকার।

সে প্রথম থেকে শুরু করে টিকেট চেক করা শুরু করলো। খেয়াল করলাম কিছু মানুষ হুড়াহুড়ি করে নেমে গেলো। তার মানে তাদের টিকেটে ভেজাল ছিল। যেন কে কার আগে বাস থেকে নামতে পারে। সেই লোক সবাইকে একে একে ধরে টিকেট চেক করতে করতে আমার সামনে সিটের লোকটার টিকেট হাতে নিয়েই বললো এটা আরো দুই ষ্টপেজ আগের টিকেট আপনি ফাইন দেন ৩০ টাকা।

এবং তাকে অনেক লজ্জা দিলো। লোকটি প্রচন্ড অপমানিত হয়ে আমতা আমতা করতে করতে টাকা বের করে দিলো। এবং শাস্তি সরূপ গাড়ী থামিয়ে তাকে নামিয়ে দেয়া হলো। পুরো বাসের সব যাত্রী থ হয়ে চেয়ে রইল ঐ ভদ্রলোকটির (!) দিকে। যে লোকগুলো বাস থেকে হুড়হুড় করে নেমে গেলো এবং যে লোকটি ধরা পড়লো তারা নিশ্চই মাত্র দুই/এক টাকার জন্য নির্দিষ্ট ষ্টপেজের টিকেট কাটেনি।

মানুষ মাত্র দুই/এক টাকার জন্য এত নীতি বিবর্জিত হয় কিভাবে? আর এধরনের মানুষেরই সবজায়গায় বেশী কথা বলতে শোনা যায় অন্যের অনিয়মের বিরুদ্ধে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।