আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চলচ্চিত্রে কল্পবিজ্ঞান: ইতিহাসের ইট, পাথর ও স্তম্ভ

সকল অন্ধকারের হোক অবসান

চলচ্চিত্রের শুরুর দিক থেকেই কল্পবিজ্ঞান তার সাম্রাজ্য বিস্তারে ক্রিয়াশীল। আধুনিক কম্পিউটার গ্রাফিক্স আর স্পেশাল ইফেক্টের যুগে কল্পবিজ্ঞান ছবি তাই অর্জন করেছে আলাদা প্রতাপ ও আকর্ষণ। এখন একে ধরা হয় আলাদা একটি জনরা বা চলচ্চিত্রের একটি ধরন হিসেবে। সমাজ, রাজনীতি, অর্থনীতি, আবেগ, ভ্রমণ, অভিযান, ভিনগ্রহের জীবন সবই কল্পবিজ্ঞানের বিষয়। যার দৃশ্যকল্প রচিত হয়- হয় ভবিষ্যতের নয় সমান্তরাল বিশ্বের প্রেক্ষিতে।

কল্পবিজ্ঞান ছবির একটি সংজ্ঞা দেয়ার চেষ্টা করেছেন ভিভিয়ান সবচাক। তাঁর ‘স্ক্রিনিং স্পেস: দি আমেরিকান সায়েন্স ফিকশন ফিল্ম’ বইতে তিনি বলেছেন- চলচ্চিত্রের একটি ধরন কল্পবিজ্ঞান ছবি যা বাস্তব, বিশ্লেষণ বা অনুমানমূলক বিজ্ঞান ও অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞানার্জনের কৌশলের ওপর গুরুত্ব দেয়; সামাজিক প্রোপটে কম গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু অ-উপেক্ষণীয়: যাদু ও ধর্মের অলৌকিকতার সাথে পারস্পরিক ক্রিয়া করে- অজানার সাথে মানুষকে পুনর্মিলিত করার জন্য। কল্পবিজ্ঞান ছবি- প্রাকৃত বা যদি একে বলা হয় অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞানার্জনের যে মত সেটি এবং অতিপ্রাকৃত বা তুরীয়বাদের মাঝামাঝি একটি অবিচ্ছিন্ন ‘পদার্থ’। যে পদের অর্থ কল্পনার সাথে বিজ্ঞানকে মিশিয়ে, বাস্তবের সাথে ভবিষ্যতের সামঞ্জস্য রেখে একটি চিত্রকল্পের সেলুলয়েড বন্দীকরণ। উদাহরণ হিসেবে আসতে পারে স্ট্যানলি কুব্রিকের ‘২০০১: আ স্পেস অডিসি’ (১৯৬০) থেকে শুরু করে বর্তমানের ওয়াচোস্কি ভ্রাতৃদ্বয়ের ‘দি মেট্রিক্স’ (১৯৯৯) কিংবা তারো পরে আইজ্যাক আজিমভের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত ‘আই রোবট’ (২০০৪)-সহ বহু ছবির নাম।

শুদ্ধ বিজ্ঞানের সাথে ভবিষ্যৎ কল্পনাকে আশ্রয় করেই নয় তার সাথে যুক্ত হয়েছে আতঙ্ক, দুঃসাহসিক অভিযান ও উদ্ভট ব্যাপারও। যেমন- ‘ফ্র্যাঙ্কেনস্টাইন’ , ‘অ্যালিয়েন’, ‘গডজিলা’ প্রভৃতি চলচ্চিত্র। ‘স্টার ওয়ারস’ ছবিতে আবার কল্পবিজ্ঞানের গড়পরতা উপাদান- যেমন মহাকাশযান, রশ্মি মারণাস্ত্র ইত্যাদির সাথে মেশানো হয়েছে রহস্যময়, যাদু মতাসম্পন্ন এক ‘শক্তি’। এ ধাচের সঙ্কর ছবিগুলোকে তাই অনেক সমালোচক ‘সাই-ফাই হরর’ বা ‘সায়েন্স ফ্যান্টাসি’ নামেও ডেকে থাকেন। সাই-ফাই মুভি যে আঙ্গিকেরই হোক না কেন, তার প্রোপট সবসময়ই হয় চেনা ও পরিচিত কিন্তু তার মধ্য দিয়ে পরিচয় ঘটানো হয় অপরিচিত ও অচেনার।

তাতে এলিয়েন বা ভিনগ্রহের জীব থাকে, থাকে মহাশূন্যে মানুষের মহাযান ভাসানোর গল্প, থাকে ভবিষ্যত বিশ্বের কল্পগাথা, থাকে বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রার নিদর্শন। সময় পরিভ্রমনের চমকও থাকে- যেমন ‘দি টাইম মেশিন’ ছবিতে। সবকিছুই থাকে বাস্তবের সাথে সামঞ্জস্য রেখে তবে গল্পের গরু একেবারে যে গাছে চড়ে না তা নয়। গাছেও চড়ে আবার আকাশে ঘাসও খায়। এই সবই মানুষের অসাধারণ কল্পনাশক্তির মাধ্যমে অপার সম্ভাবনার কথা বলে।

কে জানতো লিওনার্দো দা ভিঞ্চির আঁকা কল্পনাপ্রসুত সব মডেল একদিন যুগের অনুপ্রেরণা হবে। কে-ই বা জানতো ঘরকুনো জুলেভার্নের ডুবোজাহাজ একদিন সত্যিসত্যি মহাসাগরের তলদেশে বীণ করবে ভিন্ন পৃথিবীর জীবন সংগ্রাম। এ প্রসঙ্গে মনে পড়ে যায় ইদানিংকালের একটি সাই-ফাই মুভি ‘ওয়াটার ওয়ার্ল্ড’-এর কথা। যেখানে দেখা যায় পৃথিবীতে আর মাটি জেগে নেই। পানিতে তলিয়ে গেছে শহর নগর সভ্যতা।

মানুষের শরীরে কানের জায়গায় জন্মেছে মাছের মতো ফুলকা আর পায়ের পাতা জোড়া লেগে হয়ে গেছে মাছের লেজের মতো। হতেও তো পারে এমন! যে হারে উত্তর গোলার্ধের বরফ গলছে তাতে প্রায় অর্ধেক পৃথিবীই নাকি তলিয়ে যাবে নোনা পানিতে- আগামী পঞ্চাশ বছরের মধ্যে। এভাবেই সাই-ফাই মুভি অনুমান করে ভবিষ্যতের, আন্দাজ করে নেয় অনাগত সময়ের অগ্রগতি কিংবা অবনতির। চলচ্চিত্রে কল্পবিজ্ঞান ছবির যাত্রা এক দুই মিনিটের স্বল্পদৈর্ঘ নিয়ে। প্রায় সবই হতো শাদাকালো।

১৯০২ সালে জর্জ মেলিয়ের বিখ্যাত ‘লে ভয়েজ দা লা লুনা’ মুক্তি পায়। জুলেভার্ন আর এইচ.জি ওয়েলসের অনুপ্রেরণায় নির্মিত এ ছবিতে চন্দ্রাভিযান দেখানো হয়, দেখানো হয় এলিয়েনদের। ব্যবহার করা হয় বিশেষ কারসাজি বা স্পেশাল এফেক্ট- যা সর্বকালের জন্য উদাহরণ হয়ে থাকে- বিশেষ করে সাই-ফাই মুভিগুলোর জন্য। ১৯১০ সালে মেরি শেলির উপন্যাস ‘ফ্রাঙ্কেনস্টাইন’কে বাছাই করা হয় ছবি বানানোর জন্য। ষোলো মিনিটের এ ছবিতেই প্রথম সাই-ফাই ও হরর ধারাকে মেশানো হয়।

একই ধারার আরেকটি ছবি ‘ডক্টর জেকিল এন্ড মিস্টার হাইড’ নির্মিত হয় ১৯১৩ সালে। ১৯১৬ সালে জুলেভার্নের উপন্যাস থেকে দৈর্ঘ্যে আরেকটু বড় করে বানানো হয় ‘২০,০০০ লিগস আনডার দি সি’। কুড়ির দশকে সাই-ফাই মুভি মূলত দুই ঘরানায় বিভক্ত হয়ে পড়ে- ইউরোপিয় ও মার্কিন। ইউরোপিয় ঘরানার ছবিতে আসে অনুমান আর সামাজিক বক্তব্য। যেমন- ‘মেট্রোপলিস’ (১৯২৬) ও ‘ফ্রাউ ইম মন্ড’ (১৯২৯)- দুটোই জার্মানের ছবি।

ওদিকে, মার্কিন মুলুকে হলিউড বানাতে থাকে এ্যাকশন, মেলোড্রামা ও যন্ত্রপাতি ভিত্তিক সিনেমা। তবে ‘মেট্রোপলিস’-এর প্রভাব পুরোপুরি এড়াতে পারেনি মার্কিনিরা। ১৯৩০ সালে ইউএস স্টুডিও থেকে মুক্তি পায় ‘মেট্রোপলিস’ প্রভাবিত ‘জাস্ট ইমাজিন’। এটিই ছিলো প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য কল্পবিজ্ঞান চলচ্চিত্র। কিন্তু ব্যবসা করতে পারেনি ছবিটি।

ফলে ১৯৫০ সাল পর্যন্ত তৈরী হলো না কোনো পূর্ণদৈর্ঘ্যরে সাই-ফাই মুভি। বৃটেনেও ‘মেট্রোপলিস’-এর প্রভাবে নির্মিত হলো ‘থিংস টু কাম’ (১৯৩৬)। মেট্রোপলিস ছিলো নির্বাক যুগের সবচেয়ে আলোচিত ও ব্যয়বহুল ছবির একটি। জার্মান এ ছবিটি সম্পর্কে এইচ জি ওয়েলসের কথা: এটি একটি নিম্নমানের চলচ্চিত্র। আবার স্যার আর্থার কোনান ডয়েলের মতে ছবিটি সাড়া জাগানোর মতো।

অন্যদিকে, লুই বুনুয়েল মনে করেন ছবিটির গল্প অতি দুর্বল কিন্তু আঙ্গিক অসাধারণ। মেট্রাপলিসের গল্প ২০০০ সালের এক শহরকে কেন্দ্র করে- যেখানে বাস করে দুই শ্রেণীর মানুষ। উপর তলার আর নীচু তলার। ওপরে থাকে বিত্তশালী, ধনবানরা। মাটির নীচে থাকে শ্রমিক ও দাসেরা।

এ ছবির মূল কাহিনী শ্রেণী সংঘাতের। এ ছবির পার্শ্ব কাহিনী ধনী ও গরীবের মধ্যকার প্রেমের, আন্দোলনকারী এক মেয়ের সাথে ধনীর দুলালের প্রেম ও তাদের নেতৃত্বে একটি মিলনান্তক পরিসমাপ্তির। ত্রিশের দশকে মেট্রোপলিস প্রভাবিত ছবি ছাড়াও হরর ধারার ছবি নির্মিত হয়। যেমন- ‘দি ইনভিসিবল ম্যান’ (১৯৩৩)। ত্রিশ দশকের পর পুরো পৃথিবীতেই বাজার দখলের এক অসুস্থ প্রতিযোগিতা প্রকট হয়ে ওঠে।

যার ফল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। চল্লিশের দশকে এই যুদ্ধের প্রচার প্রপাগান্ডার জন্যও তৈরী হয় নানা ছবি। বাদ যায়নি সাই-ফাই মুভিও। যেমন ১৯৪০ সালে মুক্তি পায় প্রপাগান্ডা ছবি- ‘ডক্টর সাইকপস’। বিশ্বযুদ্ধের ডামাডোলে কেটে যায় পুরো দশক।

পঞ্চাশে এসে কল্পবিজ্ঞান ছবি অর্জন করে সত্যিকারের আত্মপরিচয়। এসময় সাহিত্যে ব্যাপকহারে কল্পবিজ্ঞান লেখা শুরু হয়। তার প্রভাব পড়লো চলচ্চিত্রেও। দেদারসে বানানো হলো সাই-ফাই মুভি। যদিও বেশীর ভাগই কম বাজেটের ছবি।

এসময়ের ‘ফ্যাশ গর্ডন’স ট্রিপ টু মার্স’, ‘দি ডে দি আর্থ স্টুড স্টিল’, ‘দি থিং’ ইত্যাদি সাই-ফাই মুভি ছাড়াও যেগুলো দারুণ সাড়া জাগায় তার মধ্যে- ‘ডেস্টিনিশন মুন’, ‘দি টাইম মেশিন’, ‘দি ওয়ার অব দি ওয়ার্ল্ডস’ প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। পঞ্চাশ দশকের এক গাদা কল্পবিজ্ঞান ছবি মুক্তি পেলেও ষাটের দশকে মুক্তি পায় হাতে গোনা কয়েকটি ছবি। তবে এ ছবিগুলোই কল্পবিজ্ঞান ছবির ইতিহাসের মোড় পাল্টে দেয়। যেমন স্ট্যানলি কুবরিক পরিচালিত ‘২০০১: আ স্পেস ওডিসি’। বিখ্যাত চলচ্চিত্রকার স্টিফেন স্পিলবার্গ এ ছবি সম্পর্কে বলেন, ‘দি বিগ ব্যাং অব সায়েন্স ফিকশন’।

স্পেস ওডিসি ঐ সময়কার চলচ্চিত্র নির্মানের ক্ষেত্রে একটি অনুকরণীয় নির্মাণ। এই ছবিতে ভিস্যুয়াল ইফেক্ট দিয়ে মহাকাশ পরিভ্রমণকে করে তোলা হয় বাস্তবসদৃশ। স্পেস ওডিসির মতোই আরো কয়েকটি ছবি এ দশকে দর্শকপ্রিয়তা পায় ব্যাপক হারে। এ ক্ষেত্রে ‘প্ল্যানেট অব দি এপস’, ‘ফারেনহাইট ৪৫১’, ‘ফ্যানটাসটিক ভইয়াজ’ প্রভৃতির ছবির নাম নেয়া যেতে পারে। ফরাসি পরিচালক ফ্রাসোয়া ত্রুফোর ‘ফারেনহাইট ৪৫১’ সামাজিক বক্তব্য নির্ভর, সরকারের স্বৈরাচারী আচরণ বিরোধী একটি ছবি।

এর বাইরে এ দশকের প্রায় সব সাই-ফাই মুভিই মানবজাতির অস্তিত্য সঙ্কট ও আকাশ ভ্রমণ নির্ভর। এই ধারা অব্যাহত থাকে সত্তুরের দশকেও। এ দশকে নির্মিত হয় স্টার ওয়ার্স সিক্যুয়েলের দুটি পর্ব: আ নিউ হোপ এবং কোজ এনকাউন্টারস অব দি থার্ড কিং। ১৯৭২ সালে মুক্তি পায় ধীর গতির ‘সোলারিস’, এর পরিচালক আন্দ্রেই তারকোভস্কি। এ দশকে বেশ কিছু ভালো কমেডি সায়েন্স ফিকশন মুভিও তৈরী হয়।

যেমন- উডি অ্যালেনের ‘স্লিপার’ ও ড্যান ও’ব্যাননের ‘ডার্ক স্টার’। আশির দশকেও স্টার ওয়ার্স-এর সিক্যুয়াল মাতিয়ে রাখে দর্শকদের। তবে এ দশকে সবচেয়ে জনপ্রিয় চরিত্রটি জন্ম নেয় স্টিফেন স্পিলবার্গের হাত দিয়ে: ‘ইটি দি এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল’। আশির দশকেই সায়েন্স ফিকশন মুভির সাথে যুক্ত হয় হরর, ফ্যান্টাসি ও সুপার হিরোর ঘরানা। এসময় এনিমেটেড সায়েন্স ফিকশন মুভিও দর্শকদের নজর কাড়ে।

এনিমেশনে যথেষ্ট পারদর্শিতা দেখায় জাপান। যেমন ১৯৮৮ সালে মুক্তি পাওয়া ‘আকিরা’। এসময় যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমের দেশগুলোতে বেশ কয়েকটি এনিমেটেড সায়েন্স ফিকশন মুভি নির্মাণ করা হলেও সেগুলো ব্যবসায়িকভাবে ছিলো অসফল। নব্বইয়ের দশকে এসে সায়েন্স ফিকশন মুভি অনেকাংশে হয়ে পড়ে কম্পিউটার ও সাইবার জগৎ ভিত্তিক। ‘ম্যান’, ‘জনি নিমনিক’, ‘টোটাল রিকল’ প্রভৃতি কম্পিউটার ভিত্তিক সাই-ফাই মুভি।

তবে এ দশকের শেষের দিকে, ১৯৯৯ সালে মুক্তি পায় পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথম দর্শন সমৃদ্ধ কল্পবিজ্ঞান চলচ্চিত্র: দি ম্যাট্রিক্স। যেখানে দেখানো হয় যন্ত্র নির্মিত ও পরিচালিত এক ভার্চুয়াল জগতে মানুষ বন্দী। সেখানে যুক্ত করা হয় স্রষ্টাকে খোঁজার দর্শন। যুক্ত করা হয় বৌদ্ধ দর্শন। যুক্ত করা হয় ইম্যানুয়েল কান্টের এনলাইটমেন্ট থেকে শুরু করে বহু দার্শনিক ধারণা।

এরপর একবিংশ শতকের প্রথম দশকে মুক্তি পায় মেট্রিক্সের আরো দুটি পর্ব। ওয়াচোস্কি ভাইদের বানানো তিন পর্বের ম্যাট্রিক্স সত্যিকার অর্থেই সাই-ফাই মুভিকে অন্য মর্যাদা এনে দেয়। শূন্যের এ দশকে আরো মুক্তি পায় ‘এআই: আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স’, ‘মাইনোরিটি রিপোর্ট’, এক্স ম্যান, আই রোবট প্রভৃতি ব্যবসাসফল ও দর্শকপ্রিয় ছবি। বিজ্ঞান কোনো প্রশ্নের মীমাংশা করার আগে সাধারণের কাছে তার উত্তর থাকে কল্পনার জগৎ থেকে ধার করা। আবার কল্পনার জগতে সাঁতার কাটতে কাটতেই মানুষ উপস্থিত হয় বাস্তবে- বিজ্ঞান প্রয়োগের মাধ্যমে।

জুলেভার্ন কখনো ডুবোজাহাজ দেখেননি। অথবা জর্জ মেলিয়েরও চাঁদে মানুষের সফল অভিযান পর্যবেণ করেননি। যা তারা করেছিলেন তা স্রেফ কল্পনা। তাই হলফ করে বলা যায় কল্পবিজ্ঞান ধারার উপন্যাস ও চলচ্চিত্র ভবিষ্যত নির্মানের ক্ষেত্রে অনন্য তো বটেই কল্পনা উস্কাতেও দারুণ সক্রিয়। (লেখাটি সম্পাদিত আকারে 'অন্যদিন' পত্রিকার অক্টোবর ২০০৮-এর সংখ্যায় প্রকাশ হয়।

তবে এখানে সম্পূর্ণ লেখাটি দেয়া হলো। )

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৫ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।