আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ছবি ব্লগ ও ভ্রমণ গল্প - সেইন্ট মার্টিন(১)

এখনো সবুজ শৈশবে ভর করে লাখো স্বপ্ন বুনি দিন রাত দাঁড়ান, ব্লগ দেখার আগে মৌসুমি ভৌমিক এর বিখ্যাত “ আমি শুনেছি সেদিন” প্লে করে দেন, তারপর দেখা শুরু করুন! আর কাছে না থাকলে নিচের লিঙ্কে গেলে পাবেন ফ্রি তে। আমাদের প্ল্যান করে কোথাও যাওয়া হয় না। , একদিনের হঠাৎ সিদ্ধান্তে যদি হয় তাই। বরাবরের মতো ভ্রমণ সঙ্গী ছোট বেলা+ছেলেবেলা+তরুন বেলা+...+আজকের দুই বন্ধু। এর আগেও কক্স বাজার তিন চার বার গিয়েছিলাম, কিন্তু সেন্টমার্টিন যাওয়া হয় নি।

মনের ভেতর সেই খচ খচানি দূর করতে এবার গেলাম সাধ মিটাইতে সাধের সেন্টমার্টিন। ঠিক ছিল চার জন যাবো, এর মধ্যে একজনের বয়স একটু কম হওয়ায় ( চরি ইমন দা) ওর আম্মা যেতে দিল না। ওর প্রতি প্রচণ্ড রকমের রাগ , ক্ষোভ ঘৃণা নিয়ে বাসে উঠলাম। কেউ একজন না গেলে কি যে রাগ ধরে যারা এই সমস্যায় পরেছেন তারা ভালো বুঝবেন। কথা ছিল সরাসরি টেকনাফ যাবো, কিন্তু আমার কক্স বাজার না গেলেই নয়।

আরে চিন্তা করেন কক্স বাজারের উপর দিয়ে যাবো কিন্তু কক্সবাজার এক দিন থেকে যাবো না এইরকম বেকুব কয়জন আছে? আবার আমাদের সস্তা কিন্তু সবচাইতে ভালো প্লেস এ ভালো সুবিধার হোটেল এ উঠে গেলাম। আমি মিথ্যা বলছি না আসলেই হোটেল টা অন্য যেকোনো হোটেল এর চাইতে প্লেস এ ভালো। (সুগন্ধা গেস্ট হাউস) বারান্দা থেকে সরাসরি সমুদ্দুর দেখা যায়। মাত্র ৬০০ টাকায় একটা ডাবল রুমে উঠে গেলাম। তখন বেলা ১১ টা ।

সারা রাত বাসে ঘুমাই নি, বিছানা দেখা মাত্রই সবার এই অবস্থা, সারা দিন সাগর পারে হই চই করে বিকেলে খাওয়া দাওয়া করে শেষ বারের মতো দিনের কক্স বাজার টাকে একটু ভালো করে দেখে নেয়া রাতে ভরপুর আড্ডা চাদের আলোয়+গান ট ছিলই। রাত বেড়ে গেলে মাথায় চিন্তা আসে পরের দিনের! খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে সেন্টমার্টিন এর উদ্দেশে হোটেল ছাড়তে হবে। গল্গ করে ঘুমাত ঘুমাতে রাত গভীরে ঘুমাতে গেলাম। সেন্টমার্টিন যাবার পথে অনেক দূর পর পর পরবে নয়নাভিরাম তেপান্তর (নীচে), মুগ্ধ হয়ে মাঠ আর মানুষ দেখছিলাম, দেখতে দেখতেই আমার গ্রামের কথা মনে পড়ে গেল! মোটামুটি একহাজার কিলো দূরে আমার গ্রাম থেকে মনে কেমন জানি শুন্যতা এসে ভর করলো। মায়ের কথা বাড়ির কথা মনে পড়লো খুব।

আমার বাড়ি জেতেও এমন ইন্ডিয়ান পাহাড় তার নীচে গরু ,রাখাল চোখে পড়ে। আমাদের তিন জনের কেউ ই আগে জাহাজে উঠি নি, আমার মধ্যে ভয় একটু বেশি কাজ করে সবসময়। জাহাজে উঠার আগে, জাহাজ টেকনাফ এর নাফ নদী তে কিছুদুর গেলে, এই দৃশ্য দেখে আমি বিস্মিত! আমাদের বাংলাদেশ এ আমার দেশ এ এমন জায়গা আছে? আমি ভাষা হীন! ইসস এই জায়গায় আমার বাড়ি হলে ! কিছুদুর যাওয়ার পর জাহাজের পিছনে সীগালের মিছিল, নীল পানি ঘোলা পানি এসেই গেলাম স্বপ্ন দ্বিপে !! নিচের দেখুন ফটোঃ নিচের তিনটা ফটো ভোরের কিছুক্ষণ পরে তোলা। বীচে আস্তে আস্তে হাটছিলাম আর হেডফনে গান। এই সময়টা বীচে হাটার মজাই আলাদা,ভীর কম।

অস্বাভাবিক স্নিগ্ধতা আর নিরবতায় চাইলেই হারিয়ে যাওয়া যায় , মুড যেমন ই থাকুক। ডাব গুলো আমার বাড়ির ডাবের চাইতেও মিষ্টি। একটা একজন খাইতে কষ্ট হয় যা যা দুঃখ নীল সাগরে ভেসে যা মানুষ বুঝি এভাবেই সাগর পারে এসে দুঃখ ভাসায় ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১১ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।