আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পথের ধূলো এবং জোৎসনার আলো

[অন্যর দোষ না খুঁজে আগে যদি সবাই নজের দোষটা খুঁজত তাহলে বোধহয় সব সমস্যার সমাধান হয়ে যেত]............... [পথের শেষ নেই, আমার শেষ আছে, তাইত দ্বন্দ্ব] http://mamunma.blogspot.com/

গায়ে পথের ধূলো মাখা যেতে পারে তাই বলে জ্যোৎস্নার আলো! কিন্তু কত লোকেই তো মাখে ভরা পূর্ণিমায় আমিও চেষ্টা করে দেখেছি অসম্ভব মনে হয়নি , তবে বোধদয় হয়েছে ওকাজ সম্ভব তখন যখন থাকে সেই অনুঘোটক, যে অনুঘোটক এর নাম ‘প্রিয় মানসীর উপস্থিতি’। যা হোক জ্যোৎস্নার আলো আর গায়ে মেখে দেখা হলোনা ধূলো গুলো আজকাল তাই বড্ড উপহাস করে নামতেই চায়না , জড়িয়ে থাকে , কি যেন সুখ তাদের আমারই জোৎস্নার ছোয়া লীন দেহে জড়ায়ে; আর নামবেই কখন , অনবরত এ আমার পদচারণা ধূলোর রাজ্যে গহীনে গহনে মন থেকে দূরে দূরে... ধূলো গুলোই আজকাল একাকীত্বের মৃত্যু ঘটায় আর গিলে খায় ছুটে আসে যতগুলো জোৎসনার আলো কাছে। সেদিন চোখদুটো বন্ধ ছিল, মানে কল্পনায় আর কি চাঁদের গায়ে হাত দিয়েছিলাম, ঠিক তখন দেখেছিলাম সেই হাসি আমার সেই প্রিয় মানসীর সেই প্রিয় অধরে, চাঁদ যেন সবটুকু জ্যোৎসনা ঢেলে দিলো আমাদের তরে আমি দুহাতে আজলা ভরে সে আলো মেখেছি আর মাখিয়েছি সেই প্রিয় মানসির হাতে মুখে বুকে আর তখনই ঝড়ো হাওয়া বইলো, চোখ খুলে গেলো ধূলোর এক পশলা বাতাস এসে ধূলোয় জড়ালো গা। ধূলো কে কি তোমরা আমার শত্রু ভাবছ?- ভুল । ধূলোই আমাকে শুনিয়ে যায় সেই প্রিয়ার খবর দূর থেকে দূরে উড়ে উড়ে বারেবারে এবং ফিরে ; জ্যোৎস্না বড় অহংকারী , রাজর্ষী ভাব তার দীপ্তী যে বড়, একাকী আমার কাছে আসেই না , আর দেখ ধূলো গুলো নির্দ্বিধায় আসছে, থাকছে, জড়াচ্ছে গায়, হাসছে হাসাচ্ছে; তবুও সত্যি জ্যোৎস্নার অভাব প্রিয় মানসির জন্য কাঁদায়.. সে কান্নার জলে পথের ধূলো গুলো চিকচিক করে ওঠে, আর সে উজ্জ্বলতায় চমকে ওঠে জোৎসনারও আলো। ৬/১১/০৮

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।