আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিষয় যখন আতঙ্ক

ভবের মেলায় ভবঘুরে আমি এক পথিক..........

কিছু লোক আছে বিশেষ পরিস্থিতির সম্মুখীন হলে ভয় পায় । এদের কেউ কেউ ভয় পায় লোকজনের ভীড় অথবা বদ্ধ জায়গা, আবার কেউ বা ভয় পায় পানি কিংবা অন্ধকারের জায়গা দেখে। অনেকে আবার সামান্য প্রাণী দেখলেই আতংকিত হয়ে পড়ে। যেমনঃ বিড়াল, কুকুর , সাপ, মাকড়সা, তেলাপোকা, টিকটিকি ইত্যাদি দেখে অনেক লোককে আতঙ্কিত হতে ও অস্বাভাবিক আচরণ করতে দেখা যায় । মানুষের এই অস্বাভাবিকতাকে ডাক্তারেরা নাম দিয়েছেন ফোবিয়া বা আতঙ্ক ।

মানুষের মধ্যে বিভিন্ন ধরণের ফোবিয়ার উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায় । এসবের মধ্যে উচুঁ বিল্ডিং অথবা পর্বত শিখরের উচ্চতা জনিত ভয়কে বলে “এক্রোফোবিয়া” অন্যদিকে উম্মুক্ত বিস্তৃত জায়গা দেখে আতঙ্কগ্রস্থ হওয়াকে বলে এগোরাফোবিয়া পানি দেখে ভয় পাওয়াকে বেল হাইড্রোফোবিয়া অনুরূপভাবে ধূলোবালি অন্ধকার ও জীবজন্তু দেখে ভয় পাওয়াকে বলে যথাক্রমে মাইসোফোবিয়া নিকটোফোবিয়া যারা লোকজনের ভীড় ও আগন্তুক দেখে ভীত হয়ে পড়ে তারা যথাক্রমে অকলোফোবিয়া এবং জেনোফিবিয়া রোগে ভুগছে বলা হয় । এখন আসল কথা হল- কেন মানুষ এমন করে আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে পড়ে ? তবে কি তাদের কোন ত্র“টি আছে নাকি তারা কোন পীড়ায় আক্রান্ত ? আসলে ঐসব লোকেরা কিছু কিছু আবেগসংক্রান্ত বিশৃঙ্খলার শিকার, অতীতে ঘটে যাওয়া কোন ঘটনা এখনও তাদের উপর প্রচন্ড প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে যা আতঙ্ক অর্থাৎ ফোবিয়া দেখা দেয় । সিগমুন্ড ফ্রয়েড এই আতঙ্কের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলেছেন, বাল্যকালে কোন কিছু থেকে ভয় পেলে, কান্না দিয়ে যদি তার প্রতিস্থাপন ঘটে তাহলে পরবর্তী সময়ে তাই আতঙ্কে রুপ নেয় যদিও মানুষের তখন ছোটবেলার সেই আসল ভয়ের কারণটি বিস্মৃত হয়ে যেতে পারে। প্রত্যেক মানুষেরই কমবেশি ফোবিয়া থাকতে পারে।

তবে অত্যধিক ফোবিয়া থাকা কোন অর্থেই ভাল লক্ষণ নয় । অত্যধিক ফোবিয়ার কারণে অনেকসময় সুস্থু মানুষও বিকারগ্রস্থ মানুষে পরিণত হতে পারে ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।