আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্যান বসাতে ১২২ শ্রমিক, কিস্তু জানেন কি ১২২ জনের মোট মজুরী কত হয়( মাত্র ১২,২০০টাকা)

[অন্যর দোষ না খুঁজে আগে যদি সবাই নজের দোষটা খুঁজত তাহলে বোধহয় সব সমস্যার সমাধান হয়ে যেত]............... [পথের শেষ নেই, আমার শেষ আছে, তাইত দ্বন্দ্ব] http://mamunma.blogspot.com/

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ কোস্পানী মানে সাবকে বিটিটিবির খুলনা অঞ্চলের একটি কার্যালয়ে বাথরুমে প্যান বসাতে ১২২জন শ্রমিক কাজ করেছে যা ধরা পড়েছে দুদক এর অনুসন্ধানে----এরম একটা খবর বেশ তোলপাড় তুলেছে পত্রিকায়। মানুষের মাঝে আশ্চর্যবোধ ই কেবল জাগায় নি খবরটি এটি নিয়ে গত ২৭ তারিখের প্রথমআলোর রসআলো রম্য ম্যাগাজিনেও একটি ব্যঙ্গাত্মক টাটকা রস নামক কার্টুনও ছাপা হয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে কোন সাফাই দেয়ার মানসিকতা নিয়ে এই লেখা নয় আমার। অন্যায় অন্যায়ই , তা সে যে রূপেই আর যেভাবেই হোক। কিন্তু আমার অবাক লাগে এইরম একটা বিষয়কে মহা কিছু ভাবার অবকাশ টা নিয়ে।

রাগ করার কিছু নাই পাঠক ভাই। আমাদের সরকারী নীতি এবং ব্যবস্থা এবং আইন ও কর্মপদ্ধতি (সিস্টেম) এমনই কিছূ ঘোরটোপে আটকা যে অনেক কিছূই বাহির থেকে অন্যরকম মনে হতে পারে সাধারণ মানুষের কাছে। একটু সহজ করে বলি--- যারা ভাবছেন ১২২ জন শ্রমিক মানে না জানি কত টাকার মামলা। তারা অবাক হবেন , পাবলিক ওয়ার্কস ডিপারটমেন্টের রেট অনুযায়ী একজন শ্রমিকের মজুরী মাত্র ১০০ টাকা , ( বর্তমানে সেটা ১৫০ টাকা হয়েছে) ( এই মূল্যে কোথাও আপনি কোন ডেইলি লেবার পাবেন না) তো ১২২ এর মোট মজুরী তাহলে ১২,২০০/= টাকা। এখন আসুন সরকারী যেকোন কাজ তা যতই ছোট হোক না কেন, চাইলেই করা যায়না।

তার জন্য সারটেন প্রসিডিউর পালন করতে হয়। সে ক্ষেত্রে শ্রমিক দেখিয়ে অন্য খরচ উঠিয়ে অনেকে অন্যায় ভাবে কাজটি করে থাকতে পারেন। যেটা হতে পারে ঐ প্যান কেনার ক্ষেত্রে ঘটেছে। কোটি কোটি টাকা নিয়ে এ দেশে কি হয় সেটা তো নিশ্চয় বুদ্ধিমানদের বলে দিতে হয়না। ১২২০০ টাকা, যার আবার দেখা যাবে প্যান আর আনুষাঙ্গিক ক্রয়েই হয়তো অধিকাংশ ব্যায় হয়েছে।

। এমন হতে শুনেছি। এ ক্ষেত্রে তেমন নাও হতে পারে ( জানা নাই) , তবে একটা প‌্যান কিনতে কোটেশন করা টেন্ডার করা বাস্তবিকতার পরিপ্রেক্ষিতে সম্ভব নয়, আবার এমনেও কিন্তু আইন দেকানের ভাউচার দিয়ে সেটা কিনতে দেবেনা। অডিট আপত্তি তুলবে । তখন ঐ ভাবে লেবার দেখিয়েই হয়তো প‌্যান বসানোর জরুরী প্রয়োজন মেটানো হয়েছে।

তাই খালি হাসলেই হবেনা, সিস্টেমএর ফাঁক আর দুর্বলতাগুলোও অনুধাবন করতে হবে। না হলে কোন উন্নয়ন প্রকল্পই দেশে উন্নতি আনয়ন করতে পারবেনা। কারন সর্ষের মধ্যেই ভূত। সাংবাদিক ভাইদের বলব, হাইলাইট করুন রিয়েল দূর্ণিতীগুলো ..এরম গুলো নয়।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।