আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এই সরকারের আমলে কোনো রাজাকারের ফাঁসি হবে না------ সবই রাজনীতি, আমি আগেই বলেছিলাম, আর আজকে প্রমাণ পেলাম হাতে নাতে

টিভি দেখাটা কমাতে হবে। বিদ্যুত সাশ্রয় হবে। বাচ্চু রাজাকারের যখন ফাঁসির রায় হলো, তখন আমি ফাঁসি কার্যকর করা নিয়ে একটু সন্দেহ প্রকাশ করেছিলাম। তখন কেউ কেউ আমাকে পাগলের প্রলাপ বকছি বলে সতর্ক করেছিলেন। মাত্র ১৫দিন আগে বাচ্চু রাজাকার নিয়ে যা লিখেছিলাম , সেটা আর একবার মনে করিয়ে দিচ্ছি।

আওয়ামীলীগের এই আমলে কোন রাজাকারের ফাঁসি হবে না/ কার্যকর করবে না বাচ্চু রাজাকার তো পাকিস্তানে পালিয়ে আছে। কিন্তু পাকিস্তান সরকার সেটা অফিসিয়ালী স্বীকার করবে না। বাচ্চু রাজাকারের টার্গেট কানাডাতে পালিয়ে যাওয়া (শাহরিয়ার কবিরের ভাষ্যমতে)। কোনমতে কানাডা পালাতে পারলে রাজনৈতিক আশ্রয় পাবে সে। কানাডা আবার এই দিক দিয়ে মারাত্মক উদার, ঠিক সেই কারণেই বঙ্গবন্ধুর এক খুনি কানাডাতে আত্মগোপন করে আছে।

দিপুমনি গত ৪ বছর ধরে চেষ্টা করেও তাকে ফেরৎ আনতে পারে নাই। সরকার শুধু রায় ঘোষণা হয়েছে, এই আত্মতুষ্টিটে ভুগবে বলে মনে হচ্ছে। যতক্ষণ পর্যন্ত বাচ্চু রাজাকারকে দেশে ফেরত আনা যাচ্ছে না, ততক্ষণ পর্যন্ত মিষ্টি বিলানোর কোনো যৌক্তিকতা দেখছি না। অন্য যুদ্ধাপরাধীদেরও মামলার রায় আস্তে আস্তে ঘোষণা করা হবে হয়ত, রায়ের পরে ১মাস সুযোগ থাকে আপীল করার জন্য। অবস্হাদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে, বাচ্চু রাজাকারের মতো ভবিষ্যতে আর কোনো রাজাকারের ফাঁসির রায় হলে সেগুলোও আপীল করা, সময় ক্ষেপন করা এই সবের কারণে ২০১৩ সালের মাঝে রায় কার্যকর করা নাও যেতে পারে।

২০১৩ সাল এই সরকারের শেষ বছর। সরকার চাইবে অন্তত দ্রুত রায় ঘোষণা করা হোক, এবং এই রায়ের বাস্তবায়ন করার মূলা দেখিয়ে আগামীবার আবার ক্ষমতায় আসতে চাইবে আওয়ামীলীগ, এটাই স্বাভাবিক। এই মূলা দেখানোর জন্য হয়ত সরকারের দিক থেকেও সময়ক্ষেপন হতে পারে,যেটা আপাত দৃষ্টিতে সাধারণ জনগন বুঝতে পারবে না। নির্বাচনের আগে কাউকে ফাঁসি দিলে জামায়াত শিবির দেশকে অস্হিতিশীল করে তুলতে পারে, নির্বাচনের ঠিক আগ মূহুর্তে সরকার সেই রকম কোনো ঝুকি নিবে বলে মনে হয় না। কিন্তু বিপদ হলো, আগামী নির্বাচন নিয়ে, এটা কিভাবে হবে, সেটা নিয়ে আওয়ামীলীগ নিশ্চিন্ত থাকলেও আমজনতা কিন্তু শংকিত।

এই বছরের শেষে আবার যে কোনো একটা গন্ডগোল, হাঙ্গামা বাঁধবে বলে কমবেশি সবাই ধারণা করছে। কারণ তত্ত্বাবোধয়ক ইস্যুতে আওয়ামীলীগ এবং বিএনপি ১৮০ ডিগ্রীতে বসে আছে। তাই সরকারের উচিত, যেভাবেই হোক, বিএনপিকে নির্বাচনমুখী করা। বিএনপি অংশগ্রহণ না করলে নির্বাচন যে প্রশ্নবিদ্ধ হবে, সেটা আওয়ামীলীগ ভালোভাবেই জানে। আমার মনে হয়, এই ইস্যুতে আওয়ামীলীগ ভুল পথে হাটছে।

আরো বড় বিপদ হলো, যদি বিএনপি জামাত জোট টিকে থাকে, এবং যদি কোনভাবে বিএনপি পরেরবার ক্ষমতায় যেতে পারে, তবে সব রাজাকার মুক্তি পাবে, অন্তত নিদেনপক্ষে রাষ্ট্রপতির ক্ষমা তো থাকছেই, তাই না? (বিপ্লব উদাহরণ মাত্র) ------------------------------------------------------------------------ যুদ্ধাপরাধের বিচার থেকেও কিভাবে কোন কৌশলে আগামীবার ক্ষমতায় যাওয়া যাবে, সেটা নিয়ে আওয়ামীলীগ বেশি চিন্তিত। হয়ত দেখা যাবে, আওয়ামীলীগের আগামীবার ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য; জামায়াতের সাথে আওয়ামীলীগের কোনো গোপন সমঝোতা হিসাবে মৃত্যুদন্ড থেকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড হলো কাদের মোল্লার। উদ্দেশ্য মূল প্রতিপক্ষ বিএনপি থেকে জামায়াতকে আলাদা করা। বর্তমান রাজনীতি নিয়ে এটা আমার ব্যক্তিগত বিশ্লেষণ, এই ব্যাপারে যে কোনো ধরণের গঠনমূলক আলোচনাকে স্বাগতম জানাবো ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।