আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শিল্পচর্চা ও গাঁজা



ভাবলাম সন্ধ্যার পর একটু চারুকলা ইনস্টিটিউটের ক্যাম্পাস থেকে ঘুরে আসি। ওখানে গিয়ে আর্ট এক্সিবিশন দেখে ইনস্টিটিউটের উল্টোদিকে ছবির হাটের বটতলায় গিয়ে দেখলাম অনেক লোকজন আলো আধারির মাঝে জমিয়ে আড্ডা মারছে। আমরা দু'বন্ধুও একপাশে গিয়ে চা হাতে নিয়ে আড্ডা মারতে বসে গেলাম। চায়ে চুমুক দিতে দিতে দেখলাম নাটকের আর্টিস্টরাও অনেকেই এখানে আছে। খানিক্ষণ পরে ভাবলাম রাতের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানটা একটু ঘুরে দেখি।

ভালই লাগছিল পুরো পরিবেশটা। কেউ গোল হয়ে বসে রাজনীতি নিয়ে খিস্তি খেউর করছে, কেউ সংস্কৃতির প্রাচীন ইতিহাস নিয়ে জ্ঞান জাহির করছে, কেউ কেউ আবার গিটারে নতুন কোন সুর তোলার চেস্টা করছে, কিছু বাথরুম সিঙ্গার টাইপের লোকজন গোল হয়ে বসে সমস্বরে গান করছে। সবমিলিয়ে এক অসাধারন পরিবেশ। কিন্তু ফাঁকে ফাঁকে কিছু লোকজন কেউ সিগারেটের সাখে গাঁজা মেলাচ্ছেন, কেউ ধোঁয়ায় চারদিক একাকার করে গাঁজা টানছেন, কেউ কেউ আবার গাজার ফিলিংস বর্ননা করছেন। গেট আপ দেখে সহজেই অনুমেয় যে, এরা অন্য কেউ নয় এখানকারই ছাত্র কিংবা তাদের বন্ধু-বান্ধব অথবা শিল্পচর্চার সাথে সম্পৃক্ত।

আমার বন্ধু বলল, "গাঁজা না টানলে নাকি শৈল্পিক বুদ্ধি মাথায় আসেনা; গাঁজায় মত্ত না হলে নাকি সংস্কৃতির ধারা মেলেনা। " সত্যি সত্যি এই যদি হয় শিল্পচর্চা, তাহলে শিল্প আর শিল্পির ভবিশ্যত কী তা আমার জানা নেই। সর্বপরি আমি শুধু আমাদের চারুকলার ছাত্র বন্ধুদের কাছে আশা করবো তারা তাদের ছবির হাটের পরিবেশ ও ভাবমূর্তি রক্ষার দায়িত্বটা বহন করবেন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।