আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘পথের পাঁচালী’



আলম শাইন আমার একটি অতি প্রিয় বই ‘পথের পাঁচালী’। বইটি পড়েছি অসংখ্যবার। বইটি পড়ে কখনো আমার হাসি পায়নি। বরং ক®দ্ব পেয়েছি, প্রচ- ক®দ্ব। বইয়ের প্রতিটি অধ্যায়ের সঙ্গে নিজের দারিদ্র্যপীড়িত আবহমান গ্রামবাংলার চিত্র আর শৈশবস্ট§ৃতি টেনে এনেছি।

আমার বিশ^াস এই বইটি প্রতিটি পাঠককে একটু হলেও নাড়া দিয়েছে, টেনে এনেছে শৈশব-কৈশোরকে। ‘পথের পাঁচালী’ বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালজয়ী উপন্যাস। এটি যে বহুবার পড়েছি তা-ই নয়, সুযোগ পেলে এখনো হাতে নিই। একসময় পদক্ষেপ নিয়েছিলাম উপন্যাসটি মুখস্ট’ করব। সে অনুযায়ী বেশ কিছু পাতা মুখস্ট’ও করেছিলাম।

পরে ওই ভূতটা মাথা থেকে সটকে পড়েছে। এতে অবশ্য হাঁফ ছেড়ে বাঁচিনি। বই রেখে সত্যজিৎ রায় পরিচালিত ‘পথের পাঁচালী’ ছবিটাও দেখলাম বেশ ক’বার। তবে বইয়ের মতো অত মজা, অত ক®দ্ব ছবি দেখে পাইনি। ‘পথের পাঁচালী’ পড়ার সময় আমি সবসময় নিশ্চিন্দিপুর গ্রামে অবস্ট’ান করি।

আমি থাকি অপু-দুর্গার ছায়ার আড়ালে। দুঃখদারিদ্র্যে জর্জরিত অপু-দুর্গার মা সর্বজয়াকে নিজের মায়ের মতো মনে হয়। মনে হয় সর্বজয়ার হাতের ভাতের লোকমাটা অপুর মুখে নয়, আমার মুখে পড়ছে। সংসারের কর্তাব্যক্তি বাউ-ুলে প্রকৃতির ব্রাহ্মণ হরিহরের পরাজিত জীবনটাও আমাকে মর্মাহত করেছে। অপু-দুর্গার প্রতি তার দায়িÍ^ পালনের ব্যর্থতায় ভীষণ ক®দ্ব পেয়েছি।

যার ফলে চিকিৎসার অভাবে দুর্গাকে অকালে পরপারে পাড়ি দিতে হয়েছে। এই মৃত্যুটাকে সহজভাবে নিতে পারিনি। বুকের পাঁজর ভেঙে গেছে ক®েদ্ব। চোখের জল টপটপ করে পড়েছে। দুর্গার মৃত্যুর সংবাদটা যখন পড়েছি তখন চোখের সামনে ভেসে উঠেছে উষ্ফ‹খুষ্ফ‹ চেহারার একটি কিশোরীর ছবি।

যার সাধ-আহদ্মাদ কখনো পহৃরণ হয়নি। দুর্গার অসহায় চিত্র যখন আমার চোখের সামনে উপস্টি’ত হয়, তখনই সর্বজয়ার ওপর সাংঘাতিক ক্ষোভ হয়। সর্বজয়া সšøানের ওপর সাংঘাতিক অবিচার করেছেন। কথায় কথায় মারধর আমি সহ্য করতে পারিনি এবং সহ্য করতে পারিনি অপুদের দেশাšøরী হওয়া। যখন ওদের গরুগাড়ি নিশ্চিন্দিপুর গ্রাম ত্যাগ করে, সে সময় গ্রামের দিকে অপুর করুণ দৃ®িদ্বতে তাকিয়ে থাকায় আমি ভীষণ মর্মাহত হয়েছি।

মনে হচ্ছে অপু নয়, আমি দেশাšøরী হচ্ছি। তার হƒদয়ের শেষ আকুল প্রার্থনাটাও ছিল মর্মাšিøক, যা পাঠকদের বিচলিত করেছে। সে মনে মনে বলেছে, ‘আমাদের যেন নিশ্চিন্দিপুর ফেরা হয়। ভগবান, তুমি এই কোরো ঠিক যেন নিশ্চিন্দিপুর যাওয়া হয়। নইলে বাঁচবো না, পায়ে পড়ি তোমার।

’ আমার প্রিয় উপন্যাস ‘পথের পাঁচালী’তে এ ধরনের অসংখ্য হƒদয়ছেঁড়া সংলাপ রয়েছে, যা পড়লে এখনো আমি মুষড়ে পড়ি। নৈসর্গিক জীবšø চিত্র আর জীবনঘনিষ্ঠ উপন্যাসটি যতবার পড়ি ততবারই নতুন কিছু আবিষ্ফ‹ার করি। এবং প্রিয় থেকে অতি প্রিয়তায় স্ট’ান দিয়ে রাখি। যেখান থেকে নামানো হয়তো কখনো সল্ফ¢ব হবে না। হ মুন্সীগঞ্জ


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।