আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সাময়িক পোষ্ট-

অতি দক্ষ মিথ্যুক না হলে সত্যবাদিতা উৎকৃষ্ট পন্থা

আব্দুর নুর তুষার সাহেব একটি লিখা দিয়েছেন, টিভি সেলিব্রিটি মানুষটি নির্ঝঞ্ঝাট থাকতে ভালোবাসেন, তার মন্তব্যের ঘরে সবাই সমাদৃত নয়, তিনি ভেবে চিন্তে- মন্তব্য পড়েন, পড়ে প্রকাশযোগ্য মনে হলে তা প্রকাশিত করেন, এইসব সুশীল কাজ কারবার করে ব্লগের জামাতীরা। অন্তত সুশীলতায় জামাতী এবং তুষারের মানসিক অবস্থান একই। আমি অশীল মানুষ, তার উপরে ঘুমের সামান্য আগে মন্তব্য করে ঘুমাতে যাবো ভেবেছিলাম। সুতরাং নিজেই নিজের ঘরে মন্তব্য জমিয়ে রাখলাম। আমার ব্লগে অবশ্য তুষার সমাদৃত, অশীল মানুষ আমি কাউকে ব্লক লিস্টে রাখি না, কারো মন্তব্যই আমি অপ্রকাশিত রাখি না, মডারেশনমুক্ত পাতায় তিনি মূল্যবান মন্তব্য করে যেতে পারেন।

রিকশাওয়ালাদের ক্লোজ আপ ওয়ানে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে বাধা তো আছেই সামান্য। বিষয়টা মিডিয়ায় আসবার আগে এটা সাধারণ একটা অনুষ্ঠানই ছিলো। উদ্যোগটা যারা নিয়েছিলো তারা চমৎকার একটা উদ্যোগ নিয়েছিলো। এটিএন বাংলার পৃষ্টপোষকতা পেয়ে এটা হয়তো সমস্ত বাংলাদেশের স্যাটেলাইট চ্যানেল দর্শকদের কাছাকাছি পৌঁছাতে পেরেছে। আপনার আপত্তি ঠিক কোন খানে বুঝলাম না।

মূলত আপনার আপত্তির জায়গাটা কোথায়? রিকশাওয়ালাদের চিহ্নিত করা হলো পেশাজীবি হিসেবে এটাতে না কি রিকশাওয়ালা শ্রেণীর মানুষদের নিয়ে একটা আলাদা গানের অনুষ্ঠান হলো সেটাতে? ক্লোজ আপ ওয়ানের মানুষগুলোও আমাদের মতোই সুবিধাভোগী শ্রেণীর প্রতিভূ, এই হাহাকার, এই মানবিকতার ছ্যাবলামি করেই নিজের বিবেক পরিস্কার রাখে, সার্ফে কেচে রোদ্দুরে শুকিয়ে পরের দিন অমানবিকতার মুখোশটা চেহারায় লাগিয়ে রিকশাওয়ালার গালে ঠাপ্পর কষায়। টিভিতে মুখ দেখিয়েছে বলে রিকশাওয়ালা তার পেশায় ফেরত যেতে পারবে না? আপত্তি কি এখানে? না কি আপত্তি বিচারকের সাথে সামাজিক সম্পর্ক স্থাপিত হওয়ার পরে ঈদের দিনে বিচারক সেই রিকশায় চড়েছেন সেটাতে? আপনার নাকিকান্না শুনে এমনটাই মনে হলো আদতে। রিকশাওয়ালার কাজ রিকশাওয়ালা করছে। তার তো তেমন সামাজিক উত্তোরণ ঘটে নি। টিভি নাটকেও অভিনয় করে কিছু রিকশাওয়ালা।

তাদের রিকশায় উঠে নাটকে অভিনয় করাটাকে এরপরে আপত্তিকর মনে হবে। আপনাকেও টিভিতে দেখায় সেলিব্রিটি হিসেবে, এরপরে রিকশাওয়ালাও সেলিব্রিটি হলো। সেলিব্রটিজমের অহংএ ফোস্কা পড়লো নাকি ভাইটু? যাই হোক আমি যা বলছিলাম, সেই বিচারক হয়তো নিজস্ব জীবনে অনেক রিকশায় উঠেছে ভবিষ্যতেও অনেক রিকশায় উঠবে। রিকশাওয়ালার গানের প্রতিযোগিতায় বিচারক হয়েছিলো বলে তার রিকশা চড়ার উপরে বিধিনিষেধ আরোপিত হওয়াটা নেহায়েত অযৌক্তিক হয়ে যাবে। তবে একটাই অনুরোধ থাকবে বেচারা যেনো এই সম্পৃক্ততার জন্য রিকশা ভাড়া কম না দেয়।

আর আপত্তিকর সুশীলতার জায়গাটা যদি হয় ঈদের দিনে রিকশা চালানো তাহলে আপনেরে উব্দা করে পাছায় থাপড়ানো দরকার, আপনের বিশাল গাড়ীটি রাস্তায় চলে, সেটার ঘোলা কাচ , বিষয়টা সত্য- তবে সেই ঘোলা কাছের সামনে দিয়েও দেখা যায় অনেক রিকশাই ঢাকা শহরের রাস্তায় ঈদের দিন চলেছে। পণ্যায়নের বিষয়টাতে আপনার আপত্তিকে গ্রহনযোগ্য বিবেচনা করা যায়। অন্তত রিকশাওয়ালা সজ্ঞানে এবং নিজস্ব সম্মতিতে যদি টিভির সামনে এই নাটকে অংশগ্রহন করতে রাজি হয় এবং তাতে যদি তার নিজস্ব সম্মান ক্ষুন্ন না হয়, ভাইটি আপনার সম্মানে আঁচড় লাগে কেনো?

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।