আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তারপর খেতে খেতে পাগলটা বাপের ব্যাটার মত হাঁটতে শুরু করল...

সুন্দর সমর

পাগলে কিনা কয় ছাগলে কিনা খায় কথাটা শোনেন নি এমন লোক বাংলাদেশে আছে এ কথা কোনো পাগলেও বিশ্বাস করবে না। তবে ছাগল পেলেছেন এমন এক ব্যক্তিকে বলতে শুনেছি, 'কিনা খায়' কথাটা শ্রেফ অনুপ্রাসের কারণে ব্যবহার করা হয়েছে কারণ ছাগল কখনো ভেজা ঘাস খায় না। বরং 'কিনা খায়' বলতে গেলে যে প্রাণীর নাম নিতে হবে তা হলো ভেড়া। রাজনীতিতে আনন্দ লাভ করেন এমন এক বোদ্ধা ভ্রাতা অহরহ বলেন, ' হতাভাগা কোনো পাগল নয় একটি বিশেষ দল অহরহই কিনা না কি 'কয়ে' চলেছে। 'এ দল ট্রাম্প কার্ডের বাহারি বুলি দিয়েছে, তারও আগে একদল গঠন করে 'গণতন্ত্রের' পথ সুগম করেছে।

বিশ্বে এলো নতুনবাদ বলে আজব শ্লোগান শুনিয়েছে। ওই 'বাদ'কে নিয়ে বাংলা একাডেমী থেকে বিশাল কেতাবও প্রকাশ করেছিলো। এখন ওই 'বাদের' জন্য আর কোনো শ্নোগান দেয় না। এরাই এককালে ' অমুকহত্যার পরিণাম, বাংলা হবে ভিয়েতনাম' বললেও ক্ষমতায় যাওয়ার ওয়াশিংটনের সাথে দহরম মহরম করেছে। সাম্প্রতিকালে তারা কেয়ার টেকার নামীয় 'চেয়ার টেকার' সরকারকে বৈধতা দেয়ার আগাম ঘোষণা দিয়েছেন।

এখন মাঝে মাঝে উল্টোসুর বাজান। ' তার কথা শুনে অনেকেই মাথা নাড়েন আর বলেন, তোমার কথা সত্য হলেও হতেও পারে না হলে তুমিই বা এমন কথা বলবে কেন ভাইডি! কথা হচ্ছিলো পাগল নিয়ে মধ্যখানে রাজনীতির শিবের গীত ঢুকে পড়ে সব বরবাদ করে দিল। ভারতের এনডিটিভি ওয়েব সাইটে আজ এক খবর দেখলাম ভারতে ৩০ লাখের বেশি মানসিক রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা দরকার বলে দেশটির মানবাধিকার কমিশন জানিয়েছে। আমাগো দেশে মানসিক রোগীর সংখ্যা কতো তা নিয়ে সমীক্ষা হলে সংখ্যা এর চেয়ে বেশি ছাড়া কম হবে বলে মনে করিনা। মানসিক রোগীদেরকে আমরা সহজ ভাষায়, তু্চ্ছার্থে পাগল বলি।

তারা যে রোগী তাও আমরা মানসিক সুস্থের দল মানি না। চিকিৎসার ব্যবস্থাও করি না। আমি যে শহরে বড় হয়েছি সেখানে কয়েকজন পাগল ছিলো। কেউ স্টেশন, কেউ লঞ্চ টার্মিনাল কেউবা বাজারে ঘোরাফেরা করত। এক পাগল অন্য পাগলের এলাকায় কখনো ঢুকেছে বলে দেখিনি।

একদিন সকালে দেখি বাজারের কাছে মহা হইচই হচ্ছে। ছুটে গেলাম। শুনলাম মিষ্টির দোকানের সামনে একটা পাগল চুপচাপ দাড়িয়ে থাকত। সে নাকি কওয়া নাই বলা নাই বিনা কারণে হঠাৎ ভীষণ ক্ষেপে গেছে। লোকজনকে মারপিট করতে যাচ্ছে।

তাকে জোর করে থামানো হয়েছে। বেধে রাখা হয়েছে একটা লাইট খাম্বার সাথে। লোকজন জড়ো হওয়ার পর পাগলটা জলদ গম্ভীর রাজকীয় গলায় বলল, ওই তোরা দড়ি খোল। কথা কমু। তার কথা কেউ অমান্য করতে পারল না।

দড়ি খোলা হল। সে উঠে দাড়াল। এবার পাগল বলল, ও মিয়ারা আমি কি মানুষ না? আমার পেট নাই, খিদা লাগে না? তাইলে আমারে খাওন দ্যান না ক্যানো? আমি পাগল না আপনারা পাগল কন ইনসাফ কইর্যাগ কন। বলতে বলতে পাগলটা মিষ্টির দোকানে ঢুকল। দুইটা পরোটা আর মিষ্টি তুলে নিল।

তারপর খেতে খেতে পাগলটা বাপের ব্যাটার মত হাঁটতে শুরু করল। কেউ আর তারে কিছু বলল না।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।