আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মা ( একুশের কবিতা)

প্রতিটি গোধূলিই একটি দিনের মৃত্যুর ঘোষণা। মা -আবু জাঈদ উৎসর্গঃ গার্মেন্টস শ্রমিকদের মা সামনে ফেব্রুয়ারি মাসে তরে একটা শাড়ি কিন্না দিমু সাড়ে তিন'শ ট্যাকার টাঙ্গাইলা শাড়ি, একুশ তারিখে নাকি আমগো আলগা বোনাস দিব মা, ঐ যে তুই কইছিলি না, তর একটা ভাই নাকি মরলো, কারা বলে গুলি করছিল হেরে। এই লাইগা রোজ বছর বোনাস দেয় মা, তর বালাতেও জং ধরছে মা ২০ ট্যাকা দিয়া এক জোড়া বালাও দিমু, ওই মা আম খাবি, আম ? আমি এই মাসে ওভার টাইম বালা করছি, সাবে কইছে, চাইর'শ ট্যাকা বেতন বেশি আইব তর লেইগা আধা সের আম আনুম মা। নে, অহন ওষুধ খা, দুগা চিড়া ভিজাইয়া দিমু ? চিনি তো নাই মা, লবন দিয়া দেই ? তুই চিন্তা করিস না, সাবে কইছে, এক বছর পর, আমার বেতন বাইড়বো, তহন তরে চিড়ার লিগে দুধ, কলাও দিমু, নসিমন রে শাদী করুম, তর তো খুব ভাব আর তর একলা কষ্ট করতে হইব না। যাই মা, রাইতে আইজকা তিত করল্লা রানবি তর হাতের করল্লা মিডা লাগেরে মা, আমি নসিমন রে ট্যাকা দিয়া যামু, ইচা মাছের মেলা দাম, নাইলে হেইডাও কিনতাম এইবার বেতন পাইলে, ইচা মাছ, আর তিত করল্লা খামু, যাই মা, তুই ঘুমা, দুফুরে ওষুধ খাইস কিন্তু। "খোকা তার আর ফেরেনি ঘরে স্বপ্ন বুনন, নিত্য কথন, থেমেই গেল, আগুন লাগা ঝড়ে। আজ ও মরে রফিক রা রোজ, আজ ও একুশ আসে, আজও আমরা আগের মতই নিত্য নতুন ফাঁসে। "

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।