আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পূর্ণবয়স্ক ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকের মধ্যে সম্পর্ক অস্বাভাবিক নয়। তবে এই সম্পর্ক দ্বারা শিক্ষকের মূল্যায়ণ প‌্রভাবিত হয় কিনা এটাই মুল বিষয় হওয়া উচিত।



পূর্ণবয়স্ক যেকোন ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকের মধ্যে সম্পর্ক অস্বাভাবিক নয়। উভয়ের সম্মতিতে তাদের ভিতর যেকোন ধরণের সম্পর্ক হতে পারে। তবে হ্যাঁ এই সম্পর্ক দ্বারা শিক্ষক ঐ ছাত্রছাত্রীকে বিশেষ কোন সুবিধা দেন কিনা এটাই মুল বিবেচ্য বিষয় হওয়া উচিত। ঐ সম্পর্কের বদৌলতে কোন বিশেষ সুবিধা দেয়া অনৈতিক। তবে হ্যাঁ কাউকে কোনরকম শারীরিক বা মানসিক হয়রানি করার অধিকার শুধু শিক্ষক কেন এ সমাজের কারও নেই।

কিন্তু আমরা কি দেখছি? রাতের বেলা তো দুরের কথা দিনের বেলাও একটা মেয়ে এদেশে স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারেন না। তাকে প‌্রতি মুহুর্তে হজম করতে হয় বিশ্রী অরুচিকর কথাবার্তা । যে লোকগুলো এরকম কথা বলেন তিনিও তো কোন মায়ের সন্তান কিংবা কোন বোনের আদরের ভাই। কিন্তু এটা তারা ঐসব বিশ্রী কথাবার্তা বলার সময় ভুলে যান। আইন করে এসব হয়রানি বন্ধ করা যাবে না।

দরকার নিজস্ব বিবেকবোধ ও চিন্তার উন্নতি। দরকার জীবনমুখী শিক্ষা। যে শিক্ষা একজন শিক্ষার্থীকে শুধুমাত্র একটা সার্টিফিকেট দিবে না বরং দিবে একটা আলোকিত জীবন। আগে দরকার বাস্তবভিত্তিক পাঠ্যপুস্তক। তারপর ভাল শিক্ষক।

কিন্তু দু:খের বিষয় কোন সরকার এটা করেনি। কিছুমাত্র ধর্মীয় চিন্তাচেতনা নিয়ে ধার্মিক হওয়া যায় কিন্তু মানুষ হওয়া যায় না। কয়েকদিন আগে সকালে রমনা পার্কে ব্যায়াম করতে গিয়ে দেখি এক সিনিয়র ব্যক্তি তার দেখা একটা ঘটনার বর্ণনা দিচ্ছেন। ঘটনাটা এরকম বোরখা পরিহিত এক মহিলা পার্কের ভিতর দৌড়াচ্ছিলেন। দৌড়াতে তার ভাল লাগছিল এবং সে অধিকার তার রয়েছে।

হুজুর গোছের এক বৃদ্ধ লোককে ঐ মহিলা যখন অতিক্রম করছিল -- তখন ঐ বৃদ্ধ লোক বলে ফেলল আজ রাতে ঐ মহিলাকে আর কাবু করা যাবে না। দেখুন এরকম সব মেয়েদেরই প্রতিনিয়ত সহ্য করতে হয় বিশ্রী অরুচিকর কথাবার্তা । তাই আমি মনে করি শুধুমাত্র আইন করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে এসব হয়রানি বন্ধ করা যাবে না। দরকার জীবনমুখী শিক্ষা। আর এর মাধ্যমে আমরাও একদিন পেয়ে যাব আমাদের স্বপ্নের শিক্ষকদের যারা হবেন শিক্ষার্থীদের সত্যিকারের বন্ধূ।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।