আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জামরুল কায়েস । পর্ব-০১


(শুধুমাত্র প্রাপ্তবয়স্ক পাঠকগণ পাঠ করুন) টার্ম এখন শেষের দিকে । ক্লাসটেস্ট, কুইজের ভীষণ চাপ । ক্লাসে বসে পরের পিরিয়ডের ক্লাসটেস্টের পড়া পড়ছিলাম । ঠাশ, ঠাশ, ঠাশ । ।

মেয়েদের বেঞ্চ থেকে একটানা চড়ের শব্দে ওদিকে তাকালাম । ক্লাসের নিরীহ টাইপের মেয়ে শাম্মীর উপর যেন যম ভর করেছে । প্রাণপনে চড় কষছে আমাদের জামরুল কায়েসকে । ঘটনা বলার আগে জামরুল কায়েস সম্পর্কে পাঠককে একটু ধারণা দেয়া দরকার । গুণধর ছেলে জামরুল ।

মেয়েদের বেঞ্চের ঠিক পাশের বেঞ্চটিতে বসে সে পাঁচ ক্লাস জুড়ে একই চুইঙ্গাম চাবায় আর কারনে অকারনে হলদেটে দাঁতগুলো বের করে হাসতে থাকে । ক্লাসের ফাঁকে ফাঁকে কানে হেডফোন লাগিয়ে রেডিও শুনে আর শাম্মীর কাছে গিয়ে ছ্যাবলামো করে। ওখানে যে সে পাত্তা পায় না, ঈশ্বরের অসম বুদ্ধিবৃত্তি বন্টনের বলি জামরুলএর মাথায় এ উপলব্ধিটা আসে না । ক্লাসের সবচেয়ে ফালতু ছেলে নির্বাচনের জন্য ভোটাভুটি হলে নিজেরটা ছাড়া বাকী সবগুলো ভোট যে জামরুল পাবে এ ব্যপারে কারো কোন সন্দেহ নেই । এবার মূল ঘটনায় আসি ।

শাম্মী আজ নতুন মোবাইলফোন নিয়ে এসেছে । প্রতিমাসে নতুন হ্যান্ডসেট নেওয়াটা ওর একটা অভ্যাসে পরিনত হয়েছে । যথারীতি ওর মোবাইলের উপর চোখ পড়ল জামরুলের । সে শাম্মীকে গিয়ে বলল- : এই শাম্মী, তোমার ভোদা টা দেও তো । একটু টিপাটিপি করি ।

এরপর কী হল তা আপনাদেরকে আগেই বলে ফেলেছি । যে রামছাগল (পড়ুন ড়ামছাগল) ‘vodafone’ এর লোগো লাগানো Samsung মোবাইলকে ভোদা বলে, শাস্তি হিসেবে কয়েকটা চড় তার জন্য অপ্রতুল বলেই মনে হয় । তুই ব্যাটা Samsung চিনিসনাই ঠিক আছে, আস্ত ভোদাফোন টাই বল্‌, শুধু ভোদা বলতে গেলি কেন? আর শাম্মী মেয়েটাকেও আমি চিনতে পারলাম না । নিরীহ ভদ্র বলেই জানতাম, কিন্তু এই অভদ্র শব্দটা তার vocabulary তে কবে কীভাবে যোগ হল??
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।